মাঠে ঢুকে নতুন বিতর্কে জড়ালেন সাকিব
সাকিব আল হাসানের সঙ্গে বিতর্কের সম্পর্কটা পুরোনো। চলমান বিপিএল শুরুর আগেও টুর্নামেন্টের অব্যবস্থাপনা নিয়ে রীতিমতো বোমা ফাটান বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। এবার বিপিএল চলাকালীন ফরচুন বরিশালের ইনিংস শুরুর আগ মুহূর্তে মাঠে প্রবেশ করে সাকিব জড়ালেন নতুন বিতর্কে।
আজ মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) দিনের প্রথম ম্যাচে রংপুর রাইডার্সের মুখোমুখি হয় সাকিব আল হাসানের ফরচুন বরিশাল। নিজেদের ইনিংসের শুরুতেই ডাগআউটের দাঁড়িয়ে ব্যাটারদের উঠে আসতে বলেন ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক সাকিব। তাঁরা উঠে না এলে সাকিব নিজেই মাঠে ঢুকে যান। এতে ইনিংস শুরু হতে মিনিটে পাঁচেক দেরি হয়।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে এদিন আগে ব্যাট করে বরিশালের সামনে ১৫৯ রানের লক্ষ্য রাখে রংপুর। রান তাড়ায় বরিশালের দুই ওপেনার চতুরঙ্গ ডি সিলভা ও এনামুল হক বিজয় যখন মাঠে নামেন তখনই বাঁধে বিপত্তি।
মূলত ঘটনাটি ঘটে স্ট্রাইক নিয়ে। নিয়ম অনুসারে বোলার ঠিক করার পর ব্যাটাররা স্ট্রাইক নিয়ে থাকেন। কিন্তু সেখানে ঝামেলা পাকায় রংপুর। ইনিংসের প্রথম ওভার দেওয়া হয় রংপুর রাইডার্সের বাঁহাতি স্পিনার রাকিবুল হাসানকে। সে সময় স্ট্রাইকে ছিলেন চাতুরাঙা ডি সিলভা। তখনই বোলার বদলান রংপুরের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। তিনি বল তুলে দেন অফস্পিনার শেখ মেহেদী হাসানের হাতে।
এটা দেখে স্ট্রাইক পরিবর্তন করে ননস্ট্রাইকপ্রান্তে চলে যান চাতুরাঙা। সোহানও ফের বোলার পরিবর্তন করেন। এবার আনেন রাকিবুলকে। বিষয়টি ডাগআউট থেকে লক্ষ্য করেন সাকিব। সঙ্গে সঙ্গে আপত্তি জানান।
বরিশালের ড্রেসিংরুম থেকে বেরিয়ে প্রথমে বাউন্ডারি রোপের কাছে দাঁড়িয়ে নিজের ব্যাটারদের উঠে আসার আহ্বান জানান। ঘটনা সামাল দিতে এগিয়ে যান চতুর্থ আম্পায়ার মোজাহিদুজ্জামান। কিন্তু শান্ত করতে পারনেনি। সাকিব সরাসরি মাঠে ঢুকে যান। দুই ওপেনারকেই ফিরে আসতে বলেন। দুই অনফিল্ড আম্পায়ার গাজী সোহেল ও রাভেন্দ্র উইমালসারি সাকিবকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। সোহানকেও কথা বলতে দেখা যায় সাকিবের সঙ্গে। পরে বুঝিয়ে শুনিয়ে ড্রেসিং রুমে ফেরত পাঠানো হয় সাকিবকে। কিন্তু ঘটনাটি ভালোই উত্তেজনা সৃষ্টি করে শেরেবাংলায়। এর জন্য ইনিংশ শুরু হতেও বিলম্ব হয়।
ঘটনার পর ফরচুন বরিশালের ম্যানেজার সাজ্জাদ আহমেদ শিপন সাকিবের মাঠে যাওয়ার ব্যাখ্যা দেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী কোনও বোলার বল করবেন তা ঠিক হওয়ার পর ব্যাটসম্যানরা কে স্ট্রাইক নেবেন তা ঠিক হয়। এক্ষেত্রে শেখ মেহেদীকে বল করতে আসতে দেখে চতুরঙ্গ ডি সিলভার বদলে এনামুল হক বিজয়কে স্ট্রাইকে চাচ্ছিলেন সাকিব। কিন্তু আম্পায়ার সেটার অনুমতি দিতে রাজি হচ্ছিলেন না, এই নিয়ে কথা বলতে মাঠে প্রবেশ করেন তিনি।’