ধর্ষণের পর গর্ভপাত : স্কুলছাত্রীকে খুঁজে পাচ্ছে না পুলিশ
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ ও পরে গর্ভপাতের ঘটনার তদন্তে নেমে বিপাকে পড়েছে সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ। আদালতের নির্দেশে তদন্তের জন্য ওই কিশোরীর বাড়িতে গিয়ে কাউকেই খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রুহুল আমিন তালুকদার জানান, একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় ময়মনসিংহের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের আদালতে ৬ ফেব্রুয়ারি একটি মামলা করা হয়েছে। ওই মামলার বাদী হয়েছেন ধর্ষণের শিকার কিশোরীর মা। মামলার পর আদালতের বিচারক মো. হেলাল উদ্দিন ১৬ ফেব্রুয়ারি শুনানি শেষে পুলিশকে এ ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দেন।
রুহুল আমিন তালুকদার জানান, গত ২০ ফেব্রুয়ারি আদালতের আদেশের কপি থানায় পৌঁছায়। আদালতের আদেশে সাত কর্মদিবস সময় দিয়ে ঘটনার সত্যতাসহ ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরীর চিকিৎসা পরীক্ষা সম্পন্ন করে প্রতিবেদন দাখিলের কথা বলা হয়েছে।
পরে থানা থেকে ওই ঘটনার তদন্তে উপপরিদর্শক (এসআই) খুরশেদ আলম ভূঁইয়াকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু পুলিশের উপপরিদর্শক ওই বাড়িতে গিয়ে কাউকেই খুঁজে পাননি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তিন মাস আগে ঈশ্বরগঞ্জে সপ্তম শ্রেণির ওই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করেন মোবারক মোড়ল নামের একজন। পরে কিশোরী গর্ভবতী হয়ে গেলে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে কৌশলে গর্ভপাত ঘটান মোবারক। বিষয়টি জানাজানি হয়ে পড়লে ওই কিশোরী আর তার মাকে মেরে ফেলার হুমকি দেন মোবারক। সেই ভয়ে ওই কিশোরীর পরিবার থানায় অভিযোগ দায়ের করতে যাননি।
এ বিষয়ে কিশোরীর স্কুলের প্রধান শিক্ষক শেখ সালাহউদ্দিন জানান, এমন ঘটনা তাঁর জানা নেই।
আর ওই স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি তারুন্দিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুর রব জানান, ঘটনাটি তিনি জানেন। উচাখিলা ইউনিয়নের মোবারক মোড়ল এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে কৌশলে গর্ভপাত করিয়েছেন। ভবিষ্যতে যেন কেউ এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে পার না পায়, সে জন্য তিনি ধর্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।