নৌকা ১৭৭, ধানের শীষ ২২
প্রথম বারের মতো দলীয় ভিত্তিতে অনুষ্ঠিত পৌরসভা নির্বাচনে বাজিমাত করেছে আওয়ামী লীগ। ২২৭টি পৌরসভার মধ্যে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে প্রার্থীরা ১৭৭টি পৌরসভায় মেয়র পদে জয়ী হয়েছে। প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি লাঙল প্রতীকে মাত্র একটি পৌরসভায় নির্বাচিত হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি ধানের শীষ প্রতীকে ২২টি পৌরসভায় জয়ী হয়েছে।
আর নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন বাতিল হওয়া রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে দুটি পৌরসভায় নির্বাচিত হয়েছে। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে জয়ী হয়েছেন ১৮ জন বিদ্রোহী। এক্ষেত্রে বিএনপির এক বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থীরা মেয়র পদে নির্বাচিত হয়েছেন ছয়টি পৌরসভায়।
বুধবার দেশের ২৩৪টি পৌরসভায় ভোটগ্রহণ করা হয়। এর মধ্যে ভোটকেন্দ্র দখল, ব্যালট বাক্স ছিনতাইসহ নানা অভিযোগে সাতটি পৌরসভার কিছু কেন্দ্রে নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে নরসিংদীর মাধবদী পৌরসভার পুরো নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচনে ভোটগ্রহণের আগেই সাতটিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। সেই হিসাবে আওয়ামী লীগ মনোনীত ও বিদ্রোহী প্রার্থীরা ১৯৫টি পৌরসভায় মেয়র পদে জয়ী হয়েছেন।
এর আগে আজ বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত দেশের ২৩৪ পৌরসভায় ভোটগ্রহণ হয়।
আওয়ামী লীগের ১৭৭ প্রার্থী জয়ী
বরিশাল : বরিশালের ছয়টি পৌরসভার সবগুলোতে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। এর মধ্যে বানারীপাড়ায় আওয়ামী লীগ মনোনীত অ্যাডভোকেট সুভাষ চন্দ্র শীল পাঁচ হাজার ৬৪৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
গৌরনদী পৌরসভায় আওয়ামী লীগের হারিসুর রহমান ১৮ হাজার ৯৫৯ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির স্বপন শরিফ পেয়েছেন ৭৭৬ ভোট।
মেহেন্দীগঞ্জ পৌরসভায় নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী কামালউদ্দিন। তিনি পেয়েছেন ১২ হাজার সাত ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জাহাঙ্গীর হোসেন খোকন পেয়েছেন এক হাজার ৫৬৭ ভোট।
মুলাদী পৌরসভায় আওয়ামী লীগের শফিকুজ্জামান রুবেল নয় হাজার ৩৫৮ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম বিএনপির আসাদ মাহমুদ পেয়েছেন ৫৯৬ ভোট।
বাকেরগঞ্জে আওয়ামী লীগের লোকমান হোসেন ডাকুয়া সাত হাজার ২২৫ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকতটম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হেমায়েত উদ্দিন হাওলাদার পেয়েছেন এক হাজার ২১৮ ভোট।
উজিরপুরে আওয়ামী লীগের গিয়াস উদ্দিন ব্যাপারী ছয় হাজার ৩০১ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির শহীদুল ইসলাম খান দুই হাজার ৩৬০ ভোট পেয়েছেন।
ঝালকাঠি : নলছিটিতে ১৩ হাজার ৪২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের তসলিম উদ্দিন চৌধুরী।
পটুয়াখালী : কুয়াকাটা পৌরসভায় আওয়ামী লীগের আবুল বারেক মোল্লা চার হাজার ১১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আনোয়ার হোসেন পেয়েছেন ৬২৪ ভোট।
আর এই জেলার কলাপাড়া পৌরসভায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী ছয় হাজার ৮০৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম বিএনপি মনোনীত প্রার্থী পেয়েছেন এক হাজার ৩৯৯ ভোট।
বরগুনা : পাথরঘাটা পৌরসভায় মেয়র পদে আওয়ামী লীগের আনোয়ার হোসেন আকন ছয় হাজার ৬৩ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র মল্লিক মো. আইউব পেয়েছেন দুই হাজার ৬৩২ ভোট।
পিরোজপুর : স্বরূপকাঠী পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. গোলাম কবির (জি এম কবির) সাত হাজার ৩২৭ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম একমাত্র প্রার্থী বিএনপি মনোনীত পৌর বিএনপির আহ্বায়ক সাবেক মেয়র মো. শফিকুল ইসলাম ফরিদ পেয়েছেন এক হাজার ৭৮৫ ভোট।
এর আগে পিরোজপুর পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মো. হাবিবুর রহমান মালেক বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
দিনাজপুর : হাকিমপুর পৌরসভা নির্বাচনে আট হাজার ৯৮৯ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের জামিল হোসেন চলন্ত। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ধান শীষ প্রতীকের মেয়র প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন শিল্পী পেয়েছেন চার হাজার ৯১২ ভোট।
কিশোরগঞ্জ : কিশোরগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পারভেজ মিয়া ২২ হাজার ৯৭৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মাজহারুল ইসলাম পেয়েছেন ১৭ হাজার ৮৫৯ ভোট।
জেলার হোসেনপুর পৌরসভায় আওয়ামী লীগের আবদুল কাইয়ুম খোকন চার হাজার ৮৭২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পেয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মো. সৈয়দ হোসেন চার হাজার ৭২৭ ভোট।
জেলার কুলিয়ারচর পৌরসভার নির্বাচনে আওয়ামী লীগের আবুল হাসান কাজল নয় হাজার ৩৪৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির হাজি শাফী উদ্দিন পেয়েছেন সাত হাজার ৫৮৫ ভোট।
কটিয়াদী পৌরসভায় আওয়ামী লীগের শওকত উসমান ১২ হাজার ৯১৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির তোফাজ্জল হোসেন খান পেয়েছেন সাত হাজার ৩৫৫ ভোট।
বাজিতপুর পৌরসভায় আওয়ামী লীগের আনোয়ার হোসেন আশরাফ ১০ হাজার ১৬৪ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির এহেসান কুফিয়া পেয়েছেন চার হাজার ১৬২ ভোট।
ভৈরব পৌরসভায় আওয়ামী লীগের ফখরুল আলম আক্কাছ ৩০ হাজার ৫৯৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির হাজি মো. শাহীন ১৯ হাজার ৯৫৩ ভোট পেয়েছেন।
লক্ষ্মীপুর : রামগতিতে আওয়ামী লীগের মেজবাহ উদ্দিন নয় হাজার ৮৬৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির (এরশাদ) আজাদ উদ্দিন চৌধুরী পেয়েছেন এক হাজার ৬১১ ভোট।
রামগঞ্জ পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মনোনীত আবুল খায়ের পাটোয়ারী ১৯ হাজার ৬৫৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি মনোনীত রোমান হোসেন পাটোয়ারী পেয়েছেন দুই হাজার ২৩৯ ভোট।
রায়পুরে আওয়ামী লীগের ইসমাইল হোসেন ১৩ হাজার ৮৪৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির এ বি এম জিলানি পেয়েছেন ৬৯১ ভোট।
খুলনা : চালনা পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সনৎ কুমার বিশ্বাস মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন চার হাজার ৮৪৮ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী বিদ্রোহী প্রার্থী অধ্যক্ষ ড. অচিন্ত্য কুমার মণ্ডল পেয়েছেন দুই হাজার ৫৯২ ভোট।
জেলার পাইকগাছা পৌরসভায় আওয়ামী লীগের সেলিম জাহাঙ্গীর ছয় হাজার ৩৬৫ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম বিএনপির প্রার্থী অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার পেয়েছেন দুই হাজার ৬৪০ ভোট।
