টাঙ্গাইলে ধর্ষণের পর শিশুকে হত্যার দায়ে যুবকের মৃত্যুদণ্ড
টাঙ্গাইলের মধুপুরে শিশু বীথি আক্তারকে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে এক যুবককে মৃত্যুদণ্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডের রায় দিয়েছেন বিচারক। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতের বিচারক খালেদা ইয়াসমিন এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া কামরুল ইসলামের বাড়ি মধুপুর উপজেলার ভুটিয়া গ্রামে।
সরকারপক্ষের আইনজীবী নাসিমুল আকতার জানান, ২০১৪ সালের ১৯ মে মধুপুর উপজেলার ভুটিয়া গ্রামের আবুল কালামের আট বছর বয়সী মেয়ে বীথিকে ধর্ষণের পর হত্যা করে একটি ড্রেনে গাছের পাতা দিয়ে ঢেকে রাখেন একই গ্রামের কামরুল ইসলাম। পরের দিন সকালে পুলিশ ড্রেন থেকে বীথির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করে।
এ ঘটনায় নিহত বীথির বাবা বাদী হয়ে প্রতিবেশী বখাটে কামরুলকে আসামি করে ধর্ষণ ও হত্যা মামলা করেন। পরে পুলিশ কামরুলকে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করে। কামরুল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
দীর্ঘ চার বছর পর আজ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতের বিচারক খালেদা ইয়াসমিন আসামি কামরুলকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ ও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেন।