পাবনায় প্রতিদিন ১০ শতাংশ বিদ্যুৎ অপচয়!
পাবনা শহর ও আশপাশের এলাকায় বৈধ সংযোগের আড়ালে রাতে সরবরাহ লাইনে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ চুরি হচ্ছে। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) জানিয়েছে, অবৈধ সংযোগের কারণে প্রতিদিন ১০ শতাংশ বিদ্যুতের অপচয় হচ্ছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে গত দুই মাসে অটোবাইকের ১১টি গ্যারেজ ও ১৬টি বাসাবাড়িসহ ৪৩টি অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছেন। একই সঙ্গে অবৈধ বিদ্যুৎ ব্যবহারকারী সাতজনকে কারাদণ্ডাদেশ ও ১১ লাখ ৯৮ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিউবো) পাবনা কার্যালয় সূত্র জানায়, বোর্ডের আওতাধীন দুটি এলাকায় বিদ্যুতের চাহিদা ৪০ মেগাওয়াট। একই পরিমাণ বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকলেও মাঝেমধ্যে ঘাটতি তৈরি হচ্ছে। এর মূল কারণ বিদ্যুৎ চুরি। বোর্ডের আওতাভুক্ত ডিভিশন ১-এর এলাকাগুলোতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ৩২টি ও ডিভিশন ২-এর আওতাভুক্ত এলাকাগুলোতে ৩৪টি গ্যারেজ রয়েছে। প্রতিটি গ্যারেজে বৈধ বিদ্যুৎ সংযোগও আছে। কিন্তু রাতে কিছু গ্যারেজ মালিক বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনে অবৈধভাবে বড়শি দিয়ে তার ঝুলিয়ে বিদ্যুৎ চুরি করছে। এ ছাড়া শহরের পৈলানপুর, কৃষ্ণপুর, কালাচাঁদপাড়া, মহিষের ডিপো, গোবিন্দাসহ কয়েকটি এলাকায় বৈধ সংযোগের আড়ালে একই পন্থায় কিছু লোক সংযোগ তৈরি করে বাসাবাড়িতে হিটার ব্যবহার করছে। এতে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১০ শতাংশ বিদ্যুৎ অপচয় হচ্ছে।
শালগাড়িয়া বাইপাস এলাকার অটো গ্যারেজ মালিক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘গ্যারেজে বিদ্যুৎ চুরি হয়, এটা ঠিক। তবে সব গ্যারেজে না। হুট করে গজিয়ে ওঠা কিছু গ্যারেজে বিদ্যুৎ চুরি হয়।’
শহরের পৈলানপুর ও আশপাশের মহল্লার নয়জন বাসিন্দা জানান, পৈলানপুর মহল্লায় বিউবোর কার্যালয় হওয়ায় এর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকাসহ আশপাশের মহল্লাগুলোতে বসবাস করেন। তাঁদের মাধ্যমে বাসাবাড়িতে অবৈধ সংযোগ শুরু হয়। পরে তাঁদের দেখাদেখি অনেকেই অবৈধ সংযোগ ব্যবহার শুরু করে; যা এখনো পুরোদমে চলছে।
বিউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী ছানাউল্লাহ মিয়া বলেন, ‘দিনের বেলায় কোথাও এই অবৈধ সংযোগের চিহ্ন দেখা যায় না। রাত যত গভীর হয়, অবৈধ সংযোগ তত বাড়তে থাকে। একশ্রেণির অসাধু লোক বৈধ সংযোগের আড়ালে কাজটি করে। ফলে হুট করে বোঝার কোনো উপায় থাকে না।’