গাইবান্ধা : সুন্দরগঞ্জে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবদুল্লাহ আল মামুন চার হাজার ৮৪১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মনোনীত প্রার্থী আজাদুল করিম নিপু পেয়েছেন এক হাজার ৯৯৩ ভোট। গাইবান্ধা পৌরসভায় জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের শাহ মাসুদ জাহাঙ্গীর কবীর। গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভায় জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের মো. আতাউর রহমান সরকার।
লালমনিরহাট : লালমনিরহাট পৌরসভায় নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের রিয়াজুল ইসলাম রিন্টু। তিনি পেয়েছেন ১৪ হাজার ৫৬০ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আব্দুল হালিম পেয়েছেন ১০ হাজার ২২২ ভোট।
পাটগ্রাম পৌরসভার বর্তমান মেয়র ও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শমসের আলী নৌকা প্রতীক নিয়ে সাত হাজার ১৫২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। আর তিন হাজার ৯০৪ ভোট পেয়ে তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছেন বিএনপির প্রার্থী মোস্তফা সালাউজ্জামান ওপেল।
নরসিংদী : মনোহরদী পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ আমিনুর রশিদ সাত হাজার ৬৪৪ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মো. মাহমুদুল হক পেয়েছেন এক হাজার ২৮৮ ভোট। নরসিংদী পৌরসভায় জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের কামরুজ্জামান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া : আখাউড়া পৌরসভায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তাকজিল খলিফা ১৪ হাজার ৬৯৯ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মো. মন্তাজ মিয়া পেয়েছেন তিন হাজার ২৩ ভোট।
ঝিনাইদহ : মহেশপুর পৌরসভায় নয় হাজার ৮৮০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের আব্দুর রশিদ খান। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন স্বতন্ত্র (জামায়াত সমর্থিত) শহিদুল ইসলাম বিশ্বাস। তিনি পেয়েছেন দুই হাজার ৭৮৯ ভোট।
হরিণাকুণ্ডু পৌরসভায় আওয়ামী লীগের শাহিনুর রহমান রিন্টু পেয়েছেন আট হাজার ২৪৩ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির জিন্নাতুল হক। তিনি পেয়েছেন তিন হাজার ৮৭২ ভোট।
শৈলকুপা পৌরসভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী কাজী আশরাফুল আজম খান ১৪ হাজার ৯৯৪ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির খলিলুর রহমান। তিনি পেয়েছেন চার হাজার ৬২২ ভোট।
মাগুরা : মাগুরা পৌরসভায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী খুরশিদ হায়দার টুটুল ২৭ হাজার ৯৬০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইকবাল আক্তার খান কাফুর পেয়েছেন ১৫ হাজার ৪৯৬।
মৌলভীবাজার : মৌলভীবাজার পৌরসভায় মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মো. ফজলুর রহমান ১৩ হাজার ৬৫৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মো. অলিউর রহমান পেয়েছেন সাত হাজার ১৯০ ভোট পান।
কমলগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে পৌর যুবলীগের সভাপতি জুয়েল আহমেদ নৌকা প্রতীকে তিন হাজার ৯৯০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী জাকারিয়া হাবিব বিপ্লব পেয়েছেন দুই হাজার ৮০৪ ভোট।
বড়লেখা পৌরসভায় মেয়র পদে আওয়ামী লীগের আবুল ইমাম মো. কামরান চৌধুরী চার হাজার ৪৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াতে ইসলামীর স্বতন্ত্র প্রার্থী খিজির আহমদ পেয়েছেন দুই হাজার ৬১৫ ভোট পান।
মুন্সীগঞ্জ : মুন্সীগঞ্জ পৌরসভায় আওয়ামী লীগের ফয়সাল বিপ্লব ২৭ হাজার ৩১৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির এ কে এম ইরাদত মানু পেয়েছেন পাঁচ হাজার ৮৩১ ভোট।
মীরকাদিম পৌরসভায় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সহিদুল ইসলাম শাহীন ১৩ হাজার ৪৬৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মনসুর আহম্মেদ কালাম পেয়েছেন চার হাজার ৬৯ ভোট। এখানে বিএনপির শামসুর রহমান পেয়েছেন তিন হাজার ৭৩৭ ভোট।
সুনামগঞ্জ : সুনামগঞ্জ পৌরসভায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান পৌর মেয়র আয়ুব বখত জগলুল ১৪ হাজার ৮৪৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী দেওয়ান গনিউল সালাদীন ১০ হাজার ৪৮৬ ভোট পেয়েছেন।
দিরাই পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোশারফ মিয়া সাত হাজার ৪৪২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মঈন উদ্দিন চৌধুরী মাসুক পেয়েছেন ছয় হাজার ৫৪২ ভোট।
ছাতক পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান পৌর মেয়র আবুল কালাম চৌধুরী ১০ হাজার ৮২৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুল ওয়াহিদ মজনু পেয়েছেন চার হাজার ৬৫১ ভোট।
জগন্নাথপুর পৌরসভায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আব্দুল মনাফ নয় হাজার ৩২৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মেয়র প্রার্থী রাজু আহমদ রাজু পেয়েছেন পাঁচ হাজার ৬৮১ ভোট।
শেরপুর : শেরপুর সদর পৌরসভায় আওয়ামী লীগের গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া ২৩ হাজার ৪০৭ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। ধানের শীষের আব্দুর রাজ্জাক পেয়েছেন ২৩ হাজার ১৪০ ভোট।
নকলা পৌরসভায় আওয়ামী লীগের হাফিজুর রহমান লিটন সাত হাজার ৭০৪ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নূরে আলম সিদ্দিক উৎপল পেয়েছেন পাঁচ হাজার ১২৩ ভোট।
শ্রীবরদীতে আওয়ামী লীগের আবু সাঈদ সাত হাজার ৪২৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আবদুল হাকিম পেয়েছেন ছয় হাজার ৭৭৫ ভোট।
নালিতাবাড়ীতে নৌকা প্রতীকের আবু বকর সিদ্দিক চার হাজার ৭৬১ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আনোয়ার হোসেন পেয়েছেন তিন হাজার ৮১৬ ভোট।
ফরিদপুর : নগরকান্দা পৌরসভায় মেয়র পদে আওয়ামী লীগের রায়হান উদ্দিন মিয়া বিজয়ী হয়েছেন চার হাজার ১৯৭ ভোট পেয়ে। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির সাইফুর রহমান মুকুল পেয়েছেন এক হাজার ২৩৩ ভোট। এই পৌরসভায় মোট আটটি কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। একটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত রয়েছে।
রাজবাড়ী : রাজবাড়ী পৌরসভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী মহম্মদ আলী চৌধুরী ১৮ হাজার ৬৯৩ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রার্থী বিএনপির অর্নব নেওয়াজ মাহমুদ পেয়েছেন ১১ হাজার ৩১২ ভোট।
পাংশা পৌরসভায় আওয়ামী লীগের আব্দুল আল মাসুদ ১২ হাজার ৪২৭ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন। তাঁর নিকটতম প্রার্থী বিএনপির চাঁদ আলী খান পেয়েছেন ২ হাজার ২২৬ ভোট।
গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জ পৌরসভায় আওয়ামী লীগের কাজী লিয়াকত আলী ১৭ হাজার ১৬ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মোহাম্মদ মুশফিকুর রহমান পেয়েছেন ৪ হাজার ৭২০ ভোট।
এর আগে এই জেলার টুঙ্গিপাড়া পৌরসভায় আওয়ামী লীগের শেখ আহম্মেদ হোসেন মির্জা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
খাগড়াছড়ি : মাটিরাঙা পৌরসভায় সাত হাজার ৩৩৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. শামছুল হক। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মো. বাদশা মিয়া পেয়েছেন তিন হাজার ৩৮৬ ভোট।
নেত্রকোনা : নেত্রকোনা পৌরসভায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. নজরুল ইসলাম খান ২৬ হাজার ৬৬৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এস এম মনিরুজ্জামান ওরফে দুদু ১১ হাজার ৮৪৪ ভোট পেয়েছেন।
মোহনগঞ্জ পৌরসভায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী লতিফুর রহমান ওরফে রতন আট হাজার ৩১৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছেন বর্তমান মেয়র ও বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মো. মাহবুবুরন্নবী শেখ। তিনি পেয়েছেন চার হাজার ৩৬২ ভোট।
কেন্দুয়া পৌরসভায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আসাদুল হক ভূঁইয়া সাত হাজার ৭১২ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মনোনীত প্রার্থী শফিকুল ইসলাম। তিনি পেয়েছেন দুই হাজার ৭৩৫ ভোট।
দুর্গাপুর পৌরসভায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আ. ছালাম সাত হাজার ৮৩৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হলেন বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মো. জামাল উদ্দিন। তিনি পেয়েছেন চার হাজার ৩১৮ ভোট।
হবিগঞ্জ : মাধবপুরে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী হিরেন্দ্র লাল সাহা পাঁচ হাজার ৭৭৩ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির হাবিবুর রহমান পেয়েছেন চার হাজার ৯৪৮ ভোট। শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভায় মাত্র ৮৩ ভোটের ব্যবধানে মেয়র পদে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. ছালেক মিয়া। তিনি পেয়েছেন তিন হাজার ৯৭৩ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির এফ এম আহমেদ অলি পেয়েছেন তিন হাজার ৮৯০ ভোট।
চাঁদপুর : হাজীগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আ স ম মাহবুব-উল আলম ১২ হাজার ৯৯৭ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আবদুল মান্নান খান পেয়েছেন ১১ হাজার ১৭২ ভোট।
কচুয়া পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নাজমুল আলম ১০ হাজার ৭৩৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হুমায়ুন কবির প্রধান পেয়েছেন এক হাজার ৪৭৫ ভোট।
মতলব পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মো. আওলাদ হোসেন ২৩ হাজার ৯৬৫ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির এনামুল হক বাদল পেয়েছেন সাত হাজার ৬৮৫ ভোট।
ফরিদগঞ্জ পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মো. মাহফুজুল হক ছয় হাজার ৪২২ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মো. হারুন অর রশিদ পেয়েছেন চার হাজার ৭৯০ ভোট।
এর আগে জেলার ছেংগারচর পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মো. রফিকুল আলম বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
ময়মনসিংহ : গৌরীপুর পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সৈয়দ রফিকুল ইসলাম মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি সাত হাজার ১১৯ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. শফিকুল ইসলাম হবি পেয়েছেন চার হাজার ১৪৮ ভোট।
ভালুকা পৌরসভায় মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী এ কে এম মেজবাহ উদ্দিন। তিনি পেয়েছেন নয় হাজার ৯১ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মো. হাতেম খান পেয়েছেন চার হাজার ৩২৪ ভোট।
গফরগাঁও পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী এস এম ইকবাল হোসেন (সুমন) মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ১২ হাজার ৭১২ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি মনোনীত প্রার্থী শাহ্ আব্দুল্লাহ আল-মামুন পেয়েছেন ৫৮৯ ভোট।
নান্দাইল পৌরসভায় মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মো. রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া নয় হাজার ২৯৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মনোনীত এ এফ এম আজিজুল ইসলাম (পিকুল) ছয় হাজার ২৩৮ ভোট পেয়েছেন।
ফুলবাড়িয়া পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মো. গোলাম কিবরিয়া সাত হাজার ৭৯৫ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী মো. চান মাহমুদ চার হাজার ৯৮ ভোট পেয়েছেন।
ঢাকা : সাভার পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন সাভার পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল গনি। তিনি পেয়েছেন ৩৫ হাজার ১১২ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির বদিউজ্জামান বদি পেয়েছেন ২৮ হাজার ৪১৮ ভোট।
ধামরাইতে মাত্র ১৭২ ভোটের ব্যবধানে বিএনপি প্রার্থীকে হারিয়ে মেয়র পদে জয়লাভ করেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী গোলাম কবির মোল্লা। তিনি পেয়েছেন ১২ হাজার ৫১৯ ভোট। বিএনপির প্রার্থী দেওয়ান নাজিম উদ্দিন মঞ্জু পেয়েছেন ১২ হাজার ৩৪৭ ভোট। ১৯৯৯ সালে ধামরাই পৌরসভা প্রতিষ্ঠার পর থেকেই মেয়র পদে ছিলেন দেওয়ান নাজিম উদ্দিন মঞ্জু।
রাজশাহী : রাজশাহীর নয়টি পৌরসভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। গোদাগাড়ী পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মনিরুল ইসলাম বাবু ১০ হাজার ৩৮৮ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম বিএনপির প্রার্থী আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী পেয়েছেন ৬ হাজার ২৯৮ ভোট।
কাকনহাট পৌরসভায় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের আবদুল মজিদ ৫ হাজার ৮০৫ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রার্থী বিএনপির হাফিজুর রহমান পেয়েছেন ৪ হাজার ৪৪০ ভোট।
মুন্ডুমালা পৌরসভায় আওয়ামী লীগের গোলাম রাব্বানী ৬ হাজার ৪৫৫ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম বিএনপির ফিরোজ কবির পেয়েছেন ৪ হাজার ৪৫ ভোট।
কাটাখালী পৌরসভায় আওয়ামী লীগের আব্বাস আলী ৬ হাজার ৬৮৯ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম স্বতন্ত্র প্রার্থী জামায়াত নেতা পেয়েছেন ৪ হাজার ৯৩৭ ভোট।
কেশরহাট পৌরসভায় ৭ হাজার ৩৪৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের শহীদুজ্জামান শহীদ। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী জামায়াত নেতা ডা. হাফিজুর রহমান আকন্দ পেয়েছেন ৪ হাজার ৯৯৬ ভোট ।
ভবানীগঞ্জ পৌরসভায় আওয়ামী লীগের আব্দুল মালেক মন্ডল ৫ হাজার ২৫৪ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আব্দুর রাজ্জাক প্রামাণিক পেয়েছেন ৪ হাজার ৯০৩ ভোট।
আড়ানী পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মুক্তার আলী ৫ হাজার ১৯৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম বিএনপির তোজাম্মেল হক পেয়েছেন ২ হাজার ৭১৬ ভোট।
তাহেরপুর পৌরসভায় আওয়ামী লীগের আবুল কালাম আজাদ ৭ হাজার ৯৪৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আবু নঈম মো. সামসুর রহমান মিন্টু পেয়েছেন ৩ হাজার ১৮১টি ভোট।
দুর্গাপুর পৌরসভায় আওয়ামী লীগ মনোনীত তোফাজ্জল হোসেন ৮ হাজার ৮৮ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী হাসানুজ্জামান সান্টু পেয়েছেন ৪ হাজার ৭২৭ ভোট।
মাদারীপুর : মাদারীপুর পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মো. খালিদ হোসেন ইয়াদ ২০ হাজার ৭২৫ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মিজানুর রহমান মুরাদ পেয়েছেন ৫ হাজার ১৭৭ ভোট।
শিবচর পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মো. আওলাদ হোসেন খান ১০ হাজার ১৩৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. তোফাজ্জেল হোসেন খান তোতা পেয়েছেন ৪৯১ ভোট।
কুমিল্লা : চান্দিনা পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের মো. মফিজুল ইসলাম। তিনি পেয়েছেন ১৮ হাজার ৯৭৭ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মো. শাহ আলমগীর খান পেয়েছেন ২ হাজার ৩৫৭ ভোট।
চৌদ্দগ্রাম পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মিজানুর রহমান ১২ হাজার ৭০৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী একই দলের বিদ্রোহী প্রার্থী ইমাম পাটোয়ারী পেয়েছেন ৫ হাজার ৮০০ ভোট।
হোমনায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম ৭ হাজার ৬৮৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী জহিরুল হক পেয়েছেন ৩ হাজার ৩৮৬ ভোট। এখানে বিএনপি প্রার্থী আব্দুল লতিফ পেয়েছেন ২ হাজার ৯৬২ ভোট।
লাকসামে আওয়ামী লীগের প্রার্থী অধ্যাপক আবুল খায়ের ১৮ হাজার ১৪৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শাহনাজ আক্তার পেয়েছেন ১০ হাজার ৬৮০ ভোট।
দাউদকান্দিতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী নাঈম ইউসুফ শেইন ১৬ হাজার ২৮৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির কে এম আই খলিল পেয়েছেন ৩ হাজার ৪১৪ ভোট।
বাগেরহাট : বাগেরহাট পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী খাঁন হাবিবুর রহমান ৯ হাজার ৯৮১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সভাপতি মিনা হাসিবুল হাসান শিপন পেয়েছেন ৯ হাজার ৮২৭ ভোট। খাঁন হাবিবুর রহমান তৃতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হলেন।
জেলার মোরেলগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচনে এস.এম মনিরুল হক তালুকদার আবারো মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। এ নিয়ে তিনি তৃতীয় বার মেয়র নির্বাচিত হলেন। তিনি পেয়েছেন ৭ হাজার ৮১৯ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আবদুল মজিদ জব্বার পেয়েছেন ১ হাজার ৩৯৩ ভোট।
পাবনা : ঈশ্বরদীতে আওয়ামী লীগের আবুল কালাম আজাদ মিন্টু ২৬ হাজার ৯১৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মোখেলেছুর রহমান বাবলু পেয়েছেন ৯ হাজার ৩৭২ ভোট।
সুজানগরে আওয়ামী লীগের আব্দুল ওহাব ৬ হাজার ১৪৩ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী তোফাজ্জল হোসেন তোফা।
সাঁথিয়ায় আওয়ামী লীগের মিরাজুল ইসলাম প্রামাণিক ১২ হাজার ৪৬০ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সিরাজুল ইসলাম পেয়েছেন ৮ হাজার ৮০ ভোট।
ভাঙ্গুড়া পৌরসভায় আওয়ামী লীগের গোলাম হাসনায়েন রাসেল ৪ হাজার ৮৬৬ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান পেয়েছেন ৩ হাজার ১১৫ ভোট।
ফরিদপুর পৌরসভায় আওয়ামী লীগের খ ম কামরুজ্জামান মাজেদ ৩ হাজার ৯৯৫ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির এনামুল হক পেয়েছেন ৩ হাজার ৪৮৫ ভোট।
টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইলের আটটি পৌরসভার সাতটিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্যে টাঙ্গাইল পৌরসভায় জামিলুর রহমান মিরন ৪৯ হাজার ৫৭৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি মনোনীত মাহমুদুল হক সানু পেয়েছেন ২৪ হাজার ৯৪২ ভোট।
মধুপুরে আওয়ামী লীগের প্রার্থী খন্দকার মাসুদ পারভেজ ২২ হাজার ২৫৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির সরকার সহিদুল ইসলাম সহিদ পেয়েছেন ৪ হাজার ৬৫৩ ভোট।
ধনবাড়ী পৌরসভায় আওয়ামী লীগ মনোনীত খন্দকার মঞ্জুরুল ইসলাম তপন ১১ হাজার ৩৯৩ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির এসএম ছোবাহান পেয়েছেন ৭ হাজার ৬৪ ভোট।
গোপালপুরে আওয়ামী লীগের রকিবুল হক ছানা ২১ হাজার ৫২৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির খন্দকার জাহাঙ্গীর আলম রুবেল পেয়েছেন ৪ হাজার ৫২৮ ভোট।
ভূঞাপুরে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মাসুদুল হক মাসুদ ৫ হাজার ৪৭১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আবদুল খালেক মন্ডল পেয়েছেন ৫ হাজার ২৯৫ ভোট।
মির্জাপুরে আওয়ামী লীগের সাহাদৎ হোসেন সুমন ৯ হাজার ৫৯৯ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির হযরত আলী পেয়েছেন ৪ হাজার ৫০৫ ভোট।
সখীপুরে আওয়ামী লীগের আবু হানিফ আজাদ ৯ হাজার ৬৮২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির-বিদ্রোহী প্রার্থী ছানোয়ার হোসেন সজীব পেয়েছেন ৪ হাজার ৮৯৯ ভোট।
কুষ্টিয়া : জেলার পাঁচটি পৌরসভার পাঁচটিতেই আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থীর বিজয় হয়েছে। কুষ্টিয়া সদর পৌরসভায় ৬৭ হাজার ২২ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন বর্তমান মেয়র আনোয়ার আলী। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির কুতুব উদ্দিন আহমেদ পেয়েছেন ৩৫ হাজার ১২৮ ভোট।
ভেড়ামারা পৌরসভায় বর্তমান মেয়র আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামীমূল ইসলাম ছানা ৭ হাজার ৪৯১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। এখানে তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাসদের প্রার্থী আব্দুল আলীম স্বপন মশাল প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ৭০৭ ভোট।
মিরপুর পৌরসভাতেও বর্তমান মেয়র আওয়ামী লীগের প্রার্থী এনামূল হক ৯ হাজার ৮২৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী জামায়াত নেতা আবুল হাশেম ১ হাজার ৮৮৪ ভোট পেয়েছেন। আর বিএনপির প্রার্থী আব্দুল আজিজ খান পেয়েছেন ১ হাজার ৪৫৯ ভোট।
কুমারখালী পৌরসভায় বর্তমান মেয়র আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামসুজ্জামান অরুন ৮ হাজার ৪৩৩ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির তরিকুল ইসলাম পেয়েছেন ২ হাজার ৭১৩ ভোট।
খোকসা পৌরসভায় আওয়ামী লীগের তারিকুল ইসলাম তারিক ৭ হাজার ৭১৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী আল মাসুম মোর্শেদ শান্ত ৩ হাজার ২৬৭ ভোট পেয়েছেন।
কুড়িগ্রাম : কুড়িগ্রাম পৌরসভায় আওয়ামী লীগের আবদুল জলিল নৌকা প্রতীক নিয়ে ১৮ হাজার ৭১০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির নূর ইসলাম নুরু ১৫ হাজার ১৪৪ ভোট পেয়েছেন।
শরীয়তপুর : শরীয়তপুরের পাঁচটি পৌরসভাতেই আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। শরীয়তপুর পৌরসভায় বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের রফিকুল ইসলাম, ভোট পেয়েছেন ১৫ হাজার ৯৯১। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি প্রার্থী ভোট পেয়েছেন, ৩ হাজার ৬৮১।
জাজিরায় আওয়ামী লীগের মো. ইউনুছ বেপারী ৩ হাজার ৮৩৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রার্থী স্বতন্ত্র পেয়েছেন ২ হাজার ৮০০ ভোট।
নড়িয়ায় হায়দার আলী নৌকা প্রতীক নিয়ে ৬ হাজার ১৫৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী শহিদুল ইসলাম পেয়েছেন ৪ হাজার ৪৬৫ ভোট।
ডামুড্যায় আওয়ামী লীগের হুমায়ুন কবির পেয়েছেন ৪ হাজার ৭৬৩ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আলমগীর মাদবর পেয়েছেন ৩ হাজার ৫৭ ভোট।
ভেদরগঞ্জে আওয়ামী লীগের আব্দুল মান্নান হাওলাদার ৩ হাজর ৩৫৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির বি এম মোস্তাফিজ পেয়েছেন ১ হজার ২৭১ ভোট।
চুয়াডাঙ্গা : আলমডাঙ্গায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হাসান কাদির গণু ৭ হাজার ২০০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মীর মহিউদ্দিন পেয়েছেন ৫ হাজার ১৯০ ভোট। দর্শনায় আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মতিয়ার রহমান ১১ হাজার ৮০১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী জামায়াত নেতা আশকার আলী পেয়েছেন ৩ হাজার ৪৫৯ ভোট।
গাজীপুর : শ্রীপুর পৌরসভায় আওয়ামী লীগের আনিছুর রহমান ২৬ হাজার ৩৩৪ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির শহিদুল্লাহ শহিদ পেয়েছেন ১৬ হাজার ১২১ ভোট।
নওগাঁ : নজিপুর পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মো. রেজাউল কবির চৌধুরী ছয় হাজার ২৪৭ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মো. আনোয়ার হোসেন পেয়েছেন পাঁচ হাজার ৮৩২ ভোট।
বগুড়া : শেরপুর পৌরসভায় আওয়ামী লীগের আবদুস সাত্তার ৮ হাজার ৯১১ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বাধীন কুমার কুন্ড ৬ হাজার ১৬৫ ভোট পেয়েছেন।
সারিয়াকান্দিতে আওয়ামী লীগের আলমগীর শাহী সুমন ৫ হাজার ৭৭৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আলহাজ টিপু সুলতান ২ হাজার ৪৪৭ ভোট পেয়েছেন।
শিবগঞ্জে আওয়ামী লীগের তৌহিদুর রহমান মানিক পেয়েছেন ৭ হাজার ৩৬৪ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মতিউর রহমান মতি ৫ হাজার ৯৮৭ ভোট।
কাহালুতে আওয়ামী লীগের হেলাল কবির রাজ ৪ হাজার ৭৫৯ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আবদুল মান্নান ৩ হাজার ৪৬৭ ভোট পেয়েছেন।
সিলেট : জকিগঞ্জ পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা খলিল উদ্দিন ১ হাজার ৫৩০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র হিফজুর রহমান-আল ইসলাহ পেয়েছেন ১ হাজার ৩৭১ ভোট।
রাঙামাটি : রাঙামাটি পৌরসভায় মেয়র প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আকবর হোসেন চৌধুরী। তিনি পেয়েছেন ১৭ হাজার ৯৪৩ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জনসংহতি সমিতি সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. গঙ্গা মানিক চাকমা পেয়েছেন ১০ হাজার ১৯৮ ভোট।
ঠাকুরগাঁও : রানীশংকৈল পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আলমগীর সরকার ৫ হাজার ৮৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াতের মোকারম হোসেন পেয়েছেন ৩ হাজার ৬১৬ ভোট। জেলার পীরগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী কসিরুল আলম ৫ হাজার ৭৫৩ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির রাজিউর রহমান রাজু পেয়েছেন ৫ হাজার ১১৩ ভোট।
জামালপুর : জামালপুরের ছয়টি পৌরসভায় আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছে। মেলান্দহ পৌরসভায় আওয়ামী লীগের শফিক জাহেদী রবিন ৯ হাজার ১৪৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম বিএনপির হাজী দিদার পাশা পেয়েছেন ৭ হাজার ৯৬০ ভোট। ইসলামপুর পৌরসভায় আওয়ামী লীগের আব্দুল কাদের শেখ ৯ হাজার ৯২১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি প্রার্থী রেজাউল করিম ঢালী পেয়েছেন ৭ হাজার ৫৪ ভোট। সরিষাবাড়ী পৌরসভায় ১৮ হাজার ২৪৯ ভোট পেয়ে আওয়ামী লীগের রুকনুজ্জামান বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম বিএনপির ফয়জুল করি তালুকদার শাহীন পেয়েছন ৭ হাজার ৬২২ ভোট। জামালপুর সদর পৌরসভায় ৫৩ হাজার ৯১১ ভোট পেয়ে আওয়ামী লীগের মির্জা সাখাওয়াতুল আলম মনি নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম বিএনপি প্রার্থী অ্যাডভোকেট শাহ ওয়ারেছ আলী মামুন পেয়েছেন ১২ হাজার ৬৬০ ভোট।
দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভায় ১৬ হাজার ৪২১ ভোট পেয়ে আওয়ামী লীগের শাহনেওয়াজ শাহানশাহ বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নূরুন্নবী অপু বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। এ ছাড়া মাদারগঞ্জ পৌরসভায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মির্জা গোলাম কিবরিয়া কবির মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।
জয়পুরহাট : জেলার তিনটি পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। সদর পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক ২৩ হাজার ৪৭৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির অধ্যক্ষ শামছুল হক পেয়েছেন ১২ হাজার ২৮৫ ভোট।
কালাই পৌরসভায় আওয়ামী লীগের খন্দকার হালিমুল আলম জন ৬ হাজার ৮৪৪ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির সাজ্জাদুর রহমান সোহেল তালুকদার পেয়েছেন ১ হাজার ৫০০ ভোট।
আক্কেলপুর পৌরসভায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী গোলাম মাহফুজ চৌধুরী অবসর পেয়েছেন ৬ হাজার ৬০০ ভোট। তাঁর নিকটতম বিএনপির রেজাউল করিম সরদার পেয়েছেন ৩ হাজার ৮৫৫ ভোট।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ : জেলার নাচোল পৌরসভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুর রশিদ খান ৩ হাজার ২১৮ পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর কাছের প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির কামরুজ্জামান পেয়েছেন ২ হাজার ৭২০ ভোট।
বান্দরবান : জেলার দুটি পৌরসভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছে। সদরে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. ইসলাম বেবী ৮ হাজার ৭০২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয়পার্টির প্রার্থী মিজানুর রহমান বিপ্লব (লাঙল) পেয়েছেন ৪ হাজার ১৫৮ ভোট।
আর লামা পৌরসভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী জহিরুল ইসলাম ৬ হাজার ৫৫৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী আমির হোসেন পেয়েছেন ২ হাজার ৭৪৮ ভোট।
যশোর : জেলার ছয় পৌরসভায় আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। এর মধ্যে যশোর সদর পৌরসভায় আওয়ামী লীগের জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টু ৬৩ হাজার ৬৮ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মারুফুল ইসলাম পেয়েছেন ২১ হাজার ৪৩৮ ভোট।
চৌগাছা পৌরসভায় আওয়ামী লীগের নূর উদ্দীন আল মামুন হিমেল ৪ হাজার ২৩৯ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী এস এম সাইফুর রহমান বাবুল পেয়েছেন ৩ হাজার ৬২৭ ভোট।
বাঘারপাড়া পৌরসভায় আওয়ামী লীগের কামরুজ্জামান বাচ্চু ২ হাজার ৫৪৩ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির বিদ্রোহী আবু তাহের সিদ্দিকী পেয়েছেন ১ হাজার ৫৯৬ ভোট।
