জাবি প্রক্টরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের গড়িমসি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রক্টর অধ্যাপক তপন কুমার সাহার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসন গড়িমসি করছে বলে অভিযোগ করেছে কয়েকটি ছাত্রসংগঠন।
ওই সংগঠনগুলোর দাবি, জাবি উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, ৩ মের মধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রক্টরের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এখন পর্যন্ত তদন্ত কমিটি গঠিত হয়নি।
এদিকে তদন্ত কমিটি গঠিত না হওয়ার বিষয়টি এনটিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আবুল হোসেন।
প্রক্টরের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অবস্থান নিয়ে কথা হয় ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সভাপতি দীপাঞ্জন সিদ্ধান্ত কাজলের সঙ্গে। তিনি এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমরা যদিও তদন্ত কমিটি চাইনি, প্রক্টরের অপসারণ চেয়েছি। কিন্তু ভিসি ম্যাম ৩ মের মধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করে তদন্তের প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু সেটাও না করায় এটা স্পষ্ট যে, প্রশাসন এ ব্যাপারে গড়িমসি করছে।’
আগামী ৭ মে প্রক্টরের পদত্যাগ দাবিতে সংহতি সমাবেশ করা হবে বলেও জানিয়েছেন এই ছাত্রনেতা।
গতকাল মঙ্গলবার মিছিল-পরবর্তী সমাবেশে একই অভিযোগ করেন জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি জোবায়ের টিপু। টিপু বলেন, ‘৩ মের মধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করবে বলে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য আমাদের আশ্বাস দিলেও এখন পর্যন্ত কোনো তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়নি। এতে কী প্রমাণিত হয়? এখানে স্পষ্ট যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও এই নির্লজ্জ প্রক্টরের পক্ষাবলম্বন করছে।’
এদিকে প্রক্টরের পদত্যাগ দাবির পর থেকে প্রতিদিনই কোনো না কোনো কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছেন আন্দোলনকারীরা।
তবে প্রশাসনের অবস্থান সম্পর্কে জানতে এনটিভি অনলাইনের এ প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
গত ২৫ এপ্রিল প্রগতিশীল ছাত্রজোট ও সাম্রাজ্যবাদবিরোধী ছাত্র ঐক্যের ডাকা ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে হরতাল পালনকালে পুলিশ ছাত্রদের ওপর হামলা চালায়। এতে ২০ জন আহত হয়। আটক করা হয় ১২ জনকে।
প্রক্টরের যোগসাজশে এ হামলা ও আটকের ঘটনা ঘটেছে অভিযোগ তুলে প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠনগুলো ওই দিন (২৫ এপ্রিল) থেকে তাঁর পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে।