মোরশেদ খানের বিরুদ্ধে সিটিসেলের ৫ কর্মকর্তার মামলা
দেড় কোটি টাকা মজুরি পাওনার অভিযোগে সিটিসেলের পরিচালক ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মোরশেদ খানসহ আটজনের বিরুদ্ধে ঢাকার প্রথম শ্রম আদালতে পাঁচটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আজ সোমবার ঢাকার প্রথম শ্রম আদালতের বিচারক বেগম তাবাসসুমের আদালতে সিটিসেলের পাঁচ কর্মকর্তা হাজির হয়ে মামলাগুলো করেন। কর্মকর্তারা হলেন টিপু সুলতান, কাজী রুহুল কুদ্দুস, হাসান মাহমুদ, এ কে এম এহসানউল আজাদ ও মোসাদ্দেক মিলন।
আদালতের কর্মকর্তা গুলশান আরা এনটিভি অনলাইনকে বলেন, বিচারক মামলাগুলো গ্রহণ করে আগামী ৪ অক্টোবর বিবাদীদের জবাব দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
মোরশেদ খান ছাড়া মামলায় বিবাদী করা হয়েছে প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেডের (সিটিসেল) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মেহবুব চৌধুরী, পরিচালক ও মোরশেদ খানের স্ত্রী নাসরিন খান, পরিচালক আসগর করিম, চিফ ফিন্যানশিয়াল অফিসার এবং প্রভিডেন্ড ফান্ড ট্রাস্টির সদস্য তারিকুল হাসান, প্রভিডেন্ড ফান্ড ট্রাস্টির সদস্য মাহফুজুর রহমান, নিশাত আলী ও এ বি সরকার।
ৱবাদীপক্ষের আইনজীবী তানজিম আল ইসলাম বলেন, পর্যায়ক্রমে তাঁদের বিরুদ্ধে আরো ২৫টি মামলা দায়ের করা হবে। তিনি বলেন, আরজিতে বলা হয়েছে মামলার বাদীরা সিটিসেল কোম্পানিতে অনেক দিন ধরে চাকরি করে আসছিলেন। গত বছরের সেপ্টেম্বর মাস থেকে তাঁদের মজুরি দেওয়া বন্ধ করে দেয় সিটিসেল কর্তৃপক্ষ।
মামলায় আরো বলা হয়েছে, পরবর্তী সময়ে দু-তিন মাস যাওয়ার পর বাদীরা মজুরির টাকার জন্য কর্তৃপক্ষকে বলতে থাকেন। কর্তৃপক্ষ ডিসেম্বরের মধ্যে মজুরি পরিশোধের জন্য আশ্বাস দেন। কিন্তু চলতি বছরের মার্চ মাসে তাদের পাওনা টাকা পরিশোধের জন্য সম্মিলিতভাবে সিটিসেল কর্তৃপক্ষকে একটি চিঠি দেন। এরপরও টাকা না দেওয়ায় ২০১৭ সালের ৩ মে সিটিসেল কর্তৃপক্ষকে একটি আইনি নোটিশ পাঠান। নোটিশের পরও টাকা না দেওয়ায় শ্রম আদালতে বাদীরা বাধ্য হয়ে মজুরির দাবিতে মামলাটি করেন।