মণিরামপুর পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মাহমুদুল হাসান ৮ হাজার ১১৬ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির অ্যাডভোকেট শহীদ ইকবাল পেয়েছেন ৭ হাজার ২৭৩ ভোট।
কেশবপুর পৌরসভায় আওয়ামী লীগের রফিকুল ইসলাম মোড়ল ৯ হাজার ২৪৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আব্দুস সামাদ বিশ্বাস পেয়েছেন ৫ হাজার ৬০২ ভোট।
নওয়াপাড়া পৌরসভায় আওয়ামী লীগের সুশান্ত দাস শান্ত ১৮ হাজার ৯৫৮ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির রবিউল হোসেন পেয়েছেন ১৫ হাজার ২৬৮ ভোট।
নারায়ণগঞ্জ : জেলার তারাব পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের হাছিনা গাজী ৩৯ হাজার ৮২১ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির নাসির উদ্দিন পেয়েছেন পাঁচ হাজার ৯৪৪ ভোট।
নাটোর : সদর পৌরসভায় আওয়ামী লীগের উমা চৌধুরী ১৯ হাজার ২৬৫ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির শেখ এমদাদুল হক আল-মামুন পেয়েছেন ১৬ হাজার ২০৬ ভোট।
বড়াইগ্রাম পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মো. আ. বারেক সরদার পাঁচ হাজার ২৫ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী মো. শরীফুল হক পেয়েছেন তিন হাজার ৮১ ভোট।
সিংড়া পৌরসভায় আওয়ামী লীগের জান্নাতুল ফেরদৌস ১৪ হাজার ৫৭০ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রার্থী বিএনপির শামিম আল রাজি মো. শিহানুর রহমান পেয়েছেন চার হাজার ৩৯৩ ভোট।
গুরুদাসপুর পৌরসভায় আওয়ামী লীগের শাহনেওয়াজ আলী নয় হাজার ৫৪ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী মো. আমজাদ হোসেন পেয়েছেন পাঁচ হাজার ৪৯৪ ভোট।
নলডাঙ্গা পৌরসভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. শফির উদ্দিন মন্ডল তিন হাজার ১৫ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মো. আব্বাস আলী পেয়েছেন এক হাজার ৬৯৫ ভোট।
নোয়াখালী : হাতিয়া পৌরসভায় আওয়ামী লীগের এ কে এম ইউসুফ আলী নয় হাজার ৩৩৭ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইফুদ্দিন আহমেদ পেয়েছেন সাত হাজার ২৮৯ ভোট।
বসুরহাট পৌরসভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবদুল কাদের নয় হাজার ৩৬৩ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রার্থী বিএনপির কামাল উদ্দিন চৌধুরী পেয়েছেন এক হাজার ৮৩৫ ভোট।
চৌমুহনী পৌরসভার ভোটগ্রহণ মাঝপথে স্থগিত করা হয়। এ কারণে বুধবার মধ্যরাত পর্যন্ত ফল ঘোষণা করা হয়নি। চাটখিল পৌরসভায় মোহাম্মদ উল্লাহ পাটোয়ারী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
ফেনী : জেলার দাগনভূঞা পৌরসভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী ওমর ফারুক খান ১১ হাজার ৫৮৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির কাজী সাইফুর রহমান পেয়েছেন ২ হাজার ৩৫৬ ভোট।
এর আগে জেলার ফেনী পৌরসভায় আওয়ামী লীগের হাজী আলাউদ্দিন ও পরশুরাম পৌরসভায় আওয়ামী লীগের নিজাম উদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
চট্টগ্রাম : জেলার ১০টি পৌরসভায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। এর মধ্যে বারইয়ার হাটে আওয়ামী লীগের নিজাম উদ্দিন চৌধুরী পাঁচ হাজার ৬৬ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মইনুদ্দিন লিটন পেয়েছেন ২৩৮ ভোট।
মিরসরাইয়ে সাত হাজার ২৯৭ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের গিয়াস উদ্দিন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির রফিকুল ইসলাম পারভেজ পেয়েছেন ৪৭৫ ভোট।
সীতাকুণ্ডে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বদিউল আলম ১৪ হাজার ৮৩২ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির সৈয়দ আবুল মনসুর পেয়েছেন দুই হাজার ৯৪২।
সন্দ্বীপে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাফর উল্লাহ টিটু ২০ হাজার ৬৯০ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রার্থী বিএনপির আজমত আলী বাহাদুর পেয়েছেন ৪৬৪ ভোট।
রাঙ্গুনিয়ায় আওয়ামী লীগের শাজাহান শিকদার ১২ হাজার ৯৮৭ ভোট পেয়ে মেয়র হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি প্রার্থী হেলাল উদ্দিন শাহ পেয়েছেন দুই হাজার ১৫৮ ভোট।
রাউজানে আওয়ামী লীগের দেবাশীষ পালিত ২৮ হাজার ১৬২ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি প্রার্থী আবদুল্লাহ আল হাসান পেয়েছেন দুই হাজার ১২০ ভোট।
পটিয়ায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. হারুনুর রশিদ ১২ হাজার ৯৬ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির তৌহিদুল আলম পেয়েছেন সাত হাজার ৫৩৫ ভোট।
চন্দনাইশে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মাহবুবুল আলম ১১ হাজার ৫২২ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী এলডিপির আইয়ুব কুতুবী পেয়েছেন দুই হাজার ৭৭০ ভোট।
বাঁশখালীতে সেলিমুল হক চৌধুরী আওয়ামী লীগ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ১৩ হাজার ৩৩০ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রার্থী বিএনপির কামরুল ইসলাম হোসাইনী পেয়েছেন ছয় হাজার ৩৫০ ভোট।
সাতকানিয়ায় আওয়ামী লীগের মো. জোবায়ের ২০ হাজার ২৫৭ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির রফিকুল আলম পেয়েছেন দুই হাজার ২৮৯ ভোট।
ভোলা : ভোলা পৌরসভায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. মনিরুজ্জামান মনির, বোরহানউদ্দিন পৌরসভায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. রফিকুল ইসলাম ও দৌলতখান পৌরসভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. জাকির হোসেন তালুকদার বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।
সিরাজগঞ্জ : সিরাজগঞ্জ সদর পৌরসভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী সৈয়দ আব্দুর রউফ মুক্তা ৪০ হাজার ৮ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির অ্যাডভোকেট মোকাদ্দেস আলী পেয়েছেন ২৪ হাজার ৭১৫ ভোট।
কাজিপুর পৌরসভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী নিজাম উদ্দিন ৭ হাজার ৮২৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুস সালাম পেয়েছেন ১৭৩ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মাসুদ রায়হান মুকুল পেয়েছেন ৮৮ ভোট।
রায়গঞ্জ পৌরসভায় আওয়ামী লীগের গাজী আব্দুল্লাহ আল পাঠান ৩ হাজার ৯৬৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির নূর সাইদ সরকার পেয়েছেন ২ হাজার ৯৩৬ ভোট।
উল্লাপাড়া পৌরসভায় আওয়ামী লীগের প্রাথী নজরুল ইসলাম ১৬ হাজার ৮৮৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রার্থী বিএনপির বেলাল হোসেন পেয়েছেন ৮ হাজার ২৬০ ভোট।
বেলকুচি পৌরসভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী আশানুর বিশ্বাস ২৪ হাজার ৬৬০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আল আমিন ভুইয়া জামাল পেয়েছেন ৮ হাজার ১৭৫।
শাহজাদপুর পৌরসভায় আওয়ামী লীগের হালিমুল হক মিরু ২১ হাজার ৮৮১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির নজরুল ইসলাম পেয়েছেন ৭ হাজার ৭০৩ ভোট।
নড়াইল : নড়াইল পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মো. জাহাঙ্গীর বিশ্বাস ১১ হাজার ২৪৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মো. জুলফিকার আলী পেয়েছেন ৪ হাজার ৭৬৩ ভোট।
রংপুর : জেলার বদরগঞ্জ পৌরসভায় আওয়ামী লীগের উত্তম কুমার সাহা ৬ হাজার ৯৯২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আজিজুল হক পেয়েছেন ৫ হাজার ৯৯৫ ভোট।
আওয়ামী লীগের ১৮ বিদ্রোহী প্রার্থী জয়ী
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ পৌরসভায় মেয়র পদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. আবদুস ছাত্তার সাত হাজার ২১১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হাবিবুর রহমান পেয়েছেন ছয় হাজার ৬৬৩ ভোট।
ত্রিশাল পৌরসভায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এ বি এম আনিছুজ্জামান মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি সাত হাজার ১১৬ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মো. আমিনুল ইসলাম পেয়েছেন পাঁচ হাজার ৮০১ ভোট।
মেহেরপুরের গাংনী পৌরসভায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আশরাফুল ইসলাম ছয় হাজার ৯৩৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন।
কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ পৌরসভায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মো. আবদুল কাইয়ুম ১০ হাজার ১৮৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত মো. কামরুল ইসলাম চৌধুরী মামুন পেয়েছেন চার হাজার ৯১৬ ভোট পেয়েছেন।
ফরিদপুরের বোয়ালমারী পৌরসভায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মোজাফফর হোসেন বাবলু সাত হাজার ৫৯০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আবদুস শুক্কুর শেখ পাঁচ হাজার ৭৭৯ ভোট পেয়েছেন।
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আলহাজ শফি আলম ইউনুছ চার হাজার ২৩০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির কামাল উদ্দিন আহমদ জুনেদ পেয়েছেন চার হাজার ১৭৪ ভোট।
নেত্রকোনার মদন পৌরসভায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী আবদুল হান্নান তালুকদার ওরফে শামীম তিন হাজার ৭৯১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হলেন বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মো. মাশরিকুর রহমান ওরফে বাচ্চু। তিনি পেয়েছেন এক হাজার ৭৪৮ ভোট।
চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম ৬ হাজার ৪০৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির নোয়াব আলী পেয়েছেন ৩ হাজার ২৪ ভোট।
বগুড়ার ধুনটে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এ জি এম বাদশা ৪ হাজার ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আলীমুদ্দিন হারুন মন্ডল পেয়েছেন ২ হাজার ৪৬৪ ভোট।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ পৌরসভায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী কারিবুল হক রাজিন ১০ হাজার ২১৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াতে ইসলামীর নেতা জাফর আলী পেয়েছেন ৬ হাজার ২২২। বিএনপির প্রার্থী সফিকুল ইসলাম পেয়েছেন ৪ হাজার ৯৩৬ ভোট।
দিনাজপুরের বিরামপুর পৌরসভায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী লিয়াকত আলী সরকার নয় হাজার ৫২০ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের মো. আক্কাস আলী পেয়েছেন আট হাজার ৯২৮ ভোট।
পাবনার চাটমোহরে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মির্জা রেজাউল করিম দুলাল ৩ হাজার ৫৩৮ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রফেসর আব্দুল মান্নান পেয়েছেন ২ হাজার ৯০৩ ভোট।
বরগুনা সদর পৌরসভার মেয়র পদে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র মো. শাহাদাত হোসেন। তিনি পেয়েছেন পাঁচ হাজার ৮৯৩ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের অ্যাডভোকেট কামরুল আহসান মহারাজ পেয়েছেন দুই হাজার ৫২৫ ভোট। বরগুনায় একটি ভোট কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত রয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ পৌরসভায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. সাদেকুর রহমান নয় হাজার ৬৪ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. আবু তাহের ফজলে রাব্বী পেয়েছেন ছয় হাজার ২৫টি ভোট।
সিলেটের গোলাপগঞ্জ পৌরসভায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সিরাজুল জব্বার মেয়র পদে জয়ী হয়েছেন। জেলার কানাইঘাট পৌরসভায় জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের আরেক বিদ্রোহী প্রার্থী নিজাম উদ্দিন আল মিজান।
মানিকগঞ্জ পৌরসভায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী গাজী কামরুল হুদা সেলিম ১৩ হাজার ৪৩৯ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির নাসির উদ্দিন আহম্মেদ যাদু পেয়েছেন ১২ হাজার ২০৪ ভোট।
নড়াইয়ের কালিয়া পৌরসভায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ফকির মুশফিকুর রহমান ৩ হাজার ৮১২ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের মো. ওয়াহিদুজ্জামান পেয়েছেন এক হাজার ৭৫৪ ভোট।
বিএনপির ২২ প্রার্থী জয়ী
হবিগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আবারও জয়ী হয়েছেন কারাবন্দি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জি কে গউছ। তিনি ১০ হাজার ৭৯৭ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. মিজানুর রহমান পেয়েছেন নয় হাজার ২৬৪ ভোট। জেলার নবীগঞ্জ পৌরসভায় বিএনপি প্রার্থী ছাবির আহমদ চৌধুরী জয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ছয় হাজার ৫২১ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের মো. তোফাজ্জল ইসলাম চৌধুরী পেয়েছেন তিন হাজার ৭৭৩ ভোট। চুনারুঘাট পৌরসভায় বিএনপির মো. নাজিম উদ্দিন ৪ হাজার ৭৩৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের মো. সাইফুল ইসলাম ৪ হাজার ৭২১ ভোট পেয়েছেন।
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা পৌরসভায় বিএনপির মো. শহিদুল ইসলাম নয় হাজার ২৪১ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির মো. আতাউর রহমান লেলিন পেয়েছেন পাঁচ হাজার ৪১৫ ভোট। জেলার ফুলপুর পৌরসভায় বিএনপি মনোনীত মো. আমিনুল হক মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন চার হাজার ৮৩৭ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী শশধর সেন পেয়েছেন তিন হাজার ৮৯২ ভোট।
পঞ্চগড় পৌরসভা নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মো. তৌহিদুল ইসলাম। তিনি পেয়েছেন ১৩ হাজার ৮৬৮ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত জাকিয়া খাতুন পেয়েছেন ছয় হাজার ৭৯৮ ভোট।
নীলফামারীর জলঢাকা পৌরসভায় মেয়র পদে বিএনপির প্রার্থী ফাহমিদ ফয়সাল কমেট নয় হাজার ৬৫৪ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ইলিয়াস হোসেন বাবলু পেয়েছেন সাত হাজার ৫৪১ ভোট।
টাঙ্গাইলের কালিহাতী পৌরসভায় বিএনপির আলী আকবর জব্বার পেয়েছেন ৯ হাজার ৪১৯ ভোট। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের আনছার আলী বিকম ৭ হাজার ৪৪৭ ভোট পেয়েছেন।
রাজশাহীর পুঠিয়া পৌরসভায় বিএনপির আসাদুল হক আসাদ ৪ হাজার ৪০২ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম আওয়ামী লীগের রবিউল ইসলাম রবি পেয়েছেন ৪ হাজার ২৩১ ভোট। জেলার চারঘাট পৌরসভায় বিএনপির জাকিরুল ইসলাম ৭ হাজার ৫০২ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম আওয়ামী লীগের নার্গিছ খাতুন পেয়েছেন ৭ হাজার ৩৯৬ ভোট। তানোর পৌরসভায় বিএনপির মিজানুর রহমান ৮ হাজার ৫৮৮ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম আওয়ামী লীগের ইমরুল হক পেয়েছেন ৮ হাজার ৫৩৬ ভোট। নওহাটা পৌরসভায় বিএনপির শেখ মো. মকবুল হোসেন ১২ হাজার ৭৮৩ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম আওয়ামী লীগের আব্দুল বারী পেয়েছেন ১১ হাজার ৬৭৯ ভোট।
বগুড়া সদর পৌরসভায় বিএনপির অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান ১ লাখ ৭ হাজার ৩৪০ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম মন্টু পেয়েছেন ৫৯ হাজার ১১৭ ভোট। গাবতলীতে বিএনপির মো. সাইফুল ইসলাম ৭ হাজার ১৭১ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল জলিল পাইকার পেয়েছেন ২ হাজার ২৩৬ ভোট। সান্তাহারে বিএনপির মোফাজ্জল হোসেন ভুট্টো ৮ হাজার ৮৬৭ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের রাশেদুল পেয়েছেন ৮ হাজার ১৫৮ ভোট।
কুমিল্লার বরুড়ায় বিএনপি প্রার্থী জসিমউদ্দিন পাটোয়ারী ১১ হাজার ৯১০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বাহাদুরুজ্জামান পেয়েছেন ৫ হাজার ৯৯৭ ভোট।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর পৌরসভায় ৯ হাজার ৫১৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপির প্রার্থী তারেক আহম্মেদ। তাঁর কাছের প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের গোলাম রাব্বানী বিশ্বাস পেয়েছেন ৭ হাজার ৬৩২ ভোট।
দিনাজপুর পৌরসভায় মেয়র পদে বিএনপির সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম ৩৯ হাজার ৫৮৭ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের আনোয়ারুল ইসলাম পেয়েছেন ২৪ হাজার ৫৩৪ ভোট।
নাটোরের গোপালপুর পৌরসভায় বিএনপির মো. নজরুল ইসলাম চার হাজার ৯১৫ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের রোকসানা মোর্ত্তচা লিলি পেয়েছেন তিন হাজার ৯৯২ ভোট।
সাতক্ষীরা পৌরসভায় বিএনপির মো. তাজকিন আহমেদ ১৬ হাজার ৩৪১ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির শেখ আজহার হোসেন পেয়েছেন ১২ হাজার ৫০০ ভোট।
জেলার কলারোয়া পৌরসভায় বিএনপির মো. আক্তারুল ইসলাম ৫ হাজার ৪৫১ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মো. আরাফাত হোসেন পেয়েছেন ৪ হাজার ৪৫ ভোট।
নওগাঁয় বিএনপির মো. নজমুল হক ৩৪ হাজার ৮৮৪ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের দেওয়ান ছেকার আহমেদ শিষাণ পেয়েছেন ৩২ হাজার ৬৩২ ভোট।
বিএনপির এক বিদ্রোহী প্রার্থী জয়ী
বগুড়ার নন্দীগ্রামে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী কামরুল হাসান জুয়েল ৪ হাজার ৪৪৩ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মনোনীত সুশান্ত কুমার শান্ত পেয়েছেন ৪ হাজার ৩৪৬ ভোট।
জামায়াতের দুজন জয়ী
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভায় স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির নজরুল ইসলাম ৩১ হাজার ৫০৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর কাছের প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের সামিউল হক লিটন পেয়েছেন ৩০ হাজার ৫০৪ ভোট। বিএনপির প্রার্থী অধ্যাপক আতাউর রহমান পেয়েছেন ২১ হাজার ৪২৭ ভোট।
এ ছাড়া দিনাজপুরের বীরগঞ্জ পৌরসভায় স্বতন্ত্র প্রার্থী জামায়াতে ইসলামীর মোহাম্মদ হানিফ চার হাজার ৫০০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের মোশারাফ হোসেন পেয়েছেন তিন হাজার ৮৪৮ ভোট।
জাতীয় পার্টির একজন জয়ী
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী পৌরসভায় জাতীয় পার্টি মনোনীত আবদুর রহমান লাঙল প্রতীক নিয়ে ১০ হাজার ২৪৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের মোহম্মদ হোসেন ফাকু নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৮ হাজার ৯০৫ ভোট।
ছয়জন স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর পৌরসভায় স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহিদুল ইসলাম জিরে ছয় হাজার ৬৫৬ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির সালাউদ্দিন বুলবুল সিডল। তিনি পেয়েছেন পাঁচ হাজার ৬০৯ ভোট।
খাগড়াছড়ি পৌরসভায় নয় হাজার ৪১৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. রফিকুল আলম। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. শানে আলম পেয়েছেন পাঁচ হাজার ৫৩৭ ভোট।
পাবনা সদরে স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল হাসান মিন্টু ৩০ হাজার ৪৪৭ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের রকিব হাসান টিপু পেয়েছেন ২৪ হাজার ৬৫৪ ভোট।
চুয়াডাঙ্গা সদর পৌরসভায় স্বতন্ত্র প্রার্থী ওবাইদুর রহমান চৌধুরী ওরফে জিপু চৌধুরী ২৪ হাজার ৯৮৩ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার পেয়েছেন ১০ হাজার ৫৬ ভোট।
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী পৌরসভায় স্বতন্ত্র প্রার্থী খনিবিরোধী আন্দোলনের নেতা মুরতুজা সরকার মানিক ছয় হাজার ৪০৩ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের শাহজাহান আলী সরকার পেয়েছেন চার হাজার ৭৯১ ভোট।
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ পৌরসভায় সাবেক মেয়র ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ নিজাম শেখ জয়লাভ করেছেন।তিনি পেয়েছেন ৬ হাজার ৬৭২ ভোট। তাঁর নিকটতম আওয়ামী লীগের নজরুল ইসলাম ভোট পেয়েছেন ৪ হাজার ৭৪৯টি।
ফলাফল ও নির্বাচন স্থগিত :
কুড়িগ্রামের উলিপুর পৌরসভায় বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী তারিক আবুল আলা ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ৭ হাজার ৭৬৭ ভোট পেয়ে এগিয়ে আছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সাজাদুর রহমান সাজু নারকেল গাছ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫ হাজার ৫৮৮ ভোট। এই পৌরসভায় দুইটি ভোট কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত রয়েছে। স্থগিত কেন্দ্র দুটির মোট ভোটের সংখ্যা ৩ হাজার ৮৯৮।
মাদারীপুরের কালকিনি পৌরসভায় স্বতন্ত্র প্রার্থী মশিউর রহমান সবুজ ৫ হাজার ৬৬১ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ পেয়েছেন ৪ হাজার ৮০৪ ভোট। দুটি কেন্দ্রের ভোট স্থগিত রয়েছে। কেন্দ্র দুটির ভোট সংখ্যা ৩ হাজার ৮৮৩ জন।
বরগুনার বেতাগী পৌরসভায় আওয়ামী লীগের এবিএম গোলাম কবীর দুই হাজার ১৭৬ ভোট পেয়ে এগিয়ে আছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মো. হুমায়ুন কবীর পেয়েছেন এক হাজার ৫৬১ ভোট। বেতাগীতে একটি ভোট কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত রয়েছে। ঠাকুরগাঁওয়ে তিনটি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত আছে। নরসিংদীর মাধবদী এবং নোয়াখালীর চৌমুহনী ও নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌরসভার কয়েকটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত আছে।