নির্বাচনী সহিংসতায় শিশুসহ তিনজন নিহত
দ্বিতীয় ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে সহিংসতায় প্রাণ হারিয়েছেন তিনজন। এদের মধ্যে এক শিশু রয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে দ্বিতীয় ধাপে ৬৩৯ ইউপিতে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নির্বাচনী সহিংসতায় তিনজন নিহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আওয়ামী লীগকর্মীসহ তিনজন।
আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো প্রতিবেদনে বিস্তারিত :
শফিক জামান, জামালপুর
জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়নের উত্তর বালুরচর কেন্দ্রের বাইরে দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের সময় রফিকুল ইসলাম নামের একজন প্রাণ হারান। ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে জানান জামালপুরের সহকারী পুলিশ সুপার ইউনুস মিয়া।
দেলোয়ার হোসেন, কেরানীগঞ্জ
এদিকে ঢাকার কেরানীগঞ্জে দুই চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে শুভ (১০) নামের এক শিশু নিহত হয়েছে। মধুরচর কেন্দ্রের বাইরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হয় শুভ।
শুভ স্থানীয় একটি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র। তার বাবার নাম আবদুল হালিম।
সাইফুল ইসলাম সজল, যশোর
এ ছাড়া আজ বেলা ১১টার দিকে যশোর সদর উপজেলার চাঁচড়া ইউনিয়নে ভোটকেন্দ্র দখলের সময় গুলিতে ফেরিওয়ালা নিহত হয়েছেন। ভাতুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ৮/১০ দুর্বৃত্ত বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে কেন্দ্র দখলের চেষ্টা করে। তাদের হটাতে পুলিশ বেশ কয়েকটি গুলি ছোড়ে। এ সময় ভোটকেন্দ্রের সামনে রাস্তায় দাঁড়ানো ফেরিওয়ালা আবদুস সাত্তার নিহত হন। একই ঘটনায় আহত হয়েছেন দুজন। নিহত আবদুস সাত্তারের মাথায় গুলি লাগে। তাঁর শরীরে বোমার স্প্লিন্টারের আঘাতের চিহ্নও রয়েছে।
এদিকে নির্বাচনী সহিংসতায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এঁদের মধ্যে নওয়াপাড়া ইউনিয়নের আড়পাড়া কেন্দ্রের বাইরে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার সময় হাসান নামের এক আওয়ামী লীগকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। কুমিল্লায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে দুজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ ছাড়া যশোরে এক আওয়ামী লীগকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।