অর্থপাচারের মামলায় আদালতে গিয়ে নিজেকে ‘মজনু’ বললেন শাহবাজ
বিপুল অর্থ বিদেশে পাচারের মামলার আসামি হিসেবে আদালতে হাজিরা দিতে গিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ নিজেকে ‘মজনু’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। পাকিস্তানের ডন অনলাইনের খবরে এ কথা জানানো হয়।
পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় সাড়ে ১২ বছর কোনো বেতন-ভাতা নেননি বলে দাবি করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। সরকারি গাড়ির জ্বালানি নিজের পকেট থেকে দিয়েছেন বলেন তিনি।
আদালতে শাহবাজ বলেন, “আল্লাহ আমাকে এই দেশের প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছেন। আমি আসলে একেবারে ‘মজনু’, আমি আমার আইনগত অধিকার নেইনি, আমি বেতন-ভাতাও নেইনি।”
শাহবাজ শরিফ বলেন, ‘আমার সিদ্ধান্তের কারণে আমার পরিবার দুই বিলিয়ন রুপি হারিয়েছে। আমার ছেলের ইথানল উৎপাদন কারখানা স্থাপন হয়ে গেছে। এমন সময়ও আমি ইথানলে করারোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই সিদ্ধান্তের জন্যও আমার পরিবার বছরে ৮০০ মিলিয়ন রুপি হারিয়েছে।’
দুবছর আগে পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এফআইএ) করা ১৬ বিলিয়ন রুপি পাচারের মামলায় শাহবাজ শরিফের ছেলে পাঞ্জাব প্রদেশের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী হামজা শাহবাজও আসামি রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বাবার সঙ্গে শনিবার হামজা শাহবাজও আদালতে হাজির হন।
গত সপ্তাহে শুনানির সময় পাকিস্তানের বিশেষ আদালতের বিচারক ইজাজ হাসান আওয়ান ২৮ মে (আজ শনিবার) পর্যন্ত জামিন বাড়িয়ে দেন। পরে বিচারক এফআইএ’র আইনজীবী ফারুক বাজওয়ার উদ্দেশে বলেন, ‘শাহবাজ শরিফের ছেলে সুলেমান শাহবাজ ও অন্যদের গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে দেওয়া তথ্যে বৈসাদৃশ্য রয়েছে।’
গত ১১ এপ্রিল পাকিস্তানের পার্লামেন্টের ভোটে ২৩তম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) নেতা শাহবাজ শরিফ। দেশটির পার্লামেন্টের ১৭৪ সদস্য তাঁকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করতে ভোট দেন। শাহবাজ শরিফ প্রথমবার পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হন ১৯৯৭ সালে, যখন তার ভাই নওয়াজ শরিফ দেশটির প্রধানমন্ত্রী। এরপর ২০০৮ সালে দ্বিতীয় ও ২০১৩ সালে তৃতীয়বার পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হন তিনি। বর্তমানে তাঁর ছেলে হামজা শাহবাজ প্রদেশটির মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন।