মাদ্রাসায় পাস বাড়লেও কমেছে কারিগরিতে
চলতি বছর মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় মাদ্রাসা বোর্ড থেকে পাসের হার কমেছে। তবে এবার মাদ্রাসা বোর্ডে গতবারের চেয়ে বেশি পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। ফলে গতবারের চেয়ে এবার শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তীর্ণ হওয়া ও জিপিএ ৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে।
অন্যদিকে, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডেও পাসের হার কমেছে।
এই বছর মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড থেকে দুই লাখ ৮৬ হাজার ৯১৭ পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। এদের মধ্যে পাস করেছে মোট দুই লাখ তিন হাজার ৩৮২ জন। গত বছর এই উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল এক লাখ ৯৩ হাজার ৫১ জন। অর্থাৎ এই বছর গত বছরের তুলনায় ১০ হাজার ৩৩১ শিক্ষার্থী বেশি পাস করেছে।
কিন্তু পাস করা শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়লেও মাদ্রাসা বোর্ডে পাসের হার কমে গেছে। এ বছর পাসের হার কমেছে শতকরা ৫ দশমিক ৩১ জন। এই বছর পাসের হার ৭০ দশমিক ৮৯ জন, যা গত বছর ছিল শতকরা ৭৬ দশমিক ২০ জন।
এ ছাড়া মাদ্রাসা বোর্ডে এ বছর জিপিএ ৫-এর সংখ্যা বেড়েছে ৭৬১ জন। এ বছর জিপিএ ৫ পেয়েছে তিন হাজার ৩৭১ জন। গত বছর জিপিএ ৫ পেয়েছিল দুই হাজার ৬১০ শিক্ষার্থী।
অন্যদিকে দেশের কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ও পাসের হার দুটোই কমেছে। এ বছর কারিগরি বোর্ড থেকে এক লাখ ১৫ হাজার ২৩৪ পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে দুই লাখ তিন হাজার ৩৮২ জন। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় এ বছর উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৬৮৬ জন কমেছে।
এ বছর কারিগরি বোর্ডে পাসের হার কমেছে ৬ দশমিক ৭৩ জন। এ বছর পাসের হার শতকরা ৭১ দশমিক ৯৬, যা গত বছর ছিল ৭৮ দশমিক ৬৯ ভাগ।
তবে পাসের হার কমলেও এ ক্ষেত্রে জিপিএ ৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর জিপিএ ৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে ২২৬ জন। গত বছর মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে জিপিএ ৫ পেয়েছিল চার হাজার ১৮৭ জন, যা এ বছর বেড়ে হয়েছে চার হাজার ৪১৩ জন।
আজ রোববার সকাল ১০টার দিকে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল হস্তান্তর করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
এতে সারা দেশে পাসের হার ৭৭ দশমিক ৭৭ শতাংশ,যা গত বছরের চেয়ে ২ দশমিক ৫৮ শতাংশ কম। ২০১৭ সালে ১০ শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ছিল ৮০ দশমিক ৩৫।
তবে এবার গতবারের চেয়ে পাঁচ হাজার ৮৬৮ জন বেশি জিপিএ ৫ পেয়েছে।