তারকার প্রথম
প্রথম প্রেম ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় ভাই : মম
সবার জীবনে প্রথম স্কুল, প্রথম প্রেম, প্রথম বই পড়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে। তারকাদের জীবনেও এ রকম অনেক ঘটনা আছে। আজ আমরা জানব, অভিনেত্রী মমর জীবনের উল্লেখযোগ্য প্রথম সব অভিজ্ঞতার গল্প।
প্রথম স্কুল
অবশ্যই আমার মা। এতে কোনো সন্দেহ নেই। মায়ের কাছ থেকে যা শিখেছি, তা কোথাও শিখতে পাইনি। মায়ের যে কথাগুলো আগে অযৌক্তিক মনে হতো, সে কথাগুলো এখন মধুর মনে হয়। আমার প্রথম স্কুল ছিল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। স্কুলের নাম ছিল সূর্যমুখী কিন্ডারগার্টেন স্কুল। আমার মনে পড়ে, ১৯৯২ সালে আমি প্লে গ্রুপে ভর্তি হয়েছিলাম।
প্রথম শিক্ষক
রানী ম্যাডামের কথা আমার খুব মনে পড়ে। প্লে গ্রুপের আমার প্রথম শিক্ষক ছিলেন তিনি।
প্রথম পারিশ্রমিক
নাচের প্রতিযোগিতায় জয়ী হওয়ার পর ৬০০ টাকা আমি পেয়েছিলাম। টাকাটা আমি ব্যাংকে জমিয়ে রাখি। সম্ভবত এই টাকা দিয়ে আমার ছোট ভাইয়ের জন্য জন্মদিনের উপহার কিনেছিলাম।
প্রথম পড়া বই
মাসুদ রানার বইগুলো আমার ভীষণ প্রিয় ছিল। ছোটবেলায় এই বইগুলো আমি খুব পড়তাম। আমার ছোট মামা আহমেদ কবির প্রচুর বই পড়তেন। মামা আমাকে রবীন্দ্রনাথের ছোটগল্প, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, সমরেশ মজুমদারের লেখা বইগুলো পড়তে দিতেন। রবীন্দ্রনাথের ‘সমাপ্তি’ গল্পটি আমার অনেক প্রিয়। বইটা পড়ার পর মৃন্ময়ী ও অপূর্ব চরিত্রের প্রেমে পড়েছিলাম।
প্রথম শাড়ি পরা
আমি যখন ক্লাস টুতে পড়ি, তখন আম্মার শাড়ি প্রথম পরেছিলাম। আম্মা ছিলেন কলেজের শিক্ষক। সুতির শাড়ি পরে কলেজে যেতেন তিনি। কলেজ থেকে ফেরার পর সেই শাড়ি আমি পরতাম। ছোটবেলায় আমার খেলা ছিল অভিনয়। কারণ, শাড়ি পরে আমি নিজে নিজে অভিনয় করতাম।
প্রথম নাটক
২০০১ সালে মিনহাজুল রহমান পরিচালিত ‘মেহের নিগার’ নাটকে আমি প্রথম অভিনয় করেছি। জাহিদ হাসান ছিলেন আমার সহকর্মী। আমি অনেক ভাগ্যবান, কারণ প্রথম অভিনয় একজন গুণী শিল্পীর সঙ্গে করার সুযোগ হয়েছিল আমার।
প্রথম অভিনীত চলচ্চিত্র
তৌকীর আহমেদ পরিচালিত ‘দারুচিনি দ্বীপ’।
প্রথম দেখা চলচ্চিত্র
‘সাজন’। ছবিটি দেখে মাধুরী দীক্ষিতের প্রেমে পড়েছিলাম। আমার স্বপ্নের নায়িকা হিসেবে কাজ করেন মাধুরী। তাঁর হাসি, ব্যক্তিত্ব সবকিছু আমাকে মুগ্ধ করে।
প্রথম প্রেম
আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় ভাই। আমার বিভাগে পড়তেন তিনি।
প্রথম দেওয়া সাক্ষাৎকার
২০০১ সালে ‘মেহের নিগার’ নাটকে অভিনয় করার পর আনন্দধারা ম্যাগাজিন পত্রিকায় প্রথম সাক্ষাৎকার দিয়েছিলাম।