পরিবেশ ঠিক রেখেই সুন্দরবনে বিদ্যুৎকেন্দ্র : পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ ঠিক রেখেই বাগেরহাটের রামপালে সরকার বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করতে যাচ্ছে বলে দাবি করেছেন বন ও পরিবেশমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে কক্সবাজারের একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট ফর ফিউচার (এমএফএফ) আঞ্চলিক কমিটির সভায় মন্ত্রী এ কথা বলেন। প্রকৃতির সুরক্ষায় ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচারের (আইইউসিএন) অধীনে এমএফএফ পরিচালিত হয়।
পরিবেশমন্ত্রী আরো বলেন, সুন্দরবনে একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন নিয়ে বিশ্বব্যাপী উদ্বেগ থাকলেও দেশের উন্নয়নের স্বার্থে বিদ্যুৎকেন্দ্র দরকার।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে আমাদের প্রকৃতিকে বাঁচিয়ে রেখেই উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে এগিয়ে যেতে হবে। এ জন্য প্রয়োজন বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক সমন্বয়।’ মন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে টেকসই উন্নয়নের জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. কামাল উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের প্রধান বন সংরক্ষক মো. ইউনুছ আলী। কর্মশালার তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন এমএফএফের সমন্বয়কারী ড. স্টিন ক্রিস্টেন সেন। বক্তব্য রাখেন আইইউসিএনের আঞ্চলিক পরিচালক আবান মার্কার কাবরাজি ও বাংলাদেশ প্রতিনিধি ইশতিয়াক উদ্দিন আহমেদ।
এমএফএফ ১৩তম আঞ্চলিক পরিচালনা কমিটির দুদিনব্যাপী এই সভাটি বাংলাদেশ সরকারের পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়, আইইউসিএন এবং এমএফএফের বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট যৌথভাবে আয়োজন করে।
২০১৬ সালে এমএফএফের অর্জন, ২০১৭ সালের কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন এবং দীর্ঘমেয়াদি টেকসই কৌশল নির্ধারণে আলোচনার লক্ষ্যে এবারের দুদিনব্যাপী কর্মশালার আয়োজন।
এবারের সভায় এমএফএফের আন্তর্জাতিক সমন্বয় দলপ্রধানসহ সংস্থাটির সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে কম্বোডিয়া, ভারত, পাকিস্তান, সিসিলি দ্বীপপুঞ্জ, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম এবং বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন। চীন আউটরিচ সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে কর্মশালায় নিয়েছে।