এমপি লিটন হত্যায় জড়িতরা শনাক্ত, রহস্য উদঘাটন
গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সাংসদ (এমপি) মনজুরুল ইসলাম লিটন হত্যা মামলায় জড়িতদের শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক।
আজ সোমবার সকালে সাভারের আশুলিয়ায় নারী পুলিশ কনস্টেবলদের বিশেষায়িত প্রশিক্ষণের সমাপনী কুচকাওয়াজ পরিদর্শন শেষে আইজিপি এ কথা বলেন।
শহীদুল হক বলেন, জড়িতরা নজরদারিতে আছে। যেকোনো মুহূর্তে আটক করা হবে তাদের। এ ছাড়া হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আইজিপি বলেন, ‘১০ জানুয়ারি আমি সুন্দরগঞ্জে যাই। সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা আবদুল হক ডিগ্রি কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভায় জনগণকে ওয়াদা করেছিলাম, সুন্দরগঞ্জসহ এ দেশে সন্ত্রাসীদের কোনো জায়গা হবে না। এমপি লিটন হত্যাকারীরাও পার পাবে না। আমরা কথা রেখেছি। কারা পরিকল্পনায় ছিল, হত্যাকাণ্ডে কে কোন ভূমিকায় ছিল—আমরা আদ্যোপান্ত সব বের করেছি।’
হত্যাকাণ্ডটি রাজনৈতিক, না পরিবারকেন্দ্রিক—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে পুলিশের আইজিপি বলেন, ‘সময় হলে সবই জানতে পারবেন।’
চট্টগ্রামে মিতু হত্যাকাণ্ড নিয়ে অপর এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশের আইজিপি বলেন, যথাযোগ্য প্রমাণ ছাড়া সাবেক হলেও একজন সাবেক পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা সমীচীন হবে না। তবে প্রমাণ পেলে এ ঘটনায় সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারকে গ্রেপ্তার করা হবে বলেও জানান তিনি।
আইজিপি পরে শিল্প পুলিশের বহুতল ব্যারাক ও অস্ত্রাগার ভবনের নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিল্প পুলিশের মহাপরিচালক (ডিজি) আবদুস সালাম, শিল্প পুলিশ-১-এর পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান, ঢাকার পুলিশ সুপার শাহ মিজান শাফিউর রহমান।
গত ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের সাহাবাজ গ্রামে নিজ বাড়িতে এমপি লিটন গুলিবিদ্ধ হন। পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। ওই দিন এ ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় পাঁচজনকে আসামি করে সুন্দরগঞ্জ থানায় একটি মামলা করা হয়। এরই মধ্যে এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে কয়েকজনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।