বাংলাদেশ থামল ৩০৫ রানে
প্রথম দিনের শুরুটা অস্ট্রেলিয়ার হলেও শেষটা নিজেদের করে নেয় বাংলাদেশ। ৬ উইকেটে ২৫৩ রানে প্রথম দিনটা শেষ করে টাইগাররা। ক্রিকেটভক্তরা আশা করছিল, শেষ চার উইকেটে যদি আর ৫০টা রান যোগ করা যায়! ভক্ত-সমর্থকদের কথা রেখেছেন মুশফিক-নাসির-মিরাজরা। আজ প্রথম সেশনে আরো ৫২ রান যোগ করেছে বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত অলআউট হওয়ার আগে ৩০৫ রান করেছে মুশফিকের দল। বাংলাদেশের রানটা তিনশ পার হওয়ায় কিছুটা হলেও মানসিকভাবে পিছিয়ে থাকবে অস্ট্রেলিয়া।
দ্বিতীয় দিনের ব্যাটিংয়ে নেমে আজ সকালেই ধাক্কা খায় স্বাগতিক শিবির। দিনের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ফিরে যান মুশফিকুর রহিম। প্রথম দিন ৫ উইকেট নেওয়া নাথান লায়নের শিকার হন টাইগার অধিনায়ক। লায়নের বলটা ব্যাট দিয়ে কোনোমতে ঠেকাতে পারলেও গড়িয়ে সেটা আঘাত হানে স্টাম্পে। ৬৮ রান করেন মুশি। এরপর দলীয় ২৯৩ রানে অ্যাশটন অ্যাগারের বলে আউট হন নাসির হোসেন। উইকেটের পেছনে দারুণ এক ক্যাচ নেন ম্যাথু ওয়েড। ৪৫ রান করেন নাসির। এরপর রানআউট হয়ে ফিরে আসেন মেহেদী হাসান মিরাজ। আর শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে লায়নের বলে স্মিথকে ক্যাচ দেন তাইজুল ইসলাম। লায়ন একাই নেন ৭টি উইকেট।
গতকাল টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দিনের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হয়ে ফিরে যান তামিম ইকবাল। দলের রান তখন ১৩। নাথান লায়নের বলে লেগবিফোর হন এই টাইগার ওপেনার। প্রথম টেস্টের উভয় ইনিংসে হাফসেঞ্চুরি করা তামিম আউট হন ৯ রান করে।
১৪তম ওভারের লায়ন ফেরান ইমরুলকে। লেগবিফোর হয়েছিলেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। অসি ফিল্ডারদের আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। তবে রিভিউ চেয়ে বসেন লায়ন। রিপ্লেতে দেখে ইমরুলকে আউট ঘোষণা করেন টিভি আম্পায়ার। বাংলাদেশের স্কোর তখন ২১।
এরপর ৪৯ রানের জুটি বেঁধে ম্যাচে বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে চলছিলেন সৌম্য-মুমিনুল। দলীয় ৭০ রানে নাথান লায়নের তৃতীয় শিকার হয়ে ফিরে যান ৩৩ রান করা সৌম্য সরকার। লাঞ্চের পর নাথান লায়নের চতুর্থ শিকার হন মুমিনুল হক। ৬৭ বলে ৩১ রান করেন প্রথম টেস্টের দলে না থাকা ‘বাংলাদেশের ব্র্যাডম্যান’খ্যাত মুমিনুল।
এরপর সাকিব-মুশফিক মিলে যোগ করেন ৩২ রান। তবে অ্যাশটন অ্যাগারের বলে উইকেটরক্ষককে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব। ৫২ বলে ২৪ রান করেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
সাকিব ফেরার পর মুশফিকুর রহিম ও সাব্বির রহমানের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে বাংলাদেশ। এই জুটি থেকে আসে ১০৫ রান। মুশফিক কিছুটা দেখেশুনে খেললেও সাব্বির খেলেন ওয়ানডের মেজাজে। তবে এক বিতর্কিত আউটে সাজঘরে ফিরে যান সাব্বির। তখন তাঁর ঝুলিতে ছিল ৬৬ রান। দিনের শেষ সময়ে অবশ্য আর কোনো বিপদ ঘটতে দেননি মুশফিক ও নাসির।