তারকার চারবেলা
অভিনয়ই একমাত্র সাধনা : মম
তারকারা সাধারণত শুটিং নিয়েই ব্যস্ত থাকেন। শুটিং থাকলে তাঁদের দিনটি এক রকম কাটে। আর যেদিন শুটিং থাকে না সেদিন তাঁরা কাটান নিজেদের মতো করে। আজ আমরা জানব, কী করে কাটে জাকিয়া বারী মমর চারবেলা।
মমর সকাল
শুটিং থাকলে আমার সকাল এক রকম আর শুটিং না থাকলে আর এক রকম। আগের দিন শুটিং থাকলে রাতের ঘুম দেরিতে আসে বলে ছুটির সকালে উঠতে দেরি হয়। ঘুম থেকে জেগে এক কাপ কফি আমার চাই। বিষয়টা এ রকম, কফি রেডি হওয়ার পর আমি ঘুম থেকে জাগি।গত সাড়ে তিন বছর ধরে মনে হয় খবরের কাগজের শিরোনাম আমার পড়া হয় না।কারণ দেশের খবর শুনে খুব বিচলিত হই। ভালো খবর খুব কম। তবে যেদিন বাংলাদেশ খেলায় জেতে ওই দিন ঘুম থেকে উঠে সবার আগে পত্রিকা পড়ি। একটা সুখবর পেতে কার না ভালো লাগে! এরপর নিজের কাজ নিজে গুছিয়ে নেই। কেউ আমার কাজ করে দিলে সেটা আমার পছন্দ হয় না। এরপর টিভি দেখি। এভাবে কেটে যায় সকাল।
মমর দুপুর
দুপুরে অনেক লম্বা সময় নিয়ে আমি গোসল করি। প্রায় ৪০ মিনিট। পানির নিচে দাঁড়িয়ে থাকতে আমার ভালো লাগে। এটা আমাকে এক ধরনের থেরাপি দেয়।
আমি কিন্তু সারা বছর গরম পানি দিয়ে গোসল করি। এরপর রান্না মন চাইলে করি, না চাইলে করি না। তবে বাসায় থাকলে সময়মতো দুপুরের খাবার খেয়ে নেই। তারপর একটু গান শুনি অথবা ভালো কোনো ছবি দেখি।
মমর বিকেল
বিকেলে আমার অলস সময় কাটে। কখনো শপিং করি। কাজ নিয়ে মিটিং থাকলে সেটা করি। তবে শপিং বেশি করা হয়। সন্ধ্যা হওয়ার আগে বাসায় তাড়াতাড়ি ফেরার চেষ্টা করি। সন্ধ্যায় সাধারণত চায়ের সঙ্গে ঝাল অথবা মিষ্টি জাতীয় খাবার খেতে পছন্দ করি।
মমর রাত
শোবার আগে অবশ্যই আর একবার গোসল করি। সাধারণত রাত ১১টায় ঘুমাতে যাই। একটু ফেসবুকিং করি। পরের দিন শুটিং থাকলে সেই চিত্রনাট্য পড়ি। শুটিংয়ের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ব্যাগে গুছিয়ে রাখি। আমি একটু খামখেয়েলি স্বভাবের। তাই তাড়াতাড়ি শোবার ঘরে গেলেও ঘুমাতে ঘুমাতে রাত দুইটা-আড়াইটা বেজে যায়।
অবসর নয় আসলে শুটিংয়ের সময় অনেক ভালো সময় কাটে আমার। নাটকের প্রত্যেক ইউনিটই আমাকে অনেক পছন্দ করে। আমিও করি। অভিনয় অনেক মন দিয়ে করি। অভিনয়ই একমাত্র সাধনা। তাই এই কাজটা করতে অনেক অনেক উপভোগ করি।