ঢাবিতে ‘অধ্যাপক ড. ফজলুল হালিম চৌধুরী স্বর্ণপদক’ প্রবর্তন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রসায়ন বিভাগে ‘অধ্যাপক ড. ফজলুল হালিম চৌধুরী স্বর্ণপদক’ প্রবর্তন করা হয়েছে। এ জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফজলুল হালিম চৌধুরীর স্ত্রী শামসুন নাহার চৌধুরী ছয় লাখ টাকার একটি চেক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সহিদ আকতার হুসাইনের কাছে হস্তান্তর করেন।
সোমবার উপাচার্য দপ্তরে আয়োজিত এই চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ, রসায়ন বিভাগের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. নীলুফার নাহার, প্রয়াত অধ্যাপক ড. ফজলুল হালিম চৌধুরীর মেয়ে অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম এবং দাতা পরিবারের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এই ট্রাস্ট ফান্ডের আয় থেকে প্রতিবছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের স্নাতক (সম্মান) পরীক্ষায় সর্বোচ্চ সিজিপিএ প্রাপ্ত একজন মেধাবী শিক্ষার্থীকে ‘অধ্যাপক ড. ফজলুল হালিম চৌধুরী স্বর্ণপদক’ দেওয়া হবে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক স্বর্ণপদক প্রবর্তনে আর্থিক অনুদানের জন্য দাতাকে ধন্যবাদ জানান। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এই অনুদানের ফলে ছাত্রছাত্রীরা লেখাপড়ায় আরো উৎসাহিত ও মনোযোগী হবে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফজলুল হালিম চৌধুরীর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার উন্নয়নে তাঁর অনন্য অবদানের কথাও তিনি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।
অধ্যাপক ফজলুল হালিম চৌধুরী ১৯৩০ সালের ১ আগস্ট কুমিল্লার কুঞ্জশ্রীপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি প্রয়াত শিক্ষাবিদ আবদুল আজিজ চৌধুরী এবং প্রয়াত আফিফা খাতুনের ছোট ছেলে। অধ্যাপক চৌধুরী বাংলাদেশ একাডেমি অব সায়েন্সেসের ফেলো ছিলেন। তিনি ১৯৭৬ থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। পরে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ফলিত রসায়ন বিভাগে যোগ দেন। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য এবং নয়াদিল্লিতে ইউনেস্কোর সিনিয়র উপদেষ্টা হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেন। ড. চৌধুরী বাংলাদেশের ফিজিক্যাল কেমিস্ট্রি শিক্ষার উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে গেছেন। বিজ্ঞানবিষয়ক তাঁর ২০টির বেশি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রসায়ন বিভাগ থেকে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। এ ছাড়া তিনি যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৯৬ সালের ৯ এপ্রিল তিনি ঢাকায় ইন্তেকাল করেন।