তুরস্কে অভ্যুত্থানের ‘মাস্টারমাইন্ড’ গ্রেপ্তার
তুরস্কে অভ্যুত্থানের ‘মাস্টারমাইন্ড’কে গ্রেপ্তারের দাবি করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলুর বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে রয়টার্স। সংবাদ সংস্থাটি জানায়, তুরস্কের ব্যর্থ অভ্যুত্থানে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন দেশটির বিমানবাহিনীর সাবেক প্রধান জেনারেল একিন ওজতার্ক।
গতকাল সোমবার দেশব্যাপী অভিযানে আটক শতাধিক জেনারেল ও অ্যাডমিরালের সঙ্গে তিনিও আটক হন। পরে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি অভ্যুত্থান পরিকল্পনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন বলে জানিয়েছে তুরস্কের রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত ওই সংবাদমাধ্যম। এ ছাড়া খবরে জেনারেল একিন ওজতার্ককে অভ্যুত্থানের ‘মাস্টারমাইন্ড’ হিসেবেও উল্লেখ করা হয়।
তবে বিবিসি জানায়, ওজতার্কের স্বীকারোক্তি নিয়ে সন্দেহের অবকাশ রয়েছে। কারণ, অভ্যুত্থানের পরপরই এতে জেনারেল একিন ওজতার্কের জড়িত থাকার কথা অস্বীকারের খবর জানিয়েছিল আনাদোলুই। সেখানে বরং তিনি এটা থামানোর চেষ্টা করেছেন বলে দাবি করেন। এ ছাড়া তুরস্কের দুটি বেসরকারি সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, ওজতুর্ক অভ্যুত্থান পরিকল্পনার কথা স্বীকার করেননি।
তুরস্কের সংবাদমাধ্যমের বরাতে দি ইনডিপেনডেন্ট ওই জেনারেলের কিছু ছবিও প্রকাশ করেছে, যেখানে তার মাথা ও শরীরের ঊর্ধ্বাংশে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে।
এর আগে বিদ্রোহীদের ‘ভাইরাস’ হিসেবে উল্লেখ করে রাষ্ট্র থেকে মুছে ফেলার অঙ্গীকার করেছেন প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। শুক্রবারের ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানে জড়িত সন্দেহে তুরস্কের আট হাজার পুলিশ কর্মকর্তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া দেশটির বিচার বিভাগের সদস্য ও সেনাবাহিনীর জেনারেলসহ আরো অন্তত ছয় হাজার জনকে আটক করেছে।
ওই দিন সেনা বিদ্রোহের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২০০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলেই সরকারিভাবে দাবি করা হয়েছে। এ ঘটনার জেরে গোটা তুরস্কে উত্তেজনা রয়েছে। যদিও সরকারের দাবি, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে।