হিলি ট্রেন ট্র্যাজেডি দিবস আজ
আজ ১৩ জানুয়ারি, দিনাজপুরের হিলি ট্রেন ট্র্যাজেডি দিবস। আজ থেকে ২১ বছর আগে হিলি রেলস্টেশনে দুটি ট্রেনের মুখোমুখি ভয়াবহ সংঘর্ষে বহু হতাহতের ঘটনা ঘটে। সেই দিনের কথা আজও ভুলতে পারেনি হিলিবাসী।
১৯৯৫ সালের ১৩ জানুয়ারি, দিনটি ছিল শুক্রবার। রাত সোয়া ৯টার দিকে গোয়ালন্দ থেকে পার্বতীপুরগামী ৫১১ নম্বর লোকাল ট্রেনটি হিলি রেলস্টেশনের ১ নম্বর লাইনে এসে দাঁড়ায়। এর কিছুক্ষণ পর সৈয়দপুর থেকে খুলনাগামী ৭৪৮ নম্বর আন্তনগর সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনটি একই লাইনে ঢুকে পড়ে। এ সময় ঘটে যায় ভয়াবহ মুখোমুখি সংঘর্ষ। এতে বিকট শব্দে গোয়ালন্দ লোকাল ট্রেনের ইঞ্জিনসহ দুটি বগি দুমড়েমুচড়ে আন্তনগর ট্রেনের ওপর উঠে যায়।
ভয়াবহ এই ট্রেন দুর্ঘটনায় দুটি ট্রেনের অর্ধশতাধিক যাত্রী নিহত হয়। আহত হয় দুই শতাধিক। নিহতদের অনেকের দেহ ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে থাকে। পরে স্থানীয় মানুষ, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের লোকজনের সহায়তায় লাশ উদ্ধারসহ আহতদের দ্রুত উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠায়। সে সময় সরকারিভাবে নিহতের সংখ্যা ২৭ জন ঘোষণা করা হয়। আর আহতের সংখ্যা বলা হয় শতাধিক।
খবর পেয়ে ছুটে আসেন বিএনপি সরকারের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। ঘোষণা দেন নিহত ও আহতদের আর্থিক ক্ষতিপূরণের। এদের মধ্যে অনেকে ক্ষতিপূরণ পেলেও কয়েকজন আজও পায়নি তাদের ক্ষতিপূরণের টাকা।
ক্ষতিগ্রস্ত কয়েকটি পরিবার ও এলাকার লোকজন জানায়, তাৎক্ষণিক ট্রেন দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে স্থানীয় প্রশাসন ও রেল কর্তৃপক্ষ তাদের প্রাথমিক তদন্তে হিলি রেলস্টেশনের কর্তব্যরত স্টেশন মাস্টার ও পয়েন্টসম্যানের দায়িত্বহীনতাকেই দায়ী করেছেন।
এদিকে বাংলা হিলি রেলওয়ে একতা ক্লাব সূত্রে জানা গেছে, বাংলা হিলি ক্লাব চত্বরে ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। পাশাপাশি আলোচনা সভা ও কালো ব্যাজ ধারণের কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে রেলওয়ে ঈশ্বরদীর পাকশী বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (ডিটিও) শওকত জামিল মহসীন মুঠোফোনে জানান, ২১ বছর আগের ঘটনা। তাই বিষয়টি তাঁর জানা নেই। সাধারণত ১০ বছর পর কোনো ঘটনার আলামত নষ্ট করা হয়।