বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা গোলাম রাব্বীকে নির্যাতনের ঘটনায় পুলিশের বরখাস্ত হওয়া উপপরিদর্শক (এসআই) মাসুদ শিকদারের বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। 

একই সঙ্গে গোলাম রাব্বীকে নির্যাতন কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। এ ছাড়া মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) মামলা গ্রহণে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। 

আজ সোমবার বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি এ কে এম সাহিদুল হকের বেঞ্চ জনস্বার্থে দায়ের করা রিট আবেদনের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।  

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রিটকারীর আইনজীবী জুলফিকার আলী জুনু। রিটকারীর পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন এবং রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দু কুমার রায়।

আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার, তেজগাঁও জোনের উপকমিশনার, মোহাম্মদপুর থানার ওসি, মোহাম্মদপুর থানার এসআই মাসুদ শিকদার ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। 

জনস্বার্থে গতকাল রোববার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আইনজীবী ব্যারিস্টার এহসানুর রহমান, জুলফিকার আলী জুনু ও রাব্বীর বন্ধু জাহিদ হাসান এ আবেদন করেন। 
 
গত ৯ জানুয়ারি শনিবার রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা গোলাম রাব্বীকে আটক করে ইয়াবা ব্যবসায়ী-সেবনকারী বানানোর ভয় দেখিয়ে পাঁচ লাখ টাকা আদায়ের চেষ্টা করেন মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাসুদ শিকদারসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য। এরপর রাত ৩টা পর্যন্ত মোহাম্মদপুরের বিভিন্ন রাস্তা ঘুরিয়ে তাঁকে মারধর করেন। এমনকি তাঁকে বেড়িবাঁধে নিয়ে ক্রসফায়ারে হত্যার হুমকিও দেন বলে অভিযোগ করেছেন গোলাম রাব্বী। 

ঘটনার পরদিন রোববার সকালে এ বিষয়ে মোহাম্মদপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন রাব্বী। এরপর সারা দেশে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে আলোচনায় আসে বিষয়টি। 

১১ জানুয়ারি সোমবার সকালে এসআই মাসুদকে প্রত্যাহার করা হয়। পরে শনিবার মাসুদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।