আরো ১০০ কোটি টাকা দেনা শোধ করল সিটিসেল
সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দেনার আরো ১০০ কোটি টাকা পরিশোধ করেছে বেসরকারি মোবাইল অপারেটর সিটিসেল।
আজ বৃহস্পতিবার প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) পাওনা টাকা কিছু অংশ বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
সন্ধ্যায় বিটিআরসির সচিব মো. সরওয়ার আলম এনটিভি অনলাইনকে বলেন, আদালতের একটা নির্দেশ ছিল যে ১৯ তারিখের মধ্যে আরো ১০০ কোটি টাকা পরিশোধ করতে হবে। সেই অনুযায়ী তারা আজ ১০০ কোটি টাকা জমা দিয়েছে। এর আগে সিটিসেল পাওনার ১৩০ কোটি ১৯ লাখ টাকা পরিশোধ করেছিল।
বাকি টাকা কবে নাগাদ পরিশোধ করবে জানতে চাইলে সচিব জানান, এ বিষয়ে আদালতের পূর্ণ রায় পাওয়ার পর তাঁরা বুঝতে পারবেন যে কী কী নির্দেশনা আছে। বিটিআরসি ও সিটিসেলের মধ্যকার বিষয়টি মীমাংসার জন্য আদালত একটি কমিটিও ঠিক করে দিয়েছেন। সেই কমিটি কী সিদ্ধান্ত নেবেন তার ওপর বাকিটা নির্ভর করছে বলেও জানান সরওয়ার আলম।
সিটিসেলের কাছে বিটিসিএলের পাওনা সর্বমোট ৪৭৭ কোটি ৫১ লাখ টাকা। গত জুলাই মাসেই সিটিসেলের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ার কথা জানিয়েছিল বিটিআরসি। বিকল্প সেবা গ্রহণের জন্য সিটিসেল গ্রাহকদের গত ১৬ আগস্ট পর্যন্ত সময়ও দেয় বিটিআরসি।
গত ৩ নভেম্বর শর্তসাপেক্ষে বেসরকারি সিটিসেলের তরঙ্গ খুলে দেওয়ার নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে সিটিসেল কর্তৃপক্ষকে ১৯ নভেম্বরের মধ্যে ১০০ কোটি টাকা পরিশোধের নির্দেশ দেওয়া হয়। অন্যথায় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) তরঙ্গ বরাদ্দ বাতিল করতে পারবে।
আদালত বিটিআরসির পাওনা ৪৭৭ কোটি থেকে ৮০ কোটি টাকা কমানোর নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে সিটিসেল ও বিটিআরসির মধ্যে বিষয়টি মীমাংসার জন্য ড. জামিলুর রেজা চৌধুরীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি করে দেন।
১৯৮৯ সালে বিটিআরসির লাইসেন্স পায় প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেড, যা সিটিসেল নামে পরিচিত। এটিই বাংলাদেশের প্রথম ও একমাত্র সিডিএমএ মোবাইল ফোন অপারেটর।