মুশফিকদের বিদায়, কোয়ালিফায়ারে মিরাজদের চট্টগ্রাম
লক্ষ্যটা ছিল খুব কঠিন। জিততে হলে খুলনা টাইগার্সকে করতে হতো ১৯০ রান। এই রান তাড়ায় অনেক কাছাকাছি চলে যায় খুলনা। কিন্তু শেষ মুহূর্তে তীরে এসে তরী ডুবল খুলনার। শেষ ওভারে মেহেদী হাসান মিরাজের দারুণ বোলিংয়ে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের কাছে হেরে আসর থেকে বিদায় নিল খুলনা টাইগার্স।
আজ সোমবার প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচে খুলনাকে সাত রানে হারিয়ে চলমান বিপিএলের কোয়ালিফায়ার রাউন্ড নিশ্চিত করল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে আজ প্রথম কোয়ালিফায়ারে সন্ধ্যায় মুখোমুখি হবে বরিশাল ও কুমিল্লা। ওই ম্যাচের জয়ী দলের বিপক্ষে আগামী বুধবার ফাইনালে যাওয়ার মিশনে নামবে চট্টগ্রাম।
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও খুলনা টাইগার্সের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে আজ মাঠে গড়াল বিপিএলের প্লে-অফের লড়াই। টুর্নামেন্টে টিকে থাকার মিশনে আগে ব্যাট করতে নেমে চ্যাডউইক ওয়ালটনের ব্যাটে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে স্কোরবোর্ডে ১৮৯ রান তুলেছে চট্টগ্রাম।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে চট্টগ্রামের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮৯ রানের ইনিংস উপহার দিয়েছেন ওয়ালটন। তাঁর ইনিংসটি সাজানো মাত্র ৪৪ বলে। এ সময়ে খেলেছেন সাতটি করে বাউন্ডারি ও ছক্কা।
ওপেনার জাকির হাসান অনিক আজও ভালো করতে পারেননি। তিনি রানের খাতাও খুলতে পারেননি। আরেক ওপেনার কেনার লুইস করেছেন ৩৯ রান। দেশীয়দের মধ্যে আফিফ হোসেন ও শামীম হোসেন ভালো না করলেও ভালো করেছেন মিরাজ। তিনি খেলেছেন ৩০ বলে ৩৬ রানের ইনিংস।
এলিমিনেটর ম্যাচের আগে বড় ধাক্কা খেয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। পুরো টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত খেলা উইল জ্যাকসকে এ ম্যাচে পায়নি তারা। মাঠে আসার ঠিক আগে অসুস্থ হওয়ায় ফাইনালের পথে টিকে থাকার লড়াইয়ে খেলতে পারেননি আগ্রাসী এ ওপেনার। কিন্তু, তাঁর না থাকার আক্ষেপ মিটে যায় চ্যাডইউক ওয়ালটনের ঝড়ে। ওয়ালটনের ব্যাটেই লড়াইয়ের পুঁজি পেয়ে গেছে আফিফ হোসেনের দল।
জবাব দিতে নেমে আশা জাগিয়েও পারল না খুলনা। শেষ ওভারে মিরাজের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১৮২ রানে থেমে যায় খুলনা। ৫৮ বলে ৮০ রানের ইনিংস খেলেও দলকে বাঁচাতে পারেননি খুলনার ব্যাটার আন্দ্রে ফ্লেচার। ২৯ বলে ৪৩ রান করেন মুশফিকুর রহিম। ইয়াসির আলী খেলেন ৪৫ রানের ইনিংস।
বল হাতে ৪০ রান দিয়ে দুটি উইকেট নেন মিরাজ। একটি করে নেন নাসুম, বেনি হাওয়েল ও মৃত্যুঞ্জয়।