সাকিবের হাফসেঞ্চুরিতে কুমিল্লাকে চ্যালেঞ্জ বরিশালের
চলমান বিপিএলে সময় গড়াতেই ধার বাড়ছে সাকিব আল হাসানের ব্যাটে। শুরুর দিকে ব্যাট হাতে মলিন সাকিব ক্রমেই নিজেকে খুঁজে পাচ্ছেন। শেষ কয়েক ম্যাচে রান পেয়েছেন। আজও ব্যতিক্রম হয়নি। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে ব্যাট হাতে হাফসেঞ্চুরি করেছেন তিনি। অধিনায়কের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে কুমিল্লাকে ১৫৬ রানের চ্যালেঞ্জ দিতে পেরেছে ফরচুন বরিশাল।
আজ সোমবার দিনের প্রথম ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে কুমিল্লার বিপক্ষে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৫৫ রান করেছে ফরচুন বরিশাল। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৭ বলে ৫০ রানের ইনিংস উপহার দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। তাঁর ইনিংসটি সাজানো ছিল চার বাউন্ডারি ও দুই ছক্কায়।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকট স্টেডিয়ামে ম্যাচটিতে টস জিতে বরিশালকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় কুমিল্লা। আগে ব্যাটিংয়ে দারুণ শুরুর আভাস দেয় বরিশাল। ওপেনিং জুটিতে ক্রিসে গেইল ও মুনিমের ব্যাটে ৩২ রান তোলে তারা। এরপর গেইলকে থামিয়ে এই জুটি ভাঙেন তানভীর ইসলাম। ৮ বলে ১০ করে ফেরেন ক্যারিবীয় তারকা।
তিনে ব্যাট করতে নামা নাজমুল হোসেন শান্তকেও টিকতে দেয়নি কুমিল্লা। তানভীরের বলে তিনিও সাজঘরে ফেরেন। তবে, দুই সতীর্থ ফিরলেও ৪৫ রানের দারুণ ইনিংস উপহার দেন মুনিম। পঁচিশ বলে এ ইনিংস খেলেন তিনি।
মুনিমের সঙ্গে ব্যাট হাতে সমান ছন্দে ছিলেন সাকিবও। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে তিনি খেলে যান ৫০ রানের ইনিংস। হাফসেঞ্চুরি ছোঁয়ার পর বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়েই মুমিনুলের হাতে ক্যাচ হয়ে ফেরেন তিনি।
সাকিব ফিরলে শেষ দিকে তৌহিদ ও ব্রাভোরদের ব্যাটে চড়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে ১৫৬ রানের লক্ষ্য দেয় ফরচুন বরিশাল।
কুমিল্লার হয়ে বল হাতে ৩০ রান দিয়ে ১টি উইকেট নেন মুস্তাফিজ। ২১ রান দিয়ে এক উইকেট নেন মঈন আলী। করিম জান্নাত দুই রান দিয়ে নেন একটি। তানভীর ইসলাম নেন দুটি উইকেট।
চলমান বিপিএলে কুমিল্লা ও বরিশাল—দুদলই সমান ছন্দে আছে। পয়েন্ট টেবিলে সমান ৯ পয়েন্ট নিয়ে ইমরুলের কুমিল্লা-সাকিবের বরিশাল প্রথম দুটি স্থানে আছে। সাকিবদের চেয়ে রানরেটে এগিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে আছে কুমিল্লা। টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত ছয় ম্যাচ খেলে কুমিল্লার হার মাত্র একটি। আর এক ম্যাচ বেশি খেলে বরিশালের হার দুটি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ফরচুন বরিশাল : ২০ ওভারে ১৫৫/৫ ( মুনিম ৪৫, গেইল ১০, সাকিব ৫০, শান্ত ১, তৌহিদ ৩১, ব্রাভো ১০, নুরুল ৩; মুস্তাফিজ ৪-০-৩০-১, নারাইন ৪-০-২৫-০, তানভীর ৩-০-২২-৩, মঈন ৩-০-২১-১, জান্নাত ২-০-৬-১, সুমন ১-০-১৬-০, নাহিদুল ৩-০-৩০-০)।