সিটিসেল বন্ধ
বেসরকারি মোবাইল ফোন অপারেটর সিটিসেলের তরঙ্গ স্থগিত করা হয়েছে। বকেয়া পাওনা পরিশোধ না করায় আজ বৃহস্পতিবার এ পদক্ষেপ নেয় টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। এর ফলে সিটিসেল নম্বরে কল আদান-প্রদান বন্ধ হয়ে গেছে।
আজ এক সংবাদ সম্মেলনে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, ‘বিটিআরসির বকেয়া না দেওয়ায় সিটিসেলের তরঙ্গ স্থগিত করা হয়েছে।’
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা এনায়েত হোসেন জানান, প্রতিমন্ত্রী যখন বিটিআরসিতে সংবাদ সম্মেলন করছিলেন তখন কর্মকর্তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়ে মহাখালীতে সিটিসেলের প্রধান কার্যালয়ে অভিযান চালান।
সিটিসেলের কাছে বিটিসিএলের পাওনা সর্বমোট ৪৭৭ কোটি ৫১ লাখ টাকা। গত জুলাই মাসেই সিটিসেলের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ার কথা জানিয়েছিল বিটিআরসি। বিকল্প সেবা গ্রহণের জন্য সিটিসেল গ্রাহকদের গত ১৬ আগস্ট পর্যন্ত সময়ও দেয় বিটিআরসি।
তারানা হালিম বলেন, ‘প্রাথমিক পর্যায়ে শুধু আমরা আপিল বিভাগের রায়টি কার্যকর করার দিকে দৃষ্টি রেখেছি। বিটিআরসির ক্ষমতাবলে তাদের প্রদত্ত ক্ষমতা ব্যবহার করে যতটুকু আমরা করতে পারছি আইনসম্মতভাবে সেটিই আমরা প্রয়োগ করছি। পরবর্তী সময়ে তরঙ্গের ব্যাপারে বা তারা পাওনা বকেয়া শোধ করবে কি না সে অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব।’
সংবাদ সম্মেলনে তারানা হালিম আরো বলেন, সিটিসেলের কাছে সরকারের ৪৭৭কোটি ৫১ লাখ টাকা পাওনা। এই পাওনা না পেয়ে, গত জুলাই মাসে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ বিটিআরসি সিটিসেলের কার্যক্রম বন্ধ করার ঘোষণা দিলেও আপিল বিভাগ টাকা পরিশোধ সাপেক্ষে কার্যক্রম চালিয়ে যেতে সিটিসেলকে দুই মাস সময় দিয়েছিল। ইতিমধ্যে সিটিসেল ১৩০ কোটি টাকা পরিশোধ করলেও, ৩৮১ কোটি টাকার বকেয়া রয়ে যায়, তাই এই কোম্পানির তরঙ্গ স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয় বিটিআরসি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদসহ অন্যরা।
গত ৩ জুন বিটিআরসির চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ জানান, সিম পুনর্নিবন্ধনের পর সিটিসেলের গ্রাহকসংখ্যা দেড় থেকে দুই লাখে নেমে এসেছে।
১৯৮৯ সালে বিটিআরসির লাইসেন্স পায় প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেড, যা সিটিসেল নামে পরিচিত। এটিই বাংলাদেশের প্রথম ও একমাত্র সিডিএমএ মোবাইল ফোন অপারেটর।
বর্তমানে সিটিসেলের প্রায় ৪৫ শতাংশ শেয়ারের মালিক সিঙ্গাপুরভিত্তিক সিংটেল এশিয়া প্যাসিফিক। ফার ইস্ট টেলিকম ১৭ দশমিক ৫১ শতাংশ শেয়ারের মালিক। আর প্যাসিফিক মোটরসের হাতে আছে ৩৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ মালিকানা।