আমলা নয়, জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে সংকট সমাধানের দাবি
অষ্টম জাতীয় বেতন কাঠামোর বিদ্যমান অসন্তোষ দূর করতে আমলা নয়, জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে করার আহ্বান জানিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। আজ শনিবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জুবেরী ভবনে শিক্ষক লাউঞ্জে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মহা. রেজাউল করিম বলেন, ‘শিক্ষকদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৪ জানুয়ারি গণমাধ্যমে পাঠানো অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি বিভ্রান্তিকর। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিদ্যমান সুযোগ-সুবিধা, পদোন্নতির নীতি, শিক্ষকদের কাজের ধরন কোনো কিছু সম্পর্কেই সঠিক চিত্র প্রতিফলিত হয়নি। বরং তা একপেশে, খণ্ডিত এবং ক্ষেত্রবিশেষে ত্রুটিপূর্ণভাবে এসেছে।’
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিয়ে গঠিত বেতন কমিটির প্রতি এক ধরনের অসম্মান উল্লেখ করে রেজাউল করিম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমাজের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিয়ে বেতন বৈষম্য নিরসন কমিটি গঠিত হয়েছে। কমিটি এই বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিল। এমনকি কমিটি ইতিবাচক কিছু সিদ্ধান্তও নিয়েছিল। কিন্তু তাদের সিদ্ধান্ত ও পরামর্শ উপেক্ষা করে অর্থ মন্ত্রণালয় বিধিবহির্ভূতভাবে পে-স্কেলের গেজেট প্রকাশ করেছে। সর্বশেষ গণমাধ্যমে পাঠানো অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিটিও আসলে মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিয়ে গঠিত বেতন বৈষম্য নিরসন কমিটির প্রতি এক ধরনের অসম্মান।’
অধ্যাপক রেজাউল করিম আরো বলেন, আমলারাও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের মতো বেতনভুক্ত একটি পক্ষ। কাজেই জাতীয় বেতন কাঠামো বিষয়ে নীতিনির্ধারণী কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার নৈতিক বা আইনগত কোনো অধিকার আমলাদের থাকার কথা নয়। এ বিষয়ে জনগণের প্রতিনিধি মন্ত্রীরা নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত নেবেন, কোনো সচিব কমিটির সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমাজ মানবে না। এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হলে তা জনগণের প্রতিনিধিদের সঙ্গে হতে পারে, আমলাদের সঙ্গে নয়।
সংবাদ সম্মেলনে অর্থ বিভাগের বিজ্ঞপ্তিকে বিভ্রান্তিকর উল্লেখ করে তা প্রত্যাখ্যান করা হয়। এ ছাড়া সরকারি কর্মকর্তাদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ও অর্থ উপার্জনের যাবতীয় বিষয় খতিয়ে দেখতে তদন্ত করার দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আনন্দ কুমার সাহা, সহসভাপতি অধ্যাপক এম রফিকুল আহসান, যুগ্ম সম্পাদক শাতিল সিরাজ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ওমর ফারুক, কার্যনির্বাহী সদস্য অধ্যাপক ফিরোজ আলম সরকার, অধ্যাপক আনসার উদ্দিন প্রমুখ।