মার্কিন নির্বাচন : ঘুম থেকে উঠে যে তিনটি শিরোনাম দেখতে পারে বিশ্ব
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আনুষ্ঠানিক ভোটগ্রহণ চলছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ভোর ৫টার (বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টা) দিকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। আজ আনুষ্ঠানিক ভোটগ্রহণ শুরু হলেও নয় কোটি ৬০ লাখেরও বেশি মানুষ আগাম ভোট দিয়ে ফেলেছে। যা ২০১৬ সালের নির্বাচনে আগাম ভোট থেকে ৭০ শতাংশ বেশি। আগাম ভোটের মধ্যে ৬০ লাখেরও মতো এসেছে মেইলের মাধ্যমে। আগেরবারের চেয়ে এবারে মেইলে আসা ভোটের সংখ্যা দ্বিগুণ।
আলোচিত এ নির্বাচনকে ঘিরে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। এদিকে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির উত্তর আমেরিকা সংবাদদাতা জন সোপেল নির্বাচন নিয়ে বিশ্লেষণ করেছেন। তিনি লেখেন, ‘তিন ধরনের সম্ভাব্য দৃশ্যপট আমরা দেখতে পারি। এর কোনো একটি ঘটলে আমি একটুও অবাক হবো না।’
জন সোপেলের সম্ভাব্য তিনটি শিরোনাম হলো :
১. জো বাইডেনের সহজ জয়
প্রথম দৃশ্যকল্পে দেখা যেতে পারে জনমত জরিপ ঠিক ছিল এবং জো বাইডেন বেশ সহজে জয়লাভ করেছেন।
২. ট্রাম্পের হতবাক করা জয়
২০১৬ সালের মতোই জনমত জরিপ ভুল প্রমাণিত হবে এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য নির্বাচিত হবেন। তাঁর জয়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে পেনসিলভানিয়া এবং ফ্লোরিডার ফল।
৩. জো বাইডেনের বিপুল বিজয়
জো বাইডেন কেবল যে জিতবেন তাই নয়, তিনি জিতবেন বিপুল ব্যবধানে- এটাও একটা সম্ভাবনা। ১৯৮০ সালে জিমি কার্টারের বিরুদ্ধে রোনাল্ড রেগ্যানের যেরকম ধস নামানো বিজয়, অনেকটা সেরকম। অথবা ১৯৮৮ সালে মাইকেল ডুকাকিসের বিরুদ্ধে জর্জ বুশের বিজয়।
তবে একেবারে অভাবিত আরেকটি ফল হতে পারে এ রকম: যেহেতু নেব্রাস্কার ইলেকটোরাল কলেজ ভোট ভাগাভাগি হয়, কাজেই এমন একটা অবস্থা দাঁড়াতে পারে যেখানে দুই প্রার্থীই সমান সংখ্যক ইলেকটোরাল ভোট পেলেন। যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনে জেতার জন্য ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের ম্যাজিক সংখ্যাটি হচ্ছে ২৭০। এই পরিমাণ ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পেলেই একজন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী নিশ্চিতভাবে জয়ী হয়েছেন বলে দাবি করতে পারেন। কিন্তু নেব্রাস্কার ভোট ভাগাভাগি হয়ে ট্রাম্প এবং জো বাইডেন দুজনেই ২৬৯টি করে ইলেকটোরাল ভোট পেতে পারেন, এটাও একটা সম্ভাবনা।