ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন সাজা
পাবনায় ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ ও এক লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন টাইবুন্যালের বিচারক (জেলা জজ) গাজী রহমান। আজ মঙ্গলবার দুপুরে তিনি এ রায় দেন।
দণ্ড পাওয়া আবদুল মমিনের (৩০) বাড়ি পাবনা সদর উপজেলার ভজেন্দ্রপুর গ্রামে।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আবদুস সামাদ খান রতন জানান, ২০০৫ সালের ১২ জুন আবদুল মমিন ও ছালাম একই গ্রামের লালু প্রামাণিকের কিশোরী মেয়ে শরীফা খাতুনকে অপহরণের পর ওই গ্রামের একটি বাড়ির পেছনে নিয়ে ধর্ষণের পর হত্যা করে। পরের দিন মমিন ও ছালামকে আসামি করে লালু প্রামাণিক পাবনা সদর থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় ১৬ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে দীর্ঘ শুনানির পর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক গাজী রহমান আজ এই রায় দেন। আসামি ছালামের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাঁকে বেকসুর খালাস দেন।
আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন সনৎ কুমার সরকার এবং রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের পিপি আবদুস সামাদ খান রতন।