চিংড়িতে জেলি দেওয়ায় খুলনায় চার ব্যবসায়ীকে জেল-জরিমানা
রপ্তানিযোগ্য চিংড়ির ওজন বাড়াতে মাছের ভেতর জেলি ভরে খুলনায় আনার পথে আটকের পর র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত চারজনকে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা এবং দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন। পরে জেলিভরা এক হাজার ৪০০ কেজি চিংড়ি মাছ জব্দ করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে র্যাবের এক ইমেইল বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
র্যাব-৬ খুলনার মিডিয়া উইং জানায়, গতকাল বিকেল ৪টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত র্যাব-৬-এর একটি দল, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এবং জেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সহযোগিতায় খুলনায় খান জাহান আলী সেতুর ঢোল প্লাজার সামনে তল্লাশি চালায়। এ সময় বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা যানবাহন তল্লাশি করে জেলিভরানো চিংড়ি জব্দ করা হয়।
এ সময় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে সাতক্ষীরার আশাশুনির মাছ ব্যবসায়ী উত্তম সরকারকে (৩২), ২০ হাজার, মো. বাপ্পারাজ সরদারকে (২৫), ২০ হাজার, হাফিজুল গাজী ওরফে সালাউদ্দিনকে (৩৩) ২০ হাজার টাকা এবং খুলনার পাইকগাছার আলামিন সরদারকে (২৩) ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সেইসঙ্গে চারজনকেই দুই মাসের করে বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
উল্লেখ্য, খুলনার রূপসায় বেশির ভাগ চিংড়ি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানে সাতক্ষীরাসহ উপকূলীয় এলাকা থেকে জেলিভরানো চিংড়ি এনে সরবরাহ করা হয়। এই চিংড়ি রপ্তানি করায় দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়। বিদেশি ক্রেতারা এ ব্যাপারে সরকারের কাছে নানাবিধ অভিযোগ করে থাকে।