টেস্ট ক্রিকেটের রোমাঞ্চ ছুঁয়েছে শরিফুলকে
প্রথমবার বাংলাদেশ টেস্ট দলে সুযোগ পেয়েছেন তরুণ পেসার শরিফুল ইসলাম। দলে সুযোগ হলেও মূল একাদশে জায়গা মেলেনি। তাতে আফসোস নেই শরিফুলের। সাদা পোশাকে সতীর্থদের খেলা কাছ থেকে দেখা, ড্রেসিংরুম শেয়ার করা— সবকিছুর রোমাঞ্চ ছুঁয়ে গেছে তরুণ এই পেসারের কাছে। একাদশে না থেকেও তাঁর মনে হয়েছে, তিনি খেলেছেন।
কিছুদিন আগে নিউজিল্যান্ড সফরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় শরিফুলের। সেখানে দেশের হয়ে তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন তিনি। তবে অভিষেক সিরিজটা রাঙাতে পারেননি শরিফুল। তবুও তাঁর উপর আস্থা রেখেছে বোর্ড। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্টেও সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে তরুণ পেসারকে।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্ট পাঁচদিন কাছ থেকে দেখে রোমাঞ্চিত এই ক্রিকেটার। আজ মঙ্গলবার বিসিবির পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় শরিফুল বলেন, ‘প্রথমবার ১৪ জনে ছিলাম। এত কাছ থেকে টেস্ট খেলা কখনও দেখিনি। আমার জন্য রোমাঞ্চকর ছিল। টেস্ট খেলা আসলে মজার খেলা। প্রতি সেশনে মুভমেন্ট বদল হয়, ম্যাসেজ পাঠানো হয়। আমি খুবই রোমাঞ্চিত ছিলাম, মনে হয়নি যে ম্যাচের বাইরে ছিলাম। মনে হচ্ছিল যেন ম্যাচ খেলছি। সবসময় যাওয়া-আসার ভেতর, তথ্য আদান-প্রদানের ভেতর ছিলাম।’
পাল্লেকেলের উইকেটে বেশ ভুগেছেন বোলাররা। তবুও লম্বা স্পেলে বোলিং করে দিয়েছেন তাসকিন-এবাদতরা। বিষয়টি অনুপ্রেরণা দিচ্ছে শরিফুলকে, ‘তাসকিন ভাই লম্বা স্পেল করেছেন। অনেক ওভার করেছেন। তাসকিন ভাই, এবাদত ভাই, রাহি ভাই অনেক জোরে বল করেছেন। সেটা দেখে ভালো লেগেছে যে, এত গরমে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একই গতিতে এত জোরে বল করা। টেস্ট খেলা এমনই যে নিজের শতভাগ দিতে হয়। তারা চেষ্টা করেছেন শতভাগ দেওয়ার। যদি কখনও সুযোগ পাই, আমিও চেষ্টা করব।’
টেস্ট ক্রিকেটে নিজের স্বপ্ন নিয়ে শরিফুল বলেন, ‘আমি যখন খেলা শুরু করেছি, তখন থেকেই চিন্তা ছিল যে, তিন ফরম্যাটেই খেলব। যদি আমি সুযোগ পাই নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব। আমার কোচ, যার কাছে আমি শিখেছি, অনুশীলন করেছি, উনি টেস্ট ক্রিকেটার ছিলেন। উনি বলেছিলেন, টেস্ট ক্রিকেট হলো সর্বোচ্চ মানের খেলা। ওইখানে খেলতে পারলে ভালো হবে। কখনও সুযোগ পেলে নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব।’