বাংলাদেশের পাশে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র : বিসওয়াল
বাংলাদেশে সহিংস জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে চলমান লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্র পাশে থাকবে বলে জানিয়েছেন দেশটির দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই বিসওয়াল।
গতকাল মঙ্গলবার স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে আয়োজিত অনুষ্ঠানে নিশা দেশাই বিসওয়াল এ কথা বলেন।
মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমেরিকার মানুষ দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশের পাশে আছে। এবং আজ আমি জোর দিয়ে বলতে চাই, আমরা আপনাদের পাশেই থাকব।’
বিসওয়াল বলেন, তিনি আত্মবিশ্বাসী যে দুই দেশের মানুষের একযোগে কাজ করতে কোনো সমস্যা হবে না। তাদের একসঙ্গে যেকোনো সমস্যার সমাধান করতে হবে। তিনি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে দীর্ঘ সংগ্রামে আমরা পাশে থাকব, যার ফলে সমুদ্র উপকূলে বসবাসরত লাখ লাখ মানুষের জীবনকে বিপন্ন করে তুলেছে।’
নিশা দেশাই বিসওয়াল বলেন, ‘প্রতিটি নাগরিকের স্বাধীনভাবে কথা বলার অধিকার, বিশ্বাস মুক্তভাবে চর্চার অধিকার, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করার অধিকার এবং স্বচ্ছ ও ন্যায্য ভোটের অধিকারের প্রতি তারা সমর্থন জানাবে; কারণ দুই পক্ষের মানুষের ডিএনএর মধ্যে গণতন্ত্র প্রোথিত রয়েছে। আগামী দিনগুলোতে ক্রমবর্ধমান জটিলতার মধ্যে আমরা নতুন নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হব, যার ফলে আমাদের নতুন পথ ও সমাধান বের করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে ছিলেন ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম জিয়াউদ্দিন, মার্কিন দূত পিটার সেলফ্রিজ, সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান রিচার্ডস ও পিটার লেভয়। এ ছাড়া সাবেক রাষ্ট্রদূতদের মধ্যে টেজি ও হাউয়ি শ্যাফার, জ্যান মজিনা ও জেমস মরিয়ার্টি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
বিসওয়াল বলেন, গত কয়েক দশকে বাংলাদেশ খাদ্য আমদানিকারক দেশ থেকে খাদ্য রপ্তানিকারক দেশে পরিণত হয়েছে, যার ফলে বিশ্বে অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ দেশটির খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে। তিনি বলেন, ‘এর অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ২০ বছর ধরে ৬ শতাংশের ওপরে। লাখ লাখ মানুষ দারিদ্র্যমুক্ত হয়েছে। মায়েরা এখন সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে বেঁচে যান, নবজাতকের মৃত্যুহার কমে গেছে। দেশটিতে গড়ে ওঠা সংস্থা ব্র্যাক ও গ্রামীণ ব্যাংক সারা বিশ্বকেই দেখিয়ে দিচ্ছে, বাংলাদেশের দারুণ উন্নতি কতটা অনুসরণীয়।’