খুলনায় তৈরি হচ্ছে অত্যাধুনিক বর্জ্য শোধনাগার
খুলনা সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে শুরু হয়েছে আধুনিক বর্জ্য শোধনাগারের নির্মাণকাজ। এ ছাড়া শুরু হয়েছে আরও এক প্রকল্পের কাজ। প্রায় শত কোটি টাকা ব্যয়ের প্রকল্প দুটি থেকে উৎপাদন হবে ডিজেল, গ্যাস, কম্পোস্ট সার।
আজ বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে ডুমুরিয়া উপজেলার শলুয়া ডাম্পিং পয়েন্টে প্রধান অতিথি হিসেবে দুই প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন খুলনা সিটির মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।
এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় নগর অঞ্চল উন্নয়ন প্রকল্পের (সিআরডিপি-২) আওতায় কেসিসি ও এলজিইডি যৌথভাবে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। বর্জ্য পরিশোধনাগারের আওতায় পৃথক পৃথকভাবে কম্পোস্ট প্লান্ট, প্লাস্টিক রিসাইক্লিং প্লান্ট, বায়োগ্যাস প্লান্ট, ওয়ার্কশপ, পাম্প, সাবস্টেশন, লিডেট ট্রিটমেন্ট ফ্যাসিলিটি, ল্যান্ডফিল সেল, ফায়ার হাইড্রেন্ট, সীমানা প্রাচীর, অভ্যন্তরীণ সড়ক, ড্রেন ও পুকুর এবং প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে।
আগামী এক বছরে এই দুই প্রকল্পের কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। জানানো হয়, বর্জ্য পরিশোধনাগারে থ্রি-আর পদ্ধতিতে, অর্থাৎ বর্জ্য হ্রাস, পুনর্ব্যবহার ও পুনঃচক্রায়নের মাধ্যমে প্রতিদিন ৩৭৫ টন বর্জ্য পরিশোধন করা যাবে। বর্জ্য থেকে প্রতিদিন ১৫ টন কম্পোস্ট সার, বায়োগ্যাস থেকে বিদ্যুৎ ও প্লাস্টিক বর্জ্য থেকে প্রতিদিন পাঁচ হাজার লিটার ডিজেল উৎপাদন করা যাবে।
এ ছাড়া দূষিত পানি বাইরে না ফেলে পরিশোধনের মাধ্যমে প্রকল্পের কাজে ব্যবহার, ওয়েস্ট টু এনার্জি প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ তৈরি করে প্লান্টের চাহিদা মেটানো এবং উৎপাদিত সার বিক্রির মাধ্যমে রাজস্ব আয় করা সম্ভব হবে।
একই প্রকল্পের আওতায় খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) সামনের অ্যাপ্রোচ রোড (ড্রেনসহ) নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন। এক হাজার ১৮৫ মিটার দৈর্ঘ্যের এ সড়কটি নির্মাণে ব্যয় হবে প্রায় ২২ কোটি ৮৫ লক্ষ টাকা।
উদ্বাধনী অনুষ্ঠানে কেসিসির মেয়র প্যানেলের সদস্য, কাউন্সিলর, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও সাংবাদিকবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।