চবির প্রশাসনিক পদ থেকে আরও ৩ শিক্ষকের পদত্যাগ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) প্রক্টর, সহকারী প্রক্টরসহ ১৫ জনের পদত্যাগের একদিন পরেই আরও তিন শিক্ষক তাদের বিভিন্ন প্রশাসনিক পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।
গতকাল সোমবার (১৩ মার্চ) দুপুরে চবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কে এম নুর আহমদ বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দেন শিক্ষকেরা।
পদত্যাগকারীরা হলেন—দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া হলের প্রভোস্ট ও পরিবহন দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম, অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান হলের প্রভোস্ট ড. সুমন বড়ুয়া এবং সহকারী প্রক্টর মুহাম্মদ ইয়াকুব। সবাই ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সহকারী প্রক্টর মুহাম্মদ ইয়াকুব বলেন, ‘আমি আদর্শিকভাবে নতুন প্রক্টরের বিষয়টি মেনে নিতে পারিনি। তিনি বিএনপিপন্থী মানুষ। বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রজীবনে তিনি ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে গুঞ্জন রয়েছে। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে এরকম কাউকে মনোনীত করা আমার পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। তাই আদর্শগত কারণে আমি পদত্যাগ করেছি। তবে, অন্যরা কেন পদত্যাগ করেছে আমি জানি না।’
অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান হলের প্রভোস্ট ড. সুমন বড়ুয়া বলেন, ‘আমি আমার একান্ত ব্যক্তিগত কারণে পদত্যাগ করেছি। আমার সঙ্গে বাকিদের পদত্যাগের কোনো সম্পর্ক নেই। আমি আমার গবেষণা ও শিক্ষার্থীদের সময় দিতে চাই। তাই একটা দায়িত্ব কমিয়ে নিয়েছি।’
এর আগে রোববার (১২ মার্চ) চবি প্রক্টর, সহকারী প্রক্টরসহ ১৮টি পদ থেকে ১৬ জন শিক্ষক পদত্যাগ করেন। তাদের পদত্যাগের পরপরই নতুন প্রক্টর হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় মেরিন সায়েন্সেস ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নুরুল আজিম সিকদারকে। এছাড়া শিক্ষক হওয়ার এক মাসের মাথায় মেরিন সায়েন্সেস ইনস্টিটিউটের নতুন প্রভাষক সৌরভ সাহা জয় এবং ওশানোগ্রাফি বিভাগের মোহাম্মদ রোকন উদ্দিনকে সহকারী প্রক্টর হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
শিক্ষকদের গণহারে পদত্যাগের বিষয়ে ভিসি অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেন, ‘তিনমাস আগে থেকে আমি খবর পাচ্ছি—তারা বিভিন্ন জায়গায় মিটিং করছেন এবং প্রশাসনবিরোধী কথা বলছেন। তাদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া ছিল। চেষ্টা করেছি, কিন্তু সবকিছু পূরণ করতে পারিনি। যারা পদত্যাগ করেছে, তাদের সবাইকে রবিউল (সাবেক প্রক্টর) নিয়োগ দিয়েছেন।’