জনগণ দুঃখ-কষ্টের মধ্য দিয়ে ঈদুল ফিতর উদযাপন করছে : মির্জা ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জনগণ ‘দুঃখ-কষ্টের’ মধ্য দিয়ে ঈদুল ফিতর উদযাপন করছে। আজ শনিবার (২২ এপ্রিল) বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপের সময় তিনি একথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এবারের ঈদ আমাদের জন্য খুবই বেদনাদায়ক ও কঠিন ছিল। আমাদের অনেক নেতাকর্মী কারাগারে রয়েছেন, অন্যদিকে অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে সাধারণ মানুষ এবারের ঈদের আনন্দ উপভোগের জন্য প্রয়োজনীয় ন্যূনতম জিনিসপত্র কিনতে পারছে না। তাই, তাদের দিন দুর্দশা ও কষ্টের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।’
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘এবারের ঈদের বাজার মোটেই গতি পায়নি, কারণ সব পণ্যের দাম ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়ায় মানুষের ক্রয়ক্ষমতা পুরোপুরি কমে গেছে। যখন দামের স্তর বৃদ্ধি পায়, তখন মানুষ একই পরিমাণ অর্থ দিয়ে স্পষ্টতই কম কিনতে সক্ষম হয়।’
সকাল ১১টার দিকে স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও নজরুল ইসলাম খানকে সঙ্গে নিয়ে মির্জা ফখরুল জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পরে তারা দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে ফাতেহা পাঠ করেন এবং বিএনপির প্রতিষ্ঠাতার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকার মিথ্যা প্রচারণার মাধ্যমে, বিশেষ করে গণমাধ্যমের সহায়তায় জনগণকে একটি ধারণা দিতে চায় যে, দেশ ও অর্থনীতি ভালো পথে চলছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে দেশে এখন নীরব দুর্ভিক্ষ চলছে। প্রকৃতপক্ষে, দেশে একটি চরম অর্থনৈতিক সংকট রয়েছে।’
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, খুব শিগগিরই দেশ মারাত্মক অর্থনৈতিক সংকটের দিকে যাবে। কিন্তু, এই সরকার জোর করে মিথ্যা ও ভুল প্রচারণা চালিয়ে ক্ষমতায় টিকে আছে।’
আন্দোলনের মাধ্যমে এই অবস্থার পরিবর্তন আনতে দেশের জনগণকে জেগে ওঠার আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘অতীতে বাংলাদেশের মানুষ আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের অধিকার ফিরিয়ে এনেছে। তারা এবারও সংগ্রামের মাধ্যমে তাদের অধিকার পুনরুদ্ধার করবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বর্তমান সরকারকে অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে, পার্লামেন্ট ভেঙে দিতে হবে এবং একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হবে। যা এমন একটি সরকার তৈরি করবে, যেটি জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক ভাগ করে নেবে এবং জনগণের কাছে জবাবদিহি করবে।’