রাঙামাটি প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস শুরুর দাবি
অক্টোবর মাসের মধ্যেই রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস শুরুর দাবিতে মানববন্ধন, সমাবেশ করে প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির চলতি শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা।
আজ রোববার সকালে রাঙামাটির জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আন্দোলন সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক শামসুজ জামান বাপ্পির সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন শিক্ষার্থী ইমাম হোসেন ইমন, মইন উদ্দীন, রিদওয়ান, মিরাজুল হাসান, সাম্য খান, জহিরুল ইসলাম ও হুমায়ুন কবির।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা ক্লাস শুরুর জোর দাবি জানিয়ে বলেন, তাঁরা যেকোনো জায়গায় ক্লাস করতে প্রস্তুত। যদি দ্রুত ক্লাস শুরু না হয় তাহলে তাঁরা কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবেন।
মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীরা দ্রুত ক্লাস শুরুর দাবিতে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেন।
রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ ২০১৪ -২০১৫ শিক্ষাবর্ষের জন্য জানুয়ারি মাসে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। ২৪ এপ্রিল ভর্তি পরীক্ষা হয়। ৪ মে ফলাফল ঘোষণা এবং ১ জুলাই ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৪-২০১৫ শিক্ষাবছরে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা এই দুটি বিভাগে মোট ৭৩ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়। কিন্তু আজ পর্যন্ত পাঠদান কার্যক্রম শুরু না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা চরম হতাশায় ভুগছে। এরই মধ্যে আগামী ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে। অথচ রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো ক্লাস শুরু করা হয়নি।
সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির বিরোধিতার কারণে অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির কার্যক্রম। তবে জনসংহতির বিরোধিতার মুখেও এরই মধ্যে মেডিকেল কলেজের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। চলছে ক্লাস। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়টি পড়েছে বিপাকে।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, জেলা প্রশাসক ও উপাচার্য তাঁদের আশ্বাস দিয়েছিলেন যে পবিত্র ঈদুল আজহার পর সেপ্টেম্বর মাসে তাঁদের শ্রেণি কার্যক্রম শুরু করা হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তাঁদের শ্রেণি কার্যক্রমের সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য পাননি। কোনো ধরনের নোটিশও পাননি। অফিসে যোগাযোগ করলে তাঁদের বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে সময় নষ্ট করছে। প্রায় ১০ মাস চলে যাচ্ছে। তাঁদের প্রথম সেমিস্টারের সময় শেষ হয়ে দ্বিতীয় সেমিস্টারের শেষ পর্যায় অতিবাহিত হচ্ছে। তারা কৃত্রিমভাবে সৃষ্ট সেশনজটে পড়তে যাচ্ছেন।