জাবির ভূগোল বিভাগের শিক্ষকদের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের সিদ্ধান্ত
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ক্লাস-পরীক্ষা অনির্দিষ্টকালের জন্য বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শিক্ষকরা। আজ রোববার বিভাগের একাডেমিক কমিটির জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান বিভাগের অধ্যাপক মো. শাহেদুর রশিদ।
বিভাগের শিক্ষক ও ছাত্ররা জানান, ২০১২ সালে ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ৩৭তম ব্যাচের মাস্টার্স চূড়ান্ত পরীক্ষায় অনিয়মসহ একাধিক কারণ দেখিয়ে অধ্যাপক মো. মনজুরুল হাসানের অপসারণ দাবি করেন বিভাগের ছাত্র-শিক্ষকরা। কিছুদিন আগে ওই শিক্ষকের অপসারণের দাবি সংবলিত কয়েকটি ফেস্টুন সমাজবিজ্ঞান অনুষদে টানিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা।
গত ৭ নভেম্বর কয়েকজন ‘বহিরাগতকে’ নিয়ে সঙ্গে ক্যাম্পাসে আসেন অধ্যাপক মনজুরুল হাসান। এর পরের দিনই ‘নিরাপত্তার অভাববোধ’ করে বিভাগের অন্যান্য শিক্ষকরা একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি দাবি জানান।
অধ্যাপক শাহেদুর রশিদ জানান, এই দিন লিখিত অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে থানায় জিডি করার জন্য ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দেন বিভাগীয় শিক্ষকরা।
গতকাল শনিবার বেঁধে দেওয়া সময় শেষ হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে থানায় কোনো জিডি করা হয়নি। এই পরিপ্রেক্ষিতে বিভাগীয় একাডেমিক কমিটির জরুরি সভায় ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জিডি করা হলে শিক্ষকরা ক্লাস-পরীক্ষা শুরু করবেন বলেও জানান অধ্যাপক শাহেদুর রশিদ।
এ ব্যাপারে জানতে ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মো. সাজেদ আশরাফ করীমকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘অভিযোগ পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে আজকে অধ্যাপক মো. মনজুরুল হাসানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আগামী তিন দিনের মধ্যে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে। নোটিশের জবাব পেলে প্রশাসন পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিবে। ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ব্যাপারে আমি কিছু বলতে পারব না।’
অভিযোগ সম্পর্কে অধ্যাপক মো. মনজুরুল হাসান সন্ধ্যায় এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘অভিযোগটি বানোয়াট। বহিরাগত বলতে যা বুঝায়, এমন কাউকে নিয়ে সেদিন আমি ক্যাম্পাসে যাইনি। আমার শ্যালক আমার সঙ্গে ক্যাম্পাসে গিয়েছিল। সে তো বহিরাগত হতে পারে না।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে মনজুরুল হাসান বলেন, ‘বিভাগের শিক্ষকরা যে সিদ্ধান্তটি নিয়েছে এটা বিধি বহির্ভূত। বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের একটি নোটিশ পেয়েছি। আগামী তিনদিনের মধ্যেই তার জবাব দেব আমি। এরপরই সব কিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে।’