গিনি-বিসাউয়ে ‘অভ্যুত্থানচেষ্টা’, বহু নিহতের দাবি প্রেসিডেন্টের
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গিনি-বিসাউ’র প্রেসিডেন্ট উমারো সিসোকো এমবালো স্থানীয় সময় মঙ্গলবার একটি ‘অভ্যুত্থানচেষ্টা’ থেকে রক্ষা পেয়েছেন। তবে, এ ঘটনায় নিরাপত্তা বাহিনীর বহু সদস্য নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন প্রেসিডেন্ট উমারো। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
গিনি-বিসাউ’র প্রেসিডেন্ট ও সাবেক সেনা জেনারেল উমারো সিসোকো বলছেন, ‘গণতন্ত্রের ওপর হামলা প্রতিহত করতে গিয়ে’ নিহত হয়েছেন নিরাপত্তা বাহিনীর অনেক সদস্য। ‘অভ্যুত্থানচেষ্টা’র এ ঘটনা মাদক পাচারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে তাঁর ধারণা।
মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট এমবালো মন্ত্রিসভার বৈঠকে সভাপতিত্ব করার সময় সংশ্লিষ্ট সরকারি ভবনের কাছে প্রচণ্ড গোলাগুলি শুরু হয়। এরপর সেখানকার সঠিক পরিস্থিতি বেশ কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত অস্পষ্ট ছিল। সে সময় আফ্রিকান ইউনিয়ন ও পশ্চিম আফ্রিকান ব্লক-ইসিওডব্লিউএস ওই ঘটনাকে ‘অভ্যুত্থানের চেষ্টা’ বলে নিন্দা জানায়।
‘অভ্যুত্থানের চেষ্টা’র ওই ঘটনায় গিনি-বিসাউ’র প্রেসিডেন্ট বহু নিহতের দাবি করলেও ঠিক কতজন লোক নিহত বা আহত হয়েছেন, তা জানা যায়নি। তবে, ঘটনার পর রয়টার্স অন্তত দুজন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছিল।
সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, কয়েকজন সেনাসদস্য প্রেসিডেন্ট এবং তাঁর মন্ত্রীদের আটক করে রেখেছিলেন।
ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া খবরের বরাতে বিবিসি জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট এমবালো তাঁর সরকারি বাসভবনে প্রধানমন্ত্রী নুনো গোমেস নাবিয়ামের সঙ্গে বৈঠকে করার সময় অজ্ঞাতপরিচয় একদল বন্দুকধারী ওই ভবনে হামলা চালায়। পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি নিরাপত্তা সূত্রের বরাতে বিবিসি জানিয়েছে, সাধারণ পোশাকে থাকা বন্দুকধারীরা সেখানে গুলি চালালে একজন পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হন।
২০২০ সালের নির্বাচনে এমবালোকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে, তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ডমিঙ্গোস সিমোয়েস পেরেইরা নির্বাচনের ওই ফল মেনে নেননি।
নির্বাচনের ফলাফল চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা মামলা বিচারাধীন থাকলেও দেশটির সামরিক বাহিনীর সমর্থন নিয়ে নতুন সরকার গঠন করতে তৎপরতা শুরু করেন এমবালো।
মাত্র ১৫ লাখ জনসংখ্যার দেশ গিনি-বিসাউ ১৯৭৪ সালে পর্তুগালের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। এরপর থেকে দেশটিতে এ পর্যন্ত চারটি অভ্যুত্থান এবং ১২টির বেশি অভ্যুত্থানচেষ্টা করা হয়েছে বলে বার্তা সংস্থা এপি জানিয়েছে।