রাবিতে গয়েশ্বরের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্যের প্রতিবাদে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের শাস্তির দাবি জানিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রলীগ। আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দেশের শহীদ বুদ্ধিজীবীরা জাতির অহংকার, প্রেরণার উৎস। তাঁদের অসম্মান করার ধৃষ্টতা একমাত্র পাকিস্তানের দালালরাই করতে পারে। গয়েশ্বর রায় রাজাকারদের সঙ্গে আঁতাত করে পাকিস্তানকে খুশি করার জন্য এমন ঘৃণ্য বক্তব্য দিয়েছেন। বাংলার মাটিতে তাঁর বিচার করতে হবে।
বক্তারা আরো বলেন, ‘খালেদা জিয়া মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে কয়েকদিন আগে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর কয়েকদিন পরই গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে এমন ঔদ্ধত্যপূর্ণ মন্তব্য করলেন। গয়েশ্বর এই মন্তব্য করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভুলুণ্ঠিত করেছেন। স্বাধীন দেশে রাজনীতি করার কোনো অধিকার তাঁদের নেই। তাই অবিলম্বে আমরা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের শাস্তি দাবি করছি।’
মানববন্ধনে রাবি ছাত্রলীগের সহসভাপতি রানা চৌধুরীর সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জেডু সরকার, রাবি ছাত্রলীগের সহসভাপতি তন্ময়ানন্দ অভি, শহীদ হবিবুর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মামুনুর রশীদ, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ কমান্ডের সভাপতি আহসান হাবিব প্রমুখ। এ সময় রাবি ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান রানাসহ সংগঠনটির শতাধিক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
গত শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবীরা ‘নির্বোধতার’ জন্য মৃত্যুবরণ করেন বলে মন্তব্য করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, ‘উনারা যদি এত বুদ্ধিমান হন, তাহলে ১৪ তারিখ পর্যন্ত নিজ ঘরে থাকেন কী করে।’