পাবিপ্রবি’তে এবার প্রক্টর পদত্যাগের দাবি
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর হাসিবুর রহমানের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার দুপুরে পাবিপ্রবির প্রক্টর অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেন তাঁরা। এ সময় নানা অভিযোগ তুলে প্রক্টরের পদত্যাগ দাবিতে শ্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা।
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা জানান, প্রক্টর হাসিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদায়ী বিতর্কিত উপাচার্য এম. রোস্তম আলীর সব দুর্নীতি ও নিয়োগ বাণিজ্যের প্রধান সহযোগী। নীতি নৈতিকতার তোয়াক্কা না করে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করেছেন।
ক্রয় সংক্রান্ত দুর্নীতি ছাড়াও নিজে উপস্থিত থেকে বিশ্ববিদ্যালয় লেকের মাছ লুট করেছেন। কিন্তু, শিক্ষার্থীদের নিরপত্তা, খাবারের মান বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন দাবির বিষয়ে ব্যবস্থা নেননি।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা প্রক্টরের পদত্যাগের পাশাপাশি অনিয়ম, দুর্নীতির তদন্ত ও বিচার দাবী করেন।
বিশ্ববিদ্যায়ের সাবেক শিক্ষার্থী খায়রুল ইসলাম এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরির আবেদন করার পর চারটি পদে লিখিত পরীক্ষায় নির্বাচিত হই। কিন্তু, মৌখিক পরীক্ষায় ভালো করার পরও আমার চাকরি হয়নি। উপাচার্য স্যারের কাছে কারণ জানতে চেয়েছিলাম। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রক্টর হাসিবুর রহমান আমাকে ভয়ভীতি দেখিয়েছেন।’
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী সাইফুল, প্রান্ত, নাবিলা ও নওরীন জানান, বিদায়ী উপাচার্যের তোষামোদী ও দুর্নীতিতে সহযোগিতার পুরস্কার হিসেবে হাসিবুর রহমান প্রক্টর পদে নিয়োগ পান। তিনি উপাচার্যের অপকর্মের নিরপত্তা দেওয়া আর উন্নয়ন প্রকল্পে কমিশন বাণিজ্য ছাড়া গত এক বছরে কিছুই করেননি।
শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগতরা হলে ঢুকে চুরি, ছিনতাই, শিক্ষার্থীদের লাঞ্ছিত করেছে। মাদক ব্যবসায়ীদের আনাগোনা বেড়েছে। এসব নিয়ে প্রক্টরকে বার বার অভিযোগ দিলেও ব্যবস্থা নেননি তিনি। বরং অভিযোগকারী শিক্ষার্থীদেরকেই উল্টো পুলিশে দিয়েছেন এবং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের ভয় দেখিয়েছেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আমরা এই বিতর্কিত, ব্যর্থ প্রক্টরের পদত্যাগ চাই।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পাবিপ্রবি প্রক্টর হাসিবুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বর্তমানে অভিভাবকহীন। ভিসি, প্রোভিসি ও কোষাধ্যক্ষসহ গুরুত্বপূর্ণ সকল পদই শূন্য। এই সুযোগে একটি চক্র বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য নয়। ছাত্রদের ব্যবহার করে কতিপয় শিক্ষক নিজেদের ফায়দা লুটতে চাইছেন।’