টেস্ট অধিনায়কত্ব হারাচ্ছেন মুমিনুল?
বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়ক মুমিনুল হক অনেক দিন ধরেই ব্যাট হাতে সাফল্য পাচ্ছে না। শুধু তাই নয়, শেষ ১৫ ইনিংসের মধ্যে মাত্র একটিতে ফিফটি করেন তিনি। তাই অভিজ্ঞ এই ব্যাটারকে নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়ে যায়। নেতৃত্বের দায়িত্ব কারণে মুমিনুলের ব্যাটিংকে প্রভাবিত করেছে কি না তা ভেবে দেখতে বলেছে বিসিবি। শুধু তাই নয়, অধিনায়কত্ব চালিয়ে যেতে চান কি না সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বলেছে দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
মাউন্ট মাউঙ্গানুইতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৮৮ রানের একটি ইনিংস খেলেছিলেন মুমিনুল। গত ১৫ ইনিংসে ১২.৫৭ গড়ে ১৭৬ রান করেছেন তিনি। শেষ সাত ইনিংসে দুই অঙ্কে পৌঁছাতে ব্যর্থ হন। গত এপ্রিলে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর থেকে শুরু করে মাত্র ২৪ রান করেছেন।
মুমিনুল এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ দলকে ১৭ টেস্টে নেতৃত্বে দিয়ে ৯১২ রান করেছেন। যাতে গড় ৩১.৪৪। এই সময়ে তিনটি সেঞ্চুরি এবং দুটি অর্ধশতক করেন। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ তিনটি টেস্ট জিতেছে এবং দুটিতে ড্র করেছে এবং বাকি ১২টিতে হেরেছে।
ক্রিকবাজের খবরে জানা যায় মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার কাছে ১০ উইকেটের বাজে হারের পর মুমিনুলের সঙ্গে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বৈঠক করেন। তাঁর অধিনায়কত্বের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে কোনো সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয় বৈঠকটি। মুমিনুলকে তাঁর ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবতে বলেন পাপন।
বিসিবির ক্রিকেট অপারেশনস কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস ইঙ্গিত দিয়ে বলেন, ‘আমি মনে করি অধিনায়কত্ব বাড়তি চাপ। অধিনায়ক হিসেবে আপনি যখন রান না পান, তখন চাপ বাড়তে থাকে। এটি তার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। তার জন্য যেটা উত্তম, যেটা প্রয়োজন, সে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।’
বিসিবির এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘বিসিবি সভাপতি তাঁর (মুমিনুল) সঙ্গে বসেছিলেন। আলোচনা এখনও শেষ হয়নি। তিনি এখন বিদেশে। ফিরে মুমিনুলের ভবিষ্যত নিয়ে আবার আলোচনায় বসবেন।’
এদিকে মুমিনুল দলের নেতৃত্ব দিতে রাজি না হলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের আগে টেস্ট অধিনায়ক পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই, সেটা বোঝা যাচ্ছে। তবে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের পর পরবর্তী বাংলাদেশ টেস্ট অধিনায়কের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, যদি না মুমিনুল ব্যাট হাতে এবং নেতৃত্বে কিছু সাফল্য অর্জন করেন।