ডাকিনি সন্দেহে দুই নারীর শিরশ্ছেদ
এবার দুই নারীর শিরশ্ছেদ করল ইসলামিক স্টেট (আইএস)। সিরিয়ার দেইর ইজর প্রদেশের মায়াদিন শহরে ডাকিনিবিদ্যা ও জাদুবিদ্যা চর্চার অভিযোগে এ দুই নারীকে তাদের স্বামীসহ শিরশ্ছেদ করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ব্রিটেনভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস এ তথ্য জানিয়েছে।
মানবাধিকার সংগঠনটির প্রধান রামি আবদেল রহমানের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, এই প্রথমবারের মতো নারীদের শিরশ্ছেদ করল আইএস। গত রোববার ও সোমবার ডাকিনিবিদ্যা ও জাদুবিদ্যা চর্চার অভিযোগে এ দুই নারীকে তাদের স্বামীসহ হত্যা করেছে তারা। সিরিয়ায়, বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে তাবিজ-কবজ, জাদুটোনা ও অন্যান্য ধর্মীয় আচার অনুশীলন একটি স্বাভাবিক বিষয়। তবে এই জাদুবিদ্যা আইএসের মতবিরোধী।
আইএসের নৃশংসতার খবর প্রায়ই পাওয়া যায়। সমকামিতা, ব্যাভিচার, ধূমপান ও গুপ্তচরবৃত্তির জন্য অনেককে শিরশ্ছেদ ও পাথর ছুড়ে হত্যা করেছে। তবে প্রথমবারের মতো নারীদের শিরশ্ছেদ করল এই জঙ্গি সংগঠন।
সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এর আগে আইএস যুদ্ধের সময় কুর্দি নারী যোদ্ধাদের লাশের শিরশ্ছেদ করেছে। ব্যাভিচারের অভিযোগে নারীদের পাথর ছুড়ে হত্যা করেছে। গত মঙ্গলবার দেইর ইজরে রোজা না রাখায় ১২ জনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করেছে।
দুই সপ্তাহ আগে কুর্দি বাহিনীর কাছ থেকে আইএস তুর্কি সীমান্তের কাছে তাল আবিয়াদ শহরের দখল নিয়েছে। আতঙ্কিত অধিবাসীরা অন্যত্র পালিয়ে যাচ্ছে।
খিলাফত প্রতিষ্ঠার ঘোষণার পর থেকে সিরিয়ায় এ পর্যন্ত তিন হাজার মানুষের শিরশ্ছেদ করেছে এই জঙ্গিগোষ্ঠী। এর মধ্যে ৭৪ শিশুসহ এক হাজার ৮০০ জন বেসামরিক নাগরিক। গোষ্ঠীটি তাদের নিজেদের সদস্যদেরও শিরশ্ছেদ করেছে, বেশির ভাগই গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে।
২০১৩ সালে সিরিয়ায় উত্থানের পর এর প্রায় অর্ধেক ভূখণ্ডে দখলদারিত্ব কায়েম করেছে আইএস।
কুর্দি সুরক্ষা ইউনিটের (ওয়াইপিজি) মুখপাত্র রেদুর খলিল বলেন, আইএস যোদ্ধারা কুর্দি নিয়ন্ত্রিত এলাকায় প্রবেশ করেছে এবং লড়াই করছে। তুরস্ক সীমান্তের কাছে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে বেশ কয়েকটি এলাকায় কুর্দি বাহিনীর সঙ্গে তাদের লড়াই চলছে।