সিটিসেলের ব্যাপারে আদালতের নির্দেশনা মানা হবে : বিটিআরসি
সিটিসেলের তরঙ্গ খুলে দেওয়ার ব্যাপারে আদালতের নির্দেশনা মানা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান ড. শাজাহান মাহমুদ।
আজ বৃহস্পতিবার এনটিভিকে বিটিআরসির চেয়ারম্যান এ কথা জানান।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ বলেন, ‘বিটিআরসি কিন্তু একটা টেকনিক্যাল অরগানাইজেশন। বিটিআরসি চোখে টেলিটক যেমন সিটিসেল তেমন বিটিসিএলও তেমন। আমরা অপেক্ষা করছি, আদালত আমাদের কি নির্দেশনা দেয় আদালত যা বলবে, আমরা তাই শুনব।’
এদিকে, সিটিসেলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহবুব চৌধুরী তাদের গ্রাহক ও কর্মীদের উদ্দেশ্যে জানিয়েছেন,নব উদ্যমে সিটিসেল ফিরছে তাদের সেবা নিয়ে। তিনি বলেন, ‘আমরা আশাবাদী এটা পুনরুজ্জীবিত করে গ্রাহকদের যে সেবা অতীতে দিয়ে এসেছি সেটা আবার পুনরুজ্জীবিত করব এবং চেষ্টা করব নতুন আঙ্গিকে আরো কিছু সেবা নিয়ে তাদের সামনে আসতে।’ পাওনা টাকা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই ফিরিয়ে দেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।
আজই শর্ত সাপেক্ষে বেসরকারি মুঠোফোন অপারেটর সিটিসেলের তরঙ্গ খুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে সিটিসেল কর্তৃপক্ষকে ১৯ নভেম্বরের মধ্যে ১০০ কোটি টাকা পরিশোধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) তরঙ্গ বরাদ্দ বাতিল করতে পারবে।
আদালত বিটিআরসির পাওনা ৪৭৭ কোটি থেকে ৮০ কোটি টাকা কমানোর নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে সিটিসেল ও বিটিআরসির মধ্যে বিষয়টি মীমাংসার জন্য ড. জামিলুর রেজা চৌধুরীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি করে দেন।
পাওনা টাকা না দেওয়ায় ২০ অক্টোবর সিটিসেলের তরঙ্গ কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় বিটিআরসি। এ সিদ্ধান্ত স্থগিত চেয়ে ২৪ অক্টোবর চেম্বার কোর্টে আবেদন করে সিটিসেল কর্তৃপক্ষ।
পরে ২৫ অক্টোবর প্রাথমিক শুনানি শেষে ৩১ অক্টোবর আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করেন চেম্বার আদালত।
আদালত সূত্রে জানা যায়,গত ১৭ আগস্ট এক মাসের শোকজ দিয়ে সিটিসেলকে চিঠি দেয় বিটিআরসি। পৌনে ৫০০ কোটি টাকা রাজস্ব বকেয়া থাকা সিটিসেল গ্রাহকদের প্রথমে ১৬ আগস্ট ও পরে ২৩ আগস্ট পর্যন্ত বিকল্প সেবা গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়। ২৩ আগস্ট সিটিসেলের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত,অর্থাৎ অপারেশনাল কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ার কথা ছিল। এর মধ্যে সিটিসেলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২২ আগস্ট বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের হাইকোর্টের একক বেঞ্চ বিটিআরসির পক্ষ থেকে সিটিসেলকে দেওয়া শোকজ নোটিশের সময় পর্যন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন। এর বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে বিটিআরসি।
গত ২৯ আগস্ট আপিল বিভাগ বিটিআরসির পাওনা পরিশোধে সিটিসেলকে দুই মাস সময় দেয়। এর মধ্যে প্রথম মাসে তিন ভাগের দুই ভাগ ও দ্বিতীয় মাসে বাকি টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।