সিটিসেল খুলছে
দেশের বেসরকারি টেলিযোগাযোগ সংস্থা সিটিসেলের তরঙ্গ খুলে দিচ্ছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন(বিটিআরসি)। আজ রোববার বিকেল থেকে সিটিসেলের তরঙ্গ আবার খুলে দেওয়ার কাজ করছে বিটিআরসি।
রোববার সন্ধ্যায় বিটিআরসির চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আজই সিটিসেল খুলে দেওয়া হবে।’ এ কারণে বিটিআরসির একটি কারিগরি দল সিটিসেল কার্যালয়ে কাজ করছেন বলেও তিনি জানান।
বিটিআরসির চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বকেয়া পরিশোধ না করায় গত ২০ অক্টোবর বন্ধ করে দেওয়া হয় সিটিসেলের তরঙ্গ। ওইদিন আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, ‘বিটিআরসির বকেয়া না দেওয়ায় সিটিসেলের তরঙ্গ স্থগিত করা হয়েছে।’
এ সিদ্ধান্ত স্থগিত চেয়ে ২৪ অক্টোবর চেম্বার কোর্টে আবেদন করে সিটিসেল কর্তৃপক্ষ।
সিটিসেলের কাছে বিটিসিএলের পাওনা সর্বমোট ৪৭৭ কোটি ৫১ লাখ টাকা। গত জুলাই মাসেই সিটিসেলের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ার কথা জানিয়েছিল বিটিআরসি। বিকল্প সেবা গ্রহণের জন্য সিটিসেল গ্রাহকদের গত ১৬ আগস্ট পর্যন্ত সময়ও দেয় বিটিআরসি।
গত ৩ নভেম্বর শর্তসাপেক্ষে বেসরকারি সিটিসেলের তরঙ্গ খুলে দেওয়ার নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে সিটিসেল কর্তৃপক্ষকে ১৯ নভেম্বরের মধ্যে ১০০ কোটি টাকা পরিশোধের নির্দেশ দেওয়া হয়। অন্যথায় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) তরঙ্গ বরাদ্দ বাতিল করতে পারবে।
আদালত বিটিআরসির পাওনা ৪৭৭ কোটি থেকে ৮০ কোটি টাকা কমানোর নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে সিটিসেল ও বিটিআরসির মধ্যে বিষয়টি মীমাংসার জন্য ড. জামিলুর রেজা চৌধুরীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি করে দেন।
১৯৮৯ সালে বিটিআরসির লাইসেন্স পায় প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেড, যা সিটিসেল নামে পরিচিত। এটিই বাংলাদেশের প্রথম ও একমাত্র সিডিএমএ মোবাইল ফোন অপারেটর।