বাংলাদেশে পুশব্যাক করা হবে সালাহ উদ্দিনকে!
ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলংয়ে গ্রেপ্তার বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদকে বাংলাদেশে ‘পুশব্যাক’ করা হতে পারে। আজ রোববার ভারতের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া এ কথা জানিয়েছে। তবে বিষয়টি নিয়ে পুলিশ বা সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে কিছু নিশ্চিত করা হয়নি।
গত ১১ মে শিলংয়ের গলফ লিংক এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বাংলাদেশে ৬৩ দিন ধরে নিখোঁজ থাকা বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিনকে। অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের অভিযোগে ফরেনার্স অ্যাক্টে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এখন তিনি শিলং সিভিল হাসপাতালে কারাবন্দীদের জন্য নির্ধারিত সেলে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সেখানে কিডনি, লিভার ও হৃদযন্ত্রের সমস্যার চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি।
মেঘালয় পুলিশের মহাপরিচালক রাজীব মেহতা টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, ‘যখনই হাসপাতাল থেকে তাঁকে (সালাহ উদ্দিন) ছাড়পত্র দেওয়া হবে, তখনই আমরা কঠোরভাবে আইন পালন করব এবং তাঁকে আদালতে হাজির করব।’ সালাহ উদ্দিন আহমেদ চিকিৎসা নিতে সিঙ্গাপুর যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন, গণমাধ্যমে প্রকাশিত এমন খবরের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তাঁকে তো এভাবে সিঙ্গাপুর নিয়ে যাওয়া যাবে না। কী করা হবে সে সিদ্ধান্ত আদালত নেবেন।’
পুলিশ এখনো সালাহ উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে কথা বলতে পারেনি দাবি করে রাজীব মেহতা বলেন, কোনো রকম বৈধ কাগজপত্র ছাড়া তিনি কীভাবে ভারতে প্রবেশ করলেন বা কারা তাঁকে নিয়ে এসেছে, সেসব জানতে তাঁকে পুলিশের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে।
ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো সালাহ উদ্দিন আহমেদকে বাংলাদেশে সমর্পণের ব্যাপারে পুলিশকে এখরো কোনো নির্দেশ দেয়নি বলেও জানান মেঘালয়ের এই পুলিশ কর্মকর্তা। তিনি আরো জানান, আদালত যদি এমন কোনো নির্দেশ দেন, তাহলে সালাহ উদ্দিন আহমেদকে ডাউকির আন্তর্জাতিক সীমান্তে নিয়ে যাওয়া হবে এবং সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এরপর বিএসএফই বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) অনুরোধ জানাবে সালাহ উদ্দিনকে তাদের হেফাজতে নিতে।
ভারতের ফরেনার্স অ্যাক্টের ১৪ ধারায় সালাহ উদ্দিন আহমেদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই ধারায় তার পাঁচ বছর পর্যন্ত সাজা হতে পারে। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে যে, আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের ঢাকা ইউনিট এই বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে ‘রেড নোটিশ’ জারি করেছে।