বিশ্বসেরা ১০০ বই
হোর্হে লুইস বোর্হেসের ‘কালেক্টেড ফিকশনস’
আর্জেন্টিনার বিখ্যাত লেখক ও কবি হোর্হে লুইস বোর্হেসের লেখা ছোটগল্পের সংকলনের বই এটি। অনেক পাঠক ও লেখক বলে থাকেন, বোর্হেসের লেখা বোঝার জন্য এটাই সবচেয়ে ভালো বই। এ ছাড়া বোর্হেসের ছোটগল্পের আরেকটি জনপ্রিয় সংকলন রয়েছে ‘ল্যাবিরিন্থস’ নামে।
স্প্যানিশ ভাষায় লেখা মূল গল্পগুলো থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ করেন জেমস ই. আর্বি। ১৯৬২ সালে প্রকাশিত হয় আর্বির এই অনুবাদ সংকলনটি। এই দুটি সংকলনই ১৯৬০-এর দশকে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা এনে দেয় বোর্হেসকে।
১৯৪১ সালে বোর্হেসের দ্বিতীয় ছোটগল্প সংকলন বের হয় যার ইংরেজি নাম ‘দ্য গার্ডেন অব ফোর্কিং পাথস’। এই গ্রন্থে মোট আটটি ছোটগল্প ছিল। ১৯৪৪ সালে বের হয় বোর্হেসের আরেকটি ছোটগল্পের বই যাতে গল্প ছিল ছয়টি। ১৯৪৮ সালে ‘দ্য গার্ডেন অব ফোর্কিং পাথস’ বইটি ইংরেজিতে অনুবাদ করেন অ্যান্থোনি বাউচার।
লেখক পরিচিতি
হোর্হে লুইস বোর্হেসের পুরো নাম জর্জ ফ্রান্সিসকো ইসিদারো লুইস বোর্হেস। তাঁর জন্ম ১৮৯৯ সালের ২৪ আগস্ট। একইসঙ্গে তিনি ছিলেন ছোট গল্পকার, প্রাবন্ধিক, কবি ও অনুবাদক। স্প্যানিশ সাহিত্যে তিনি একজন গুরুত্বপূর্ণ লেখক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।
১৯৪০-এর দশকে প্রকাশিত বোর্হেসের বিখ্যাত বইগুলোর মধ্যে রয়েছে ফিকশন্স ও দ্য আলেফ। বোর্হেসের ছোটগল্পগুলো নির্দিষ্ট বিষয়বস্তুর ওপর রচিত যেমন স্বপ্ন, পাঠাগার, আয়না, দর্শন ও ধর্ম।
১৯১৪ সালে বোর্হেসের পরিবার সুইজারল্যান্ডে চলে যায়। সেখানেই লেখাপড়া করেন বোর্হেস। তাঁর পরিবার পুরো ইউরোপেই ঘুরে বেড়ায়। স্পেনেও তাঁরা অনেকদিন বসবাস করেন। ১৯২১ সালে আর্জেন্টিনায় ফিরে আসেন বোর্হেস। এখান থেকেই তাঁর কবিতা ও গল্প প্রকাশিত হয়। লেখালেখির পাশাপাশি একজন লাইব্রেরিয়ান ও পাবলিক লেকচারার হিসেবেও কাজ করেন বোর্হেস।
১৯৫৫ সালে আর্জেন্টিনার ন্যাশনাল পাবলিক লাইব্রেরির পরিচালক ও ইউনিভার্সিটি অব বুয়েন্স আয়ার্সের ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপক হিসেবে নিযুক্ত হন তিনি। ৫৫ বছর বয়সে পুরোপুরি অন্ধ হয়ে যান বোর্হেস। ফলে তিনি এরপর থেকে আর কিছু পড়তে পারেননি। অনেক গবেষক মনে করেন, অন্ধত্ব তাঁর চিন্তার জগতকে আরো বিস্তৃত করেছে যা তাঁর লেখালেখিকে প্রভাবিত করেছে।
১৯৬০-এর দশক থেকেই আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বোর্হেসের পরিচিতি বাড়তে থাকে। বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় তাঁর লেখা কবিতা ও গল্প অনুবাদ হতে থাকে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বোর্হেসের লেখার অনুবাদ প্রকাশিত হতে থাকে।
বোর্হেস নিজেই বেশ কয়েকটি ভাষায় পারদর্শী ছিলেন। বোর্হেস তাঁর শেষ কাজটি ‘দ্য কন্সপিরেটর্স’ উৎসর্গ করেছিলেন সুইজারল্যান্ডের জেনেভা শহরকে। ১৯৮৬ সালের ১৪ জুন মারা যান বোর্হেস।
** বিশ্বসেরা ১০০ বইয়ের তালিকাটি তৈরি করা হয়েছে ব্রিটিশ পত্রিকা ‘দ্য গার্ডিয়ান’-এ প্রকাশিত তালিকা অবলম্বনে। এ তালিকা তৈরি করেছে ‘নরওয়েজিয়ান বুক ক্লাবস’। বিশ্বের ৫৪টি দেশের ১০০ লেখকের কাছে তাঁদের চোখে সেরা ১০টি বই ও লেখকের নাম চেয়েছিল নরওয়েজিয়ান বুক ক্লাবস। ১০০ জন লেখকের দেওয়া সেই তালিকার ভিত্তিতেই যাচাই-বাছাই করে তৈরি করা হয়েছে এই তালিকা।
আরো পড়ুন...
১৭. নাগিব মাহফুজের ‘চিলড্রেন অব গেবেলোই’
১৬.কাফকার ‘দ্য ক্যাসেল’
১৫. জেফ্রি চসারের ‘দ্য ক্যান্টারবেরি টেলস’
১৪. টমাস মানের ‘বাডেনব্রুকস’
১৩.ফিওদোর দস্তয়েভস্কির ‘দ্য ব্রাদার্স কারামজোভ’
১২.বুক অব জব
১১.ফার্নান্দো পেসোয়ার ‘দ্য বুক অব ডিসকোয়ায়েট’
১০. হোসে সারামাগোর ব্লাইন্ডনেস
৯. আলফ্রেড ডোবলিনের বার্লিন আলেক্সান্দারপ্লাটজ
৮. টনি মরিসনের ‘বিলাভড’
৭. তলস্তয়ের ‘আন্না কারেনিনা’
৬. ভার্জিলের ঈনিড
৫. মার্ক টোয়েনের ‘দি অ্যাডভেঞ্চার্স অব হাকেলবেরি ফিন’
৪. উইলিয়াম ফকনারের ‘আবসালোম, আবসালোম!’
৩. গুস্তাভ ফ্লোবার্টের ‘সেন্টিমেন্টাল এডুকেশন’
২. হেনরিক ইবসেনের ‘এ ডলস হাউস’
১. জর্জ অরওয়েলের ‘নাইনটিন এইট্টি ফোর’