দিনাজপুরে বয়লার বিস্ফোরণে আরো দুজনের মৃত্যু
দিনাজপুর সদর উপজেলার রানীগঞ্জে যমুনা অটোমেটিক রাইস মিলে বয়লার বিস্ফোরণের ঘটনায় আরো দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৫ জনে।
আজ বুধবার সকালে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁরা মারা যান। তাঁরা হলেন মাজেদুল ইসলাম ও এনামুল হক। তাঁদের বাড়ি দিনাজপুর জেলার চাঁদগঞ্জ-বনকালী গ্রামে।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের বিভাগীয় প্রধান ডা. মারুফল ইসলাম এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত ১৯ এপ্রিল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে যমুনা অটোমেটিক রাইস মিলের বয়লার বিস্ফোরিত হয়। এতে ২৮ জন দগ্ধ হন। তাঁদের প্রথমে দিনাজপুরের এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ২২ জনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই রাতেই মোকসেদ আলী (৪৮) মারা যান। পরের দিন বৃহস্পতিবার আরিফুল ইসলামের (৪৫) মৃত্যু হয়। তাঁদের সবার বাড়ি দিনাজপুর সদর উপজেলার চাঁদগঞ্জ গ্রামে। এরপর বিভিন্ন সময়ে আরো ১০ জনের মৃত্যু হয়।
নিহতরা হচ্ছেন—চালকলের ব্যবস্থাপক রণজিৎ বসাক, শ্রমিক মনোরঞ্জন, শফিকুল ইসলাম, উদয়, দেলোয়ার, দুলাল চন্দ্র, অঞ্জনা দেবী, মোসাদ্দেক আলী, রুস্তম আলী, মুকুল চন্দ্র, মুন্না ও রিপন।
এ ঘটনা তদন্তে দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে ছয় সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে জেলা প্রশাসন।
বয়লার বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত শ্রমিক রিপনের স্ত্রী মর্জিনা বেগম বাদী হয়ে মিল মালিক সুবল ঘোষ ও মিলের কর্মচারী একরামুলসহ তিনজনকে আসামি করে মামলা করেছেন।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রেদোয়ানুল রহিম জানান, কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে বয়লার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে মামলার বিবরণে বলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।