ফের নকলের অভিযোগ শাওমির বিরুদ্ধে
স্বল্পমূল্যে দারুণ সব স্পেসিফিকেশন এবং নজরকাড়া ডিজাইনের প্রযুক্তিপণ্য বাজারে এনে সাড়া ফেলেছে চীনা প্রযুক্তি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান শাওমি। তাদের স্মার্টফোন থেকে শুরু করে হেডফোন, স্পিকার, এমনকি ল্যাপটপও দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছে প্রযুক্তিপ্রেমীদের কাছে। তবে শুরু থেকেই অন্য সব প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের পণ্যের ডিজাইন নকল করার গুরুতর অভিযোগ ছিল শাওমির বিরুদ্ধে। প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট ম্যাশেবল জানিয়েছে এ খবর।
মূলত অ্যাপলের পণ্যের আদলে প্রযুক্তিপণ্য ডিজাইন করার অভিযোগ রয়েছে শাওমির বিরুদ্ধে। শাওমিকে অনেকে ‘চীনা অ্যাপল’ বলেও ডাকে। এসব কারণে শাওমির ওপর বেশি ক্ষুব্ধ অ্যাপল। অ্যাপলের ডিজাইন বিভাগের প্রধান জনি আইভি শাওমির এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে ‘চৌর্যবৃত্তি’ এবং ‘আলসেমি’ বলে অভিহিত করেছেন।
মাত্র কয়েক দিন আগেই শাওমি এনেছে তাদের প্রথম ল্যাপটপ। শাওমির ‘মি নোটবুক এয়ার’-এর যে শুধু অ্যাপলের ম্যাকবুক এয়ারের নামের সঙ্গেই মিল আছে তা নয়, ডিজাইনের দিক থেকেও দুই ল্যাপটপকে আলাদা করা কঠিন! অবশ্য শাওমি কর্তৃপক্ষ বরাবরই এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। দৃঢ়ভাবে তারা জানিয়েছে, তাদের প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে তাদের পণ্য সম্পূর্ণ আলাদা।
তবে নতুন করে শাওমির বিরুদ্ধে আবার অভিযোগ জানানো হয়েছে। এবার শাওমির বিরুদ্ধে যিনি অভিযোগ দায়ের করেছেন, তাঁর নাম ভিস বিহার। সুইস এই ডিজাইনার জোবোন নামে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের চিফ ক্রিয়েটিভ অফিসার। জোবোনের ব্লুটুথ স্পিকারের সঙ্গে শাওমির ব্লুটুথ স্পিকারের মিলকে তিনি ভালো চোখে দেখছেন না। এক টুইট বার্তায় তিনি সেটিই প্রকাশ করেছেন।
শাওমির ‘মাই স্কয়ার বক্স’ নামে এই ব্লুটুথ স্পিকার বাজারে আসে গত বছর। বর্তমানে ২৫ ডলার মূল্যের স্পিকারটি পাওয়া যাচ্ছে চীনের বাজারে। অন্যদিকে, জোবোনের মিনি জ্যামবক্স স্পিকারটি বাজারে আসে ২০১৩ সালে। শুরুতে ১৮০ ডলার থাকলেও এটি এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০ ডলারে।
অ্যালুমিনিয়াম দিয়ে গড়া স্পিকারের মূল কাঠামোতে বেশ সাদৃশ্য রয়েছে দুটি স্পিকারের। যদিও স্পিকারের বাটন ও লোগো ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় স্থাপন করা রয়েছে, তবুও এক ঝলকে দুই স্পিকারের মাঝে বেশ মিল লক্ষ করা যায়।
এ অভিযোগ এমন সময়ে এলো, যখন শাওমি বড় পরিসরে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রবেশ করতে যাচ্ছে। চীন কিংবা ভারতের বাজারে এ রকম নকলের অভিযোগ খুব একটা বাঁকা চোখে না দেখা হলেও যুক্তরাষ্ট্র কিংবা ইউরোপের ক্ষেত্রে সেটি একটি বড় বাধা। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে এখনো শাওমি প্রবেশ করতে না পারার এটি একটি বড় কারণ।