উত্তরবঙ্গে নাশকতার ঘটনায় জেএমবি জড়িত : রংপুরের ডিআইজি
দিনাজপুরে বিদেশি নাগরিক ডা. পিয়েরো পারোলারিকে হত্যার চেষ্টা, কান্তজিউ মন্দিরে বোমা হামলা ও ইসকন মন্দিরে বোমা বিস্ফোরণ ও গুলি এগুলো সবই একই সূত্রে গাথা। এগুলো উগ্র জঙ্গিবাদী গোষ্ঠী ও জেএমবির কাজ। তারা রংপুর-দিনাজপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় এসব নাশকতার ঘটনা ঘটাচ্ছে।
পুলিশের রংপুর রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) হুমায়ুন কবির আজ শনিবার দুপুর ২টায় দিনাজপুর কোতোয়ালি থানায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন।
এ সময় দিনাজপুরের পুলিশ সুপার রুহুল আমিন, কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম খালেকুজ্জামানসহ পুলিশ প্রশাসন ও স্থানীয় সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
ডিআইজি হুমায়ুন কবির জানান, পরিকল্পিতভাবে শান্তিপ্রিয়, নিরীহ মানুষ ও বিদেশি নাগরিককে হত্যা করে এ দেশে একটি অস্থিতিশীল ও দেশের অর্থনীতির অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে যাঁরা অপচেষ্টা চালাচ্ছে, তাদের অঙ্কুরেই বিনষ্ট করে দেওয়া হবে এবং তাদের কার্যক্রমে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি কোনো অবস্থাতেই বিনষ্ট হবে না।
ডিআইজি বলেন, অস্ত্র সংগ্রহের জন্য জঙ্গিরা ব্যাংকসহ বিভিন্ন ডাকাতি করে। তবে তাদের ইন্ধনদাতা ও পৃষ্ঠপোষক হিসেবে অন্য কোনো শক্তি থাকতে পারে। এসব তদন্ত করে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যারা আটক হয়েছে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ ও পুলিশের তদন্তে এগুলো জেএমবির কাজ বলে বেরিয়ে এসেছে। এই বিষয়গুলো পৌর নির্বাচনে কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে জানান তিনি।
ডিআইজি হুমায়ুন কবির বলেন, ২০০৪ সাল থেকে এই ধরনের জঙ্গিবাদের উত্থান হয়। তবে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ এসব পুরোপুরিভাবে দমন করতে সক্ষম হয়েছিল। জনগণের সহযোগিতা পেলে খুব শিগগির তাদের বিনষ্ট করা সম্ভব।
এদিকে দিনাজপুরের কাহারোলে ইসকন মন্দিরে হামলার ঘটনায় দুজনের নাম দিয়ে অজ্ঞাত আরো ছয়জনকে আসামি করে একটি মামলা করা হয়েছে।
কাহারোল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনসুর আলী সরকার জানান, ইসকন মন্দিরের পুরোহিত গোবর্ধন দাস বাদী হয়ে এই মামলাটি করেছেন। ইসকন মন্দিরে ঘটনার সময় ও ঘটনার পরের দিন আটক শরিফুল ইসলাম ও মোসাব্বিরুল ইসলামকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।