সুযোগ পেলে নিজের সেরাটা দিতে প্রস্তুত নাফিস
শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচটা খেলেছিলেন ২০১৩ সালের এপ্রিলে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে। শেষ ওয়ানডে খেলেছিলেন আরো আগে। ২০১১ সালের জানুয়ারিতে। শাহরিয়ার নাফীসকে আবার বাংলাদেশ জাতীয় দলে দেখার আশা হয়তো ছেড়েই দিয়েছিলেন তাঁর ভক্তরা। কিন্তু দীর্ঘ বিরতির পর সত্যিই আবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে পারেন নাফীস। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের জন্য ঘোষিত প্রাথমিক দলে নাফীসকে অন্তর্ভুক্ত করে বড়সড় চমকই দিয়েছেন বাংলাদেশের নির্বাচকরা।
দীর্ঘ তিন বছর পর আবার জাতীয় দলের ক্যাম্পে নাফীস। এখন মূল দলে সুযোগ পাবেন কি না, তা হয়তো অজানা। তবে মূল একাদশে সুযোগ পেলে নিজের সবটুকু উজাড় করে দিতে প্রস্তুত এই বাঁ-হাতি ওপেনার।
বুধবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সংবাদ মাধ্যমকে নাফীস বলেন, ‘মূল দলে সুযোগ পাব কি না জানি না। তবে ক্যাম্পে সুযোগ পেয়েছি এটাই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। সুযোগ পেলে দলের সাফল্যে অবদান রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে আমার। সেভাবেই নিজেকে প্রস্তুত করছি আমি।’
আগের তুলনায় জাতীয় দল এখন অনেক উন্নতি করেছে বলেও মনে করেন শাহরিয়ার নাফীস, ‘আসলে তিন বছর আগের জাতীয় দলের সঙ্গে বর্তমান দলটির তুলনা করা ঠিক হবে না। তবে এটুকু বলা যায় সময়ের সাথে সাথে দলটি অনেক উন্নতি করেছে। তা ছাড়া এখন খেলোয়াড়রা অনেক বেশি পেশাদার। তারা জিততে শুরু করেছে। ভবিষ্যতে আরো এগিয়ে যাবে বলে আমার বিশ্বাস।’
২০০৫ সালে বেশ সাড়া জাগিয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল শাহরিয়ার নাফীসের। ২০০৬ সালে বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ওয়ানডেতে এক বছরে করেছিলেন এক হাজারের বেশি রান। সেবার আইসিসির সেরা উদীয়মান খেলোয়াড়ের পুরস্কারও জিতেছিলেন তিনি। কিন্তু ২০০৮ সালে ভারতের বিদ্রোহী টি-টোয়েন্টি লিগ, আইসিএলে যোগ দিয়ে নিষিদ্ধ হন এই প্রতিভাবান ব্যাটসম্যান।
দীর্ঘ বিরতির পর ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরলেও নিয়মিতভাবে খেলার সুযোগ পাননি নাফীস। পরে ২০১১ সালের ডিসেম্বরের পর আর জায়গা করে নিতে পারেননি বাংলাদেশের ওয়ানডে দলে।
সব মিলিয়ে ২৪টি টেস্ট খেলে নাফীস করেছিলেন এক হাজার ২৬৭ রান। ৭৫টি ওয়ানডে খেলে চারটি শতকসহ করেছেন দুই হাজার ২০১ রান। দীর্ঘদিন পর আবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে পারলে নাফীস নিজের সামর্থ্য প্রমাণ করতে পারবেন কি না, সেটাই দেখার বিষয়।