আবার ফিরলেন শাহরিয়ার নাফীস
শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচটা খেলেছিলেন ২০১৩ সালের এপ্রিলে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে। শেষ ওয়ানডে খেলেছিলেন আরো আগে। ২০১১ সালের জানুয়ারিতে। শাহরিয়ার নাফীসকে আবার বাংলাদেশ জাতীয় দলে দেখার আশা হয়তো ছেড়েই দিয়েছিলেন তাঁর ভক্তরা। কিন্তু দীর্ঘ বিরতির পর সত্যিই আবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে পারেন নাফীস। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের জন্য ঘোষিত প্রাথমিক দলে নাফীসকে অন্তর্ভুক্ত করে বড়সড় চমকই দিয়েছেন বাংলাদেশের নির্বাচকরা।
২০০৫ সালে বেশ সাড়া জাগিয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল শাহরিয়ার নাফীসের। অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ন্যাটওয়েস্ট সিরিজে চার ম্যাচে একটি অর্ধশতকসহ করেছিলেন ১৪৩ রান। নিজেকে আরো ভালোভাবে চিনিয়েছিলেন ২০০৬ সালে। বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ওয়ানডেতে এক বছরে করেছিলেন এক হাজারের বেশি রান। ২০০৬ সালে আইসিসির সেরা উদীয়মান খেলোয়াড়ের পুরস্কারও জিতেছিলেন বাঁ-হাতি এই ওপেনার। ২০০৭ সাল থেকে ভালোই জমতে শুরু করেছিল নাফীস-তামিমের উদ্বোধনী জুটি। কিন্তু ২০০৮ সালে ভারতের বিদ্রোহী টি-টোয়েন্টি লিগ, আইসিএলে খেলার সিদ্ধান্ত নিয়ে পড়েছিলেন বিপাকে। নিষিদ্ধ করা হয়েছিল প্রতিভাবান এই ব্যাটসম্যানকে।
দীর্ঘ বিরতির পর ২০১০ সালে আবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে পারলেও নিয়মিতভাবে খেলার সুযোগ পাননি নাফীস। ২০১০ সালে খেলেছিলেন মাত্র একটি টেস্ট ও চারটি ওয়ানডেতে। ২০১১ সালে অবশ্য আবার নিজের যোগ্যতা প্রমাণের সুযোগ পেয়েছিলেন নাফীস। জায়গা করে নিয়েছিলেন বিশ্বকাপের দলে। বিশ্বকাপের পর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজেও দেখিয়েছিলেন ভালো নৈপুণ্য। কিন্তু ২০১১ সালের ডিসেম্বরের পর আর জায়গা করে নিতে পারেননি বাংলাদেশের ওয়ানডে দলে। ২০১২ ও ২০১৩ সাল মিলিয়ে খেলতে পেরেছেন মাত্র তিনটি টেস্ট।
সব মিলিয়ে ২৪টি টেস্ট খেলে নাফীস করেছিলেন ১২৬৭ রান। ৭৫টি ওয়ানডে খেলে চারটি শতকসহ করেছেন ২২০১ রান। দীর্ঘদিন পর আবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে পারলে নাফীস নিজের সামর্থ্য প্রমাণ করতে পারবেন কি না, সেটাই দেখার বিষয়।