বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত গণবিরোধী : মির্জা ফখরুল
বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমান সরকার জনগণের নির্বাচিত সরকার নয় বলেই জনগণের চরম দুর্দিনে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির এই অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির এই সিদ্ধান্ত গণবিরোধী এবং অবিবেচনাপ্রসূত। প্রতিমাসে দাম সন্বয়ের নামে প্রকারান্তরে দফায় দফায় বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করা হবে, যা জনগণের সঙ্গে খুচরা চালাকি।
আজ শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) বিএনপির ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে ফখরুল এসব কথা বলেন।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘সরকারের ব্যর্থতা, দুর্নীতি, ভ্রান্ত নীতির ফলে দেশের অর্থনীতিতে এবং জনজীবনে তীব্র সংকট চলছে। চাল, ডাল, তেল, চিনিসহ সকল দ্রব্য মূল্যের চরম ঊর্ধ্বগতিতে জনজীবনে যখন নাভিশ্বাস উঠেছে, জনগণের জীবন যাত্রার ব্যয় যখন লাগামহীনভাবে ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে, যখন মানুষ কাজ হারিয়ে বেকার হচ্ছে, কর্মসংস্থান নেই বললেই চলে, তখন সরকারের এই তুঘলকি সিদ্ধান্ত মরার উপর খাড়ার ঘা।’
ফখরুল বলেন, ‘দুই মাস আগে পাইকারি পর্যায়ে মূল্যবৃদ্ধির পর এবার খুচরা তথা গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির ফলে কৃষি সেচে, কল কারখানায় উৎপাদনে ব্যয় বৃদ্ধিসহ জীবন যাত্রার ব্যয় এবং প্রতিটি জিনিষের মূল্য আরও বৃদ্ধি পাবে।’
বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘বিদ্যুৎ সেক্টরে সীমাহীন দুর্নীতি ও অনিয়মের মাশুল দিতে হচ্ছে জনগণকে। কুইক রেন্টাল, বিদ্যুৎ উৎপাদন না করেই বসিয়ে রেখে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ক্ষমতাসীনদের মদতপুষ্ট মালিকদেরকে ক্যাপাসিটি চার্জের নামে জনগণের টাকায় লাভবান করা হচ্ছে। দুর্নীতি, অপচয়, অব্যবস্থাপনার জন্য বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় এখন জনগণের পকেট কাটা হচ্ছে।’
মির্জা ফখরুল বিবৃতিতে অবিলম্বে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানিয়ে বলেন, ‘ইতোমধ্যে ১১ জানুয়ারী গণ-অবস্থান কর্মসূচি থেকে ১০ দফা দাবিসহ বিদ্যুতের দাম কমানোর দাবিতে বিএনপিসহ আন্দোলনরত রাজনৈতিক দল ও জোট আগামী ১৬ জানুয়ারি দেশব্যাপী মহানগর এবং উপজেলা পর্যায়ে সমাবেশ ও মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।’