ধর্ষণের ছয়দিন পর পার্বতীপুরের শিশুটিকে ঢামেকে স্থানান্তর
দিনাজপুরের পার্বতীপুরে ধর্ষণের শিকার পাঁচ বছরের শিশুটিকে ধর্ষণের ছয়দিন পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আনা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে শিশুটিকে ঢামেকে ভর্তি করা হয়।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মামলার প্রধান আসামি সাইফুল ইসলামকে দিনাজপুর শহর থেকে গ্রেপ্তার করে পার্বতীপুর মডেল থানার পুলিশ।
এ ব্যাপারে দিনাজপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল আলম জানান, পার্বতীপুর উপজেলার জমিরহাট এলাকার তকেয়াপাড়া গ্রামের সুবল চন্দ্র দাসের মেয়েশিশু গত মঙ্গলবার সকালে নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুঁজি করে শিশুটিকে না পেয়ে রাত ১১টার দিকে পার্বতীপুর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন তার বাবা।
পরদিন ভোর ৬টায় শিশুটিকে বাড়ির পাশের একটি হলদিক্ষেত থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের পরই তাকে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানেই চিকিৎসকরা জানান ধর্ষণের শিকার হয়েছে শিশুটি।
এরপর গত বৃহস্পতিবার রাতে শিশুটির বক্তব্যের ওপর ভিত্তি করে শিশুটির বাবা সুবল চন্দ্র দাস বাদী হয়ে একই গ্রামের সাইফুল ইসলাম (৪২) ও আফজাল হোনের কবিরাজকে (৪৮) আসামি করে পার্বতীপুর মডেল থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
এদিকে রমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা তাকে ঢামেকে নেওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু অর্থাভাবে শিশুটিকে তার পরিবার ঢাকায় নিতে পারেনি।
সর্বশেষ গতকাল সোমবার রাতে ‘জাস্টিস ফর ওম্যান’ নামে একটি সংগঠনের সহযোগিতায় শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